নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে নারী রোগীদের যৌন হয়রানি-চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ডের নারী ও শিশু ইউনিটের রোগী এবং তাদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসকের এক সহযোগী এই ঘটনা ঘটান। বিষয়টি তাঁরা কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধানকে জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোগী ও স্বজনদের ডেকে নিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেছেন।
এ ঘটনায় চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন রোগীরা। রাতের এ ঘটনার পর মাছুম বিল্লাহ নামে এক শিশু রোগীর মা তাঁর সন্তানকে অপারেশন না করিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজমুল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের নাম রবিন। তিনি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। বাইপাস সার্জারি করার সময় হার্ট লাঙ অপারেটর হিসেবে কাজ করতে তাঁকে সোমবার ঢাকা থেকে চমেকে আনা হয়। চমেকে হার্ট লাঙ মেশিন পরিচালনায় অভিজ্ঞ কেউ না থাকায় তাঁকে প্রতি সপ্তাহে এখানে নিয়ে আসা হয়। সোমবার রাতে তিনি কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের নারী ও শিশু ইউনিট লাগোয়া এক কক্ষে রাত্রি যাপন করেন।
হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে দুটি ইউনিট আছে। এর মধ্যে একটিতে পুরুষ রোগীরা থাকে, অন্যটিতে নারী ও শিশু রোগীরা থাকে। যেখানে রাতের বেলায় কোনো পুরুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
ইয়াছমিন নামে রোগীর এক অ্যাটেনডেন্ট আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা থেকে ওই যুবক নারী ও শিশু ওয়ার্ডে নানাভাবে উঁকিঝুঁকি মারছিলেন। তাঁর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় ভয়ে আমরা কয়েকজন (রোগীর অ্যাটেনডেন্ট) ইউনিটের ভেতরে একসঙ্গে বিছানা পেতে শুয়ে ছিলাম। রাত ২টার দিকে আমাদের মধ্যে একজনের ঘুম ভেঙে যাওয়ায় হঠাৎ চোখ খুলে দেখেন ওই যুবক বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে আমাদের ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়ার পর আমরা চিৎকার দিলে তিনি দৌড়ে তাঁর কক্ষে চলে যান। এরপর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।’
একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন কামরুন্নেসা নামে এক রোগীর স্বজন মজিবুল করিম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘কাল রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, সে সময় আমার রোগীও সেখানে ছিল। পরে সকালে এ ঘটনা আমাকে বলার পর আমি বিষয়টি বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কিছুক্ষণ আগে আমার রোগী জানিয়েছে, তাকে কিছুক্ষণ আগে ডেকে নিয়ে মুচলেকা নিয়েছেন।’
শিশু রোগী মাছুম বিল্লাহর মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঘুম থেকে সজাগ হয়ে দেখি ওই যুবক আমাদের বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে সবাই চিৎকার দিলে তিনি দ্রুত চলে যান। তাঁর গায়ে কোনো কাপড় নেই। শুধু একটা প্যান্ট পরা ছিল। ডাক্তাররা পরেন যে ওই প্যান্টগুলো। আমার ভালো লাগতেছে না, আমার মা-ও অসুস্থ তাই আমরা রিলিজ নিয়ে চলে আসছি।’
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালে উপপরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমাকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
পরে এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসানকে কল করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি একধরনের ভুল-বোঝাবুঝি। ঘটনার পর ওই বিভাগের প্রধান অভিযুক্ত যুবককে ডেকে কথা বলেছেন, সে জানিয়েছে, তখন সে টয়লেটে যাচ্ছিল। নারী রোগী ও তাদের স্বজনেরা বলেছেন, তাকে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। এর বাইরে তার বিরুদ্ধে তাঁদের (নারী রোগী ও স্বজন) কোনো অভিযোগ নেই।’
শামীম আহসান আরও বলেন, ‘ওই লোকটা হলো অভিজ্ঞ। আমরা তাকে সপ্তাহে এক দিন ঢাকা থেকে আনি। গত ১০ বছর ধরে সে এখানে কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে নারী রোগীদের যৌন হয়রানি-চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ডের নারী ও শিশু ইউনিটের রোগী এবং তাদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসকের এক সহযোগী এই ঘটনা ঘটান। বিষয়টি তাঁরা কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধানকে জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোগী ও স্বজনদের ডেকে নিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেছেন।
এ ঘটনায় চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন রোগীরা। রাতের এ ঘটনার পর মাছুম বিল্লাহ নামে এক শিশু রোগীর মা তাঁর সন্তানকে অপারেশন না করিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজমুল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের নাম রবিন। তিনি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। বাইপাস সার্জারি করার সময় হার্ট লাঙ অপারেটর হিসেবে কাজ করতে তাঁকে সোমবার ঢাকা থেকে চমেকে আনা হয়। চমেকে হার্ট লাঙ মেশিন পরিচালনায় অভিজ্ঞ কেউ না থাকায় তাঁকে প্রতি সপ্তাহে এখানে নিয়ে আসা হয়। সোমবার রাতে তিনি কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের নারী ও শিশু ইউনিট লাগোয়া এক কক্ষে রাত্রি যাপন করেন।
হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে দুটি ইউনিট আছে। এর মধ্যে একটিতে পুরুষ রোগীরা থাকে, অন্যটিতে নারী ও শিশু রোগীরা থাকে। যেখানে রাতের বেলায় কোনো পুরুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
ইয়াছমিন নামে রোগীর এক অ্যাটেনডেন্ট আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা থেকে ওই যুবক নারী ও শিশু ওয়ার্ডে নানাভাবে উঁকিঝুঁকি মারছিলেন। তাঁর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় ভয়ে আমরা কয়েকজন (রোগীর অ্যাটেনডেন্ট) ইউনিটের ভেতরে একসঙ্গে বিছানা পেতে শুয়ে ছিলাম। রাত ২টার দিকে আমাদের মধ্যে একজনের ঘুম ভেঙে যাওয়ায় হঠাৎ চোখ খুলে দেখেন ওই যুবক বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে আমাদের ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়ার পর আমরা চিৎকার দিলে তিনি দৌড়ে তাঁর কক্ষে চলে যান। এরপর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।’
একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন কামরুন্নেসা নামে এক রোগীর স্বজন মজিবুল করিম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘কাল রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, সে সময় আমার রোগীও সেখানে ছিল। পরে সকালে এ ঘটনা আমাকে বলার পর আমি বিষয়টি বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কিছুক্ষণ আগে আমার রোগী জানিয়েছে, তাকে কিছুক্ষণ আগে ডেকে নিয়ে মুচলেকা নিয়েছেন।’
শিশু রোগী মাছুম বিল্লাহর মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঘুম থেকে সজাগ হয়ে দেখি ওই যুবক আমাদের বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে সবাই চিৎকার দিলে তিনি দ্রুত চলে যান। তাঁর গায়ে কোনো কাপড় নেই। শুধু একটা প্যান্ট পরা ছিল। ডাক্তাররা পরেন যে ওই প্যান্টগুলো। আমার ভালো লাগতেছে না, আমার মা-ও অসুস্থ তাই আমরা রিলিজ নিয়ে চলে আসছি।’
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালে উপপরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমাকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
পরে এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসানকে কল করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি একধরনের ভুল-বোঝাবুঝি। ঘটনার পর ওই বিভাগের প্রধান অভিযুক্ত যুবককে ডেকে কথা বলেছেন, সে জানিয়েছে, তখন সে টয়লেটে যাচ্ছিল। নারী রোগী ও তাদের স্বজনেরা বলেছেন, তাকে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। এর বাইরে তার বিরুদ্ধে তাঁদের (নারী রোগী ও স্বজন) কোনো অভিযোগ নেই।’
শামীম আহসান আরও বলেন, ‘ওই লোকটা হলো অভিজ্ঞ। আমরা তাকে সপ্তাহে এক দিন ঢাকা থেকে আনি। গত ১০ বছর ধরে সে এখানে কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
প্রায় নয় ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ থাকা দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব মাইলস্টোনের ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ির ডিপোতে প্রবেশ করেছেন। এ সময়ে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের কড়া পাহারা ছিল। তাঁরা মেট্রো ডিপো দিয়ে ভেতরের রাস্তা দিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে বের হয়ে যাবেন
৫ মিনিট আগেমাদারগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেশিক্ষকসংকট, সেশনজটসহ ছয় দফা দাবিতে এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছেন রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
১৭ মিনিট আগেকান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কথা শুনে তড়িঘড়ি করে আসলাম। কিন্তু ওর সাথে শেষবারের মতো আর কথা হলো না। দিনে ছয় থেকে সাতবার কথা হতো ওর সাথে। শেষবার বলছিল, “বাবা, তুমি কবে আসবা?” আমি তাকে বলেছিলাম, এখন তো সময় পাচ্ছি না। ঢাকায় যেতে টাকা-পয়সার ব্যাপার-স্যাপার আছে। আগামী মাসের ১৫ তারিখ আমি অবশ্যই
২২ মিনিট আগে