ঢাবি সংবাদদাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের লাউঞ্জে আয়োজিত এক বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এমনটি জানান।
উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাম্যের হত্যাকাণ্ড, তদন্তের অগ্রগতি ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নানা উদ্যোগ তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘রাত ২টা ১৫ মিনিটে প্রক্টর আমাকে ফোন দেন এবং আমি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিই। আপনারা জানেন, মাগুরায় আছিয়ার ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তিতেও আমরা কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলাম। তেমনিভাবে এ ঘটনাটিও দ্রুত উদ্ঘাটন করে তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তদন্ত অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি, তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সামগ্রিক বিষয়ে ব্রিফ করা হবে। দ্রুততম সময়ে চার্জশিট প্রস্তুত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে, যেন বিচার নিশ্চিত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া যায়।’
পুরো প্রক্রিয়া তদারক করছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও ডিসি মাসুদ।
রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘ভিক্টিমের দুই বন্ধুর কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, আসামিরা ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়েছিল। সেখান থেকে ধারণা করি, তারা নিশ্চয়ই চিকিৎসা নিচ্ছে। অনুসন্ধানে শমরিতা হাসপাতাল ও বিআরবি হাসপাতালে দুজনকে শনাক্ত করি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের সঙ্গে আরেকজন ছিল। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তৃতীয় ব্যক্তিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় তিনজনকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ডিসি মাসুদ আলম আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা বিশ্লেষণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় সেই সময়কার উপস্থিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করি। কোর্ট ইতিমধ্যে আসামিদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আগামীকাল থেকে তাদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পাব। পাশাপাশি মুহসীন হলের মাঠ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নবীনবরণ অনুষ্ঠান এবং রাত ১২টার সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কী ঘটেছিল, সেসব বিষয়ও গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি।’
ভিসি নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি। ইতিমধ্যে কয়েকজন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্রাইম স্পট সংরক্ষণ, সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তর, তদন্ত কমিটি গঠনসহ সব প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ, নিরাপত্তা জোরদার ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে তদারকি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের লাউঞ্জে আয়োজিত এক বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এমনটি জানান।
উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাম্যের হত্যাকাণ্ড, তদন্তের অগ্রগতি ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নানা উদ্যোগ তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘রাত ২টা ১৫ মিনিটে প্রক্টর আমাকে ফোন দেন এবং আমি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিই। আপনারা জানেন, মাগুরায় আছিয়ার ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তিতেও আমরা কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলাম। তেমনিভাবে এ ঘটনাটিও দ্রুত উদ্ঘাটন করে তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তদন্ত অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি, তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সামগ্রিক বিষয়ে ব্রিফ করা হবে। দ্রুততম সময়ে চার্জশিট প্রস্তুত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে, যেন বিচার নিশ্চিত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া যায়।’
পুরো প্রক্রিয়া তদারক করছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও ডিসি মাসুদ।
রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘ভিক্টিমের দুই বন্ধুর কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, আসামিরা ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়েছিল। সেখান থেকে ধারণা করি, তারা নিশ্চয়ই চিকিৎসা নিচ্ছে। অনুসন্ধানে শমরিতা হাসপাতাল ও বিআরবি হাসপাতালে দুজনকে শনাক্ত করি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের সঙ্গে আরেকজন ছিল। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তৃতীয় ব্যক্তিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় তিনজনকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ডিসি মাসুদ আলম আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা বিশ্লেষণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় সেই সময়কার উপস্থিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করি। কোর্ট ইতিমধ্যে আসামিদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আগামীকাল থেকে তাদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পাব। পাশাপাশি মুহসীন হলের মাঠ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নবীনবরণ অনুষ্ঠান এবং রাত ১২টার সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কী ঘটেছিল, সেসব বিষয়ও গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি।’
ভিসি নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি। ইতিমধ্যে কয়েকজন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্রাইম স্পট সংরক্ষণ, সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তর, তদন্ত কমিটি গঠনসহ সব প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ, নিরাপত্তা জোরদার ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে তদারকি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী কালাচাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ মিনিট আগেবুধবার সকালে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ম্যুরালের পাদদেশে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পেছনে দাঁড়িয়ে প্রতিকৃতি মুছে ফেলা ম্যুরাল। ম্যুরালের নিচের অংশে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। দুপাশে সীমানাপ্রাচীরের সঙ্গে থাকা টেরাকাটার কিছু অংশ তুলে ফেলা হয়েছে। ওপরের অংশে লেখা, ‘জালেমের ওপর
২৪ মিনিট আগেমিটফোর্ডে ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যার ঘটনায় একাধিকবার ইট মারা মো. রিজওয়ান উদ্দিন অভিকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী...
২৭ মিনিট আগেঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পাথর নিক্ষেপকারীকে পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত (১৫ জুলাই) রাতে ঢাকার ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
৩৩ মিনিট আগে