নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে হত্যার মামলায় শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের ভাই-ভাগনেকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার চট্টগ্রামের পঞ্চম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালত পুলিশের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন ওসমান আলী সেগুন (৫২) ও তাঁর ভাগনে আলভীন (৩০)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তা মো. রহমত বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানিকালে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের ২৬ মে রাতে নগরের চান্দগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২৩ মে রাত ৯টার দিকে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে আসা ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি পরদিন সকাল ৮টায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই ঘটনায় ২৬ মে রাতে আকবরের স্ত্রী রুপালী বেগম বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকবর নগরের বায়েজিদ থানার চালিতাতলী এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বায়েজিদ শিল্প এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধের ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি ২০০০ সালের চাঞ্চল্যকর আট খুনের মামলার আসামি ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের একসময়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকে আকবরের উদ্দেশে ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক পোস্ট ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। অন্যদিকে সাজ্জাদ দেশে ফিরলে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন আকবর। একই সঙ্গে তিনি অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রী তামান্নাকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দেন। রাউজানে সম্প্রতি একাধিক খুনের ঘটনায় তাঁকে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতার প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্যও করতে দেখা যায়।
একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার সঙ্গে শত্রুতা থাকলেও কয়েক মাস আগে আকবরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বাবলাও একসময় সাজ্জাদের শিষ্য ছিলেন। পরে উভয়ের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়াতে বাবলাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তখন তিনি বেঁচে গেলেও তাঁর দুই সহযোগী গুলিতে মারা যান। এসব কোন্দলের জেরেই আকবরকে গুলি করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আকবর ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিদেশি রিভলবার, এলজিসহ লক্ষ্মীপুরে পুলিশের হাতে আটক হন। এ সময় তাঁকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত বছর থেকে তিনি নানা ভিডিও পোস্ট ও লাইভে এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন।
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে হত্যার মামলায় শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের ভাই-ভাগনেকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার চট্টগ্রামের পঞ্চম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালত পুলিশের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন ওসমান আলী সেগুন (৫২) ও তাঁর ভাগনে আলভীন (৩০)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তা মো. রহমত বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানিকালে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের ২৬ মে রাতে নগরের চান্দগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২৩ মে রাত ৯টার দিকে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে আসা ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি পরদিন সকাল ৮টায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই ঘটনায় ২৬ মে রাতে আকবরের স্ত্রী রুপালী বেগম বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকবর নগরের বায়েজিদ থানার চালিতাতলী এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বায়েজিদ শিল্প এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধের ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি ২০০০ সালের চাঞ্চল্যকর আট খুনের মামলার আসামি ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের একসময়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকে আকবরের উদ্দেশে ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক পোস্ট ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। অন্যদিকে সাজ্জাদ দেশে ফিরলে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন আকবর। একই সঙ্গে তিনি অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রী তামান্নাকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দেন। রাউজানে সম্প্রতি একাধিক খুনের ঘটনায় তাঁকে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতার প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্যও করতে দেখা যায়।
একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার সঙ্গে শত্রুতা থাকলেও কয়েক মাস আগে আকবরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বাবলাও একসময় সাজ্জাদের শিষ্য ছিলেন। পরে উভয়ের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়াতে বাবলাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তখন তিনি বেঁচে গেলেও তাঁর দুই সহযোগী গুলিতে মারা যান। এসব কোন্দলের জেরেই আকবরকে গুলি করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আকবর ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিদেশি রিভলবার, এলজিসহ লক্ষ্মীপুরে পুলিশের হাতে আটক হন। এ সময় তাঁকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত বছর থেকে তিনি নানা ভিডিও পোস্ট ও লাইভে এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) র্যাগিংয়ের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা দুর্ব্যবহারের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আজ রোববার ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
২৫ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মিডিয়া সেল ...
৩৩ মিনিট আগেগত ১৭ বছর যে নেতা হামলা-মামলা ও গুমের শিকার হয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন এনসিপির নেতারা। এই বক্তব্যের জন্য যদি ক্ষমা না চান, তবে আমরা (ছাত্রদল) আগামীকাল সোমবার পদযাত্রা অংশ নিতে এলে তাঁদের ফেনীতে প্রবেশ করতে দেব না।’
৪১ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার চার দিন পর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই পৃথক চারটি হত্যা মামলা করেছে পুলিশ। সবকটি মামলায় নিহত ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে
১ ঘণ্টা আগে