Ajker Patrika

সংবাদমাধ্যমে চবি উপাচার্যের সমালোচনা করার ব্যাখ্যা চেয়ে ডিনকে চিঠি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
সংবাদমাধ্যমে চবি উপাচার্যের সমালোচনা করার ব্যাখ্যা চেয়ে ডিনকে চিঠি

সংবাদমাধ্যমে উপাচার্যের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীকে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিটি ডিনের কাছে পাঠানো হয়। তবে ডিন ছুটিতে থাকায় আজ মঙ্গলবার চিঠি তিনি হাতে পেয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ০৪ অক্টোবর তারিখে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে আপনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। পুরো কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিতে জড়িত। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে সবকিছুতেই অনিয়ম হচ্ছে” প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে এই ধরনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী এবং উপাচার্যের মানহানিরও শামিল। আপনার এই বক্তব্যের স্বপক্ষে আগামী ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে প্রমাণসহ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ৬ তারিখ (নভেম্বর) ছুটিতে ছিলাম। আজ চিঠি হাতে পেয়েছি। চিঠিতে তিনটা লাইন আছে। আমি জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অধ্যাপক আরও বলেন, ‘যে উপাচার্য সাড়ে তিন বছর ধরে সিন্ডিকেট নির্বাচন দেন না, তিনি কে আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন? পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, সেগুলো কী পত্র-পত্রিকায় ছাপানো হয়নি? এত দিন তিনি যা করেছেন তাতে কি ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে? তিনি উচ্চ কণ্ঠে চিৎকার করে সভা পরিচালনা করলে এতে কি কারও মান ক্ষুণ্ন হয়নি? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এতই ঠুনকো নয় যে, কেউ চেঁচামেচি করলে, তার প্রতিবাদ করলে যে তা ক্ষুণ্ন হবে।’

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এ ডিন বলেন, ‘এই ধরনের চিঠি আইনের শাসনের অন্তরায়। আইনের শাসনে শ্রদ্ধাশীল হলে কেউ এই ধরনের চিঠি লিখতে পারেন না। আমি সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এইভাবে চিঠি দিয়ে কাউকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা কোনো অন্যায় ও আইন পরিপন্থী কাজকে আর প্রশ্রয় দিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যিনি পরিচালনা করবেন, তাঁকে আইনের শাসনের মধ্যেই চলতে হবে।’

প্রসঙ্গত, সিন্ডিকেটে ডিন ক্যাটাগরিতে নির্বাচন দিতে গত ১২ অক্টোবর উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন সব অনুষদের ডিন। কিন্তু চিঠি দেওয়ার ২২ দিন পরও নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার এক সভায় এ বিষয়ে উপাচার্যের কাছে জানতে চান ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন নিজামী। এ সময় উপাচার্য তার চেয়ার ছেড়ে উঠে ডিনকে শাসাতে থাকেন এবং নির্বাচন দেবেন না বলে জানান। এই ঘটনায় আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত