Ajker Patrika

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩ হাজার কোটি টাকায় কী হলো

হোসেন আহমেদ জিয়াদ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা  নিরসনে ৩ হাজার কোটি টাকায় কী হলো

চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকার কাজ শেষও হয়েছে। অথচ গত বুধবার মাত্র দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় পুরো শহর। চার ঘণ্টার বেশি সময় এ পানিতে থমকে ছিল নগরী। নালায় পড়ে যাওয়া এক পথচারীর খোঁজ মেলেনি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। শুধু তা-ই নয়, গত দুই মাসের বৃষ্টিতে অন্তত ১৫ দিন তলিয়েছে নগরীর নিম্নাঞ্চল। পানি উঠেছে খোদ সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায়ও। প্রশ্ন উঠেছে এত হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সুফল তাহলে কী পেল নগরবাসী?

এত এত প্রকল্পের কাজ চললেও জলাবদ্ধতা কমে যাওয়ার বদলে উল্টো বাড়ছে। নগরীর চাঁন্দগাও এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী মো. তুষার  বলেন, আগে এখানে পানি উঠত না। দুই বছর ধরে নতুন নতুন এলাকা ডুবছে। পানি উঠলে নামতে অনেক দেরি হয়। খালের মুখে বাঁধ থাকায় পানি নামছে না।

তিন বছর ধরে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের তিনটি সংস্থা। এর মধ্যে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকায় দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যার মধ্যে বড় ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প’টি হলো ৫  হাজার ৬১৬ কোটি টাকার, যা তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়া ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই পর্যন্ত সড়ক ও বাঁধ নির্মাণে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজ করছে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার। এ সংস্থাটি ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৪০টি খালে পানি নিয়ন্ত্রণে ৬৯টি পাম্পহাউস নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল। এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীতে পড়া খালের মুখে রেগুলেটর স্থাপন করা হবে ২৩টি।

এর বাইরে নতুন একটি খাল খনন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নগরের বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ খালটি খনন করছে চসিক।

সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল শাহ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। এখন অর্থ বরাদ্দে আটকে আছে কাজ। এ বছর অন্তত ৮০০ কোটি টাকা প্রয়োজন, কিন্তু পেয়েছি ৩২৫ কোটি। এতে অনেক ঠিকাদারকে আমরা সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে পারছি না।’

এ ছাড়া চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে বাঁধ ও সড়ক নির্মাণে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৬০ শতাংশ। এখানে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার মধ্যে ৭৩ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে। এখানে চারটি ধাপের মধ্যে দুটি ধাপের কাজ শুরুই হয়নি। মোটের ওপর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’

তবে সাত বছর আগে নেওয়া সিটি করপোরেশনের বাড়ইপাড়া খাল খনন কর্মসূচি এখন বন্ধ। অর্থ বরাদ্দসহ নানা জটিলতায় এ প্রকল্প থমকে আছে। অথচ এ সাত বছরে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এর আগে মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মেয়র এম মঞ্জুর আলম এবং আ জ ম নাছির উদ্দিনের আমলে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজে। 

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩৬টি খালে কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তারাই বলতে পারবে কী হচ্ছে। এখন এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের কোনো দায় নেই। আমরা বাড়ইপাড়া খাল খননে ভূমি অধিগ্রহণে ৯২৪ কোটি টাকা পেয়েছি। একনেকের সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন পেলেই খাল খনন শুরু করব।’

তবে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূলত সমন্বয় না হওয়ায় এসব প্রকল্পে জটিলতা তৈরি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কিছু খালের কাজ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের কাজ ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বন্ধ। এটা হাস্যকর। আমার মতে, এসব প্রকল্প শুরুর আগেই চট্টগ্রামের সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করা খুবই জরুরি। পরে ওয়াসা, সিডিএ, সিটি করপোরেশন, বন্দর, রেলওয়ে, পরিবেশ অধিদপ্তর—সবাই যার যার মতো বক্তব্য দেয়, কাজে বাধা দেয়। এটা সমন্বয় করতে হবে মন্ত্রণালয়কেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাডে নিহত আবুল কালাম: মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম চোকদারকে তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। প্রিয়জনকে শেষবিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত হন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

এর আগে, গতকাল রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন আইলপাড়া বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্বজনেরা তাঁর মরদেহ নিয়ে দেশের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন এবং রাত ২টার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ (৩৬) নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছোট ছেলে। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর মা-বাবা মারা যান।

আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান—আব্দুল্লাহ (৫) ও সুরাইয়াকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানতলী এলাকায় বসবাস করতেন। ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে তিনি জনশক্তি রপ্তানির কাজ করতেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের একটি বেয়ারিং প্যাড খুলে সরাসরি আবুল কালামের মাথা পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আবুল কালামের মেজো ভাই খোকন চোকদার বলেন, রাত ২টার দিকে ছোট ভাই আবুল কালামের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আজ সকাল ৯টায় গ্রামের মসজিদে জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা শেখ বলেন, ‘আবুল কালামের মা-বাবা অনেক আগেই মারা যান। ছেলেটি অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার হঠাৎ এভাবে করুণ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘আবুল কালামের মৃত্যু মর্মান্তিক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুলাউড়ায় মোটরসাইকেল-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাতে কুলাউড়া থেকে বড়লেখাগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ানসহ মোট পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাঘায় কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ১২, আতঙ্কে এলাকাবাসী

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা লক্ষবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হঠাৎ পাগলা কুকুর পথচারীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে ১২ জন আহত হয়। তাদের অনেকেই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে দিঘা আঠালিয়া গ্রামের আহত নাজমুল হোসেনকে (২৫) সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

কুকুরের কামড়ে আহত দিঘা নওদাপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দিন (৫৬) বলেন, ‘গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে পথে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ কুকুর কামড়ে দেয়। পরে ভ্যাকসিন নিয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামন আসাদ বলেন, আহত কয়েকজন ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে শুনেছি। তবে অতি দ্রুত কুকুরটি আটক করতে পারলে ভালো হয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বাঘা পৌরসভার প্রশাসক শাম্মী আক্তার বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পৌরসভায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, তা জেনেছি। তবে হাইকোর্টে রিট থাকায় উপজেলা ও পৌরসভা কর্তৃক নিধন বা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইন মেনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহ পাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া এলাকায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। আইনানুগ ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত