সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
সবুজ পাহাড়, গুহা, উপত্যকা আর দৃষ্টিনন্দন ঝরনা নিয়ে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি। চলতি বছর ভরা বর্ষায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে এখানকার পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনাগুলো। পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে যেন। দূরে ভেসে যাওয়া জলধারা নেমে আসার আওয়াজ পর্যটকদের আগমনী বার্তা দেয়। এরই মধ্যে সন্ধান পাওয়া গেছে নতুন আকর্ষণ ‘তৈছামা ঝরনা’।
ত্রিপুরা শব্দ ‘তৈছামা’ অর্থ ঝরনার মা। দুই দিক থেকে দুটি ঝরনা এই ঝরনায় এসে মিলিত হয়েছে। ঝরনার মিলনস্থলকে বলা হয় ‘তুয়ারি মাইরাং’। তৈছামা ঝরনাটি জেলার দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বিষ্ণু কার্বারিপাড়ায় অবস্থিত। অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে এ ঝরনা দেখতে স্থানীয় পর্যটক ছাড়াও বাইরে থেকে আসছেন অনেকেই। তৈছামা ঝরনায় পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় ছোট বড় পাহাড়, জুমখেত, স্রোতস্বিনী ঝিরি এবং পাথুরে রাস্তা। লোকালয় থেকে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছাতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
উঁচু-নিচু পাহাড়ে এখন চোখধাঁধানো সবুজ জুম। উঁচু পাহাড় থেকে দৃষ্টি যাবে সুদূরে দিগন্তে। আকাশছোঁয়া পাহাড় দেখে বিস্মিত হবে যে কেউ। বন্ধুর পথ যেতে যেতে মনে হবে যেন আকাশ ছোঁয়া যাবে। জুম পাহাড়ের গায়ে হেলান দেয় নীল আকাশ। শরতের রূপ ধরা দেবে ভরা বর্ষায়।
পাহাড়ের পথ শেষে হাঁটতে হবে ঝিরির পথে। ঘন সবুজ আর উঁচু পাহাড়ের কারণে ঝিরিপথে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। ঝিরির দুই পাশে উঁচু উঁচু টারশিয়ান যুগের পাহাড়। পাহাড়ি ঝিরিতে গা ছমছম অনুভূতি। ঝিরিতে শত বছর ধরে আটকে আছে বড় বড় পাথরখণ্ড। পাথর ও ক্যাসকেড বেয়ে নামছে পানির স্রোত।
ঝিরিপথ শেষে পার হতে হবে গিরিখাত। পথের দুই পাশে অন্তত দেড় শ ফুট উঁচু দুইটি পাহাড়। এ পথে যেতে মনে হবে আরব্য উপন্যাস আলী বাবা ও চল্লিশ চোরের সেই জাদুকরি দরজা খুলে রেখেছে প্রকৃতি। টারশিয়ান যুগের পাথুরে পাহাড় ছেড়ে অল্প এগোতেই তৈছামা ঝরনা। পাহাড় থেকে নেমে এসে এখানে দুটো ঝরনা এক হয়েছে। খুব বেশি উঁচু না হলেও দুই দিক থেকে আসা জলের স্রোতে মুগ্ধ হবে যেকোনো পর্যটক।
ঝরনায় বেড়াতে আসা জীবন চৌধুরী জানান, ‘করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন যান্ত্রিক জীবনে আটকে ছিলাম। তৈছামা ঝরনা দেখতে এলাম। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাঁরা আসতে পারেন। যাত্রাপথ অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। যাঁরা পাহাড়ে আসতে পছন্দ করেন, ঝরনা পছন্দ করেন, এটি তাঁদের জন্য পারফেক্ট একটি জায়গা। ঝরনায় এসে মুগ্ধ হয়েছি। চারপাশটা বেশ রোমাঞ্চকর।’
পর্যটকদের যাতায়াতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আগত পর্যটকদের গাইড সুবিধা দেবেন বলে আশ্বাস দেন তাঁরা। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গণেশ ত্রিপুরা জানান, ‘ঝরনায় যাতায়াতের পথ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তাসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে দিলে সুবিধা হবে।’
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘খাগড়াছড়িতে তৈদুছড়া, তুয়ারি মাইরাং, রিছাং, তৈছামাসহ বেশ কয়েকটি ঝরনা রয়েছে। অন্য জেলায় একসঙ্গে এতগুলো নেই। ঝরনা ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তার পাশাপাশি গাইড সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, তা আমরা ভাবছি।’
সবুজ পাহাড়, গুহা, উপত্যকা আর দৃষ্টিনন্দন ঝরনা নিয়ে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি। চলতি বছর ভরা বর্ষায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে এখানকার পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনাগুলো। পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে যেন। দূরে ভেসে যাওয়া জলধারা নেমে আসার আওয়াজ পর্যটকদের আগমনী বার্তা দেয়। এরই মধ্যে সন্ধান পাওয়া গেছে নতুন আকর্ষণ ‘তৈছামা ঝরনা’।
ত্রিপুরা শব্দ ‘তৈছামা’ অর্থ ঝরনার মা। দুই দিক থেকে দুটি ঝরনা এই ঝরনায় এসে মিলিত হয়েছে। ঝরনার মিলনস্থলকে বলা হয় ‘তুয়ারি মাইরাং’। তৈছামা ঝরনাটি জেলার দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বিষ্ণু কার্বারিপাড়ায় অবস্থিত। অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে এ ঝরনা দেখতে স্থানীয় পর্যটক ছাড়াও বাইরে থেকে আসছেন অনেকেই। তৈছামা ঝরনায় পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় ছোট বড় পাহাড়, জুমখেত, স্রোতস্বিনী ঝিরি এবং পাথুরে রাস্তা। লোকালয় থেকে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছাতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
উঁচু-নিচু পাহাড়ে এখন চোখধাঁধানো সবুজ জুম। উঁচু পাহাড় থেকে দৃষ্টি যাবে সুদূরে দিগন্তে। আকাশছোঁয়া পাহাড় দেখে বিস্মিত হবে যে কেউ। বন্ধুর পথ যেতে যেতে মনে হবে যেন আকাশ ছোঁয়া যাবে। জুম পাহাড়ের গায়ে হেলান দেয় নীল আকাশ। শরতের রূপ ধরা দেবে ভরা বর্ষায়।
পাহাড়ের পথ শেষে হাঁটতে হবে ঝিরির পথে। ঘন সবুজ আর উঁচু পাহাড়ের কারণে ঝিরিপথে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। ঝিরির দুই পাশে উঁচু উঁচু টারশিয়ান যুগের পাহাড়। পাহাড়ি ঝিরিতে গা ছমছম অনুভূতি। ঝিরিতে শত বছর ধরে আটকে আছে বড় বড় পাথরখণ্ড। পাথর ও ক্যাসকেড বেয়ে নামছে পানির স্রোত।
ঝিরিপথ শেষে পার হতে হবে গিরিখাত। পথের দুই পাশে অন্তত দেড় শ ফুট উঁচু দুইটি পাহাড়। এ পথে যেতে মনে হবে আরব্য উপন্যাস আলী বাবা ও চল্লিশ চোরের সেই জাদুকরি দরজা খুলে রেখেছে প্রকৃতি। টারশিয়ান যুগের পাথুরে পাহাড় ছেড়ে অল্প এগোতেই তৈছামা ঝরনা। পাহাড় থেকে নেমে এসে এখানে দুটো ঝরনা এক হয়েছে। খুব বেশি উঁচু না হলেও দুই দিক থেকে আসা জলের স্রোতে মুগ্ধ হবে যেকোনো পর্যটক।
ঝরনায় বেড়াতে আসা জীবন চৌধুরী জানান, ‘করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন যান্ত্রিক জীবনে আটকে ছিলাম। তৈছামা ঝরনা দেখতে এলাম। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাঁরা আসতে পারেন। যাত্রাপথ অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। যাঁরা পাহাড়ে আসতে পছন্দ করেন, ঝরনা পছন্দ করেন, এটি তাঁদের জন্য পারফেক্ট একটি জায়গা। ঝরনায় এসে মুগ্ধ হয়েছি। চারপাশটা বেশ রোমাঞ্চকর।’
পর্যটকদের যাতায়াতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আগত পর্যটকদের গাইড সুবিধা দেবেন বলে আশ্বাস দেন তাঁরা। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গণেশ ত্রিপুরা জানান, ‘ঝরনায় যাতায়াতের পথ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে রাস্তাসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে দিলে সুবিধা হবে।’
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘খাগড়াছড়িতে তৈদুছড়া, তুয়ারি মাইরাং, রিছাং, তৈছামাসহ বেশ কয়েকটি ঝরনা রয়েছে। অন্য জেলায় একসঙ্গে এতগুলো নেই। ঝরনা ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তার পাশাপাশি গাইড সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, তা আমরা ভাবছি।’
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে হিজড়াদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের গোবিন্দ মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেসোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) জায়গা থেকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
১৪ মিনিট আগেফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর যশপুর এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির নাম মো. জয়নাল আবেদীন (৪০)।
১৭ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী, শিশুসহ আরও ৩০ জনকে পুশ ইন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১৪ জন এবং বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের গানদাইল সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশ ইন করে। এ সময় বিজিবি তাঁদের আটক
২৫ মিনিট আগে