Ajker Patrika

যে সরকারই আসুক, তারা আদিবাসীদের বৈষম্যের চোখে দেখে: ঊষাতন তালুকদার

রাঙামাটি প্রতিনিধি 
ঊষাতন তালুকদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঊষাতন তালুকদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, যে সরকারই আসুক, তারা আদিবাসীদের মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে পারে না। তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে। উপনেবিশক আচার-আচরণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আদিবাসীদের নির্যাতন ও উচ্ছেদ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদে (পিসিপি) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৯তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঊষাতন তালুকদার এসব কথা বলেন।

ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ এ দেশেরই নাগরিক। পার্বত্য চট্টগ্রাম এ দেশেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমরা সেই চুক্তি বাস্তায়নের আশায় চেয়ে আছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী সত্যিকারে সোনার বাংলাকে ভালোবাসে। কিন্তু দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে শুরু করে নানান অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। তাই বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার নয়, গভীরতর দৃষ্টিকোণ দেখতে হবে এবং পার্বত্য সমস্যাকে সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।’

পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ম্রানুসিং মারমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈশানু মারমা।

এর আগে জাতীয়, দলীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন ঊষাতন তালুকদার। এ কাউন্সিলে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক পিসিপি নেতা-কর্মী অংশ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছরে পেরিয়ে গেলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। যদি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হতো, তাহলে পাহাড়ে পাহাড়ি-বাঙালি সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো ঘটত না। চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে যতই কালক্ষেপণ করছে, ততই পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্য সরকারকে অবশ্যই খেসারত দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতা অনন্তকাল পর্ষন্ত চলতে পারে না। এই অস্তিরতা একদিন সমাপ্ত করতে হবে। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অপশক্তির বিরুদ্ধে ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সবাইকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত