Ajker Patrika

আনোয়ারায় জমির টপ সয়েল বিক্রির হিড়িক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিদিন
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৩০
Thumbnail image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আবাদি জমির টপ সয়েল (ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি) বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। প্রভাবশালী ভূমিখেকোরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে এই মাটির ব্যবসা। অভিযোগ উঠেছে, অনেক ক্ষেত্রে জমির মালিকেরা মাটি বিক্রি করতে না চাইলেও তাঁদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধ্য করা হচ্ছে। 

এদিকে এসব মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী ও স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। তাই কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

অবাধে মাটি কাটার ফলে একদিকে যেমন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি, অন্যদিকে ঝুঁকিতে পড়ছে সেতু, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ফসলি জমিতে এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে সড়কে নেওয়ার ফলে গ্রামীণ পাকা রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। 

সরেজমিন উপজেলার বারখাইনের তৈলারদ্বীপ, বটতলী ইউনিয়নের তুলাতলী ও রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সরেঙ্গা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাটির ব্যবসায়ীরা ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এসব মাটি পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাড়ি, পুকুর ভরাটের কাজে ও ইটভাটায়। এ ছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্পট্রাক চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। ধুলোবালুতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। 

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বারখাইনের তৈলারদ্বীপে অভিযান চালিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে মোহাম্মদ আরিফ নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মো. আবদুল্লাহ আল মুমিন। 

এর আগে বটতলী ইউনিয়নের তুলাতলী ও রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সরেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শামসুল আলমকে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং মো. হারুন অর রশীদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. ইশতিয়াক ইমন। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর এই মৌসুমে স্থানীয় একটি চক্র দিনদুপুরে বা রাতের আঁধারে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। ওই সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাও জড়িত। চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ কৃষকেরা ভয়ে চুপ থাকেন। চক্রটি জমির মালিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে মাটির ব্যবসা করছেন। অবৈধভাবে ফসলি জমির এসব মাটি কেটে প্রতি ট্রাক ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দিচ্ছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। 

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ আরিফ নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে এসব অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত