নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেন্দ্র করে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার মননধর্মী সংগঠন খামখেয়ালি সভা ‘সন্জীদা খাতুন স্মরণাঞ্জলি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক পুরোধা ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই স্মরণাঞ্জলি অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণা করেন এবং সন্জীদা খাতুনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীতগুরু এবং সংগীতজ্ঞ হিসেবে তাঁর অবদান তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসীম দত্ত। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন খামখেয়ালি সভা ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ হাশিম ও অন্যতম সদস্য, চিত্রশিল্পী আব্দুল মান্নান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্জীদা খাতুন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রাক্-বক্তব্য দেন খামখেয়ালি সভা ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ হাশিম। তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সন্জীদা খাতুন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নৈতিকতার একটি মানদণ্ড স্থাপন করে গেছেন। তাঁর নির্দেশিত পথই হতে পারে আমাদের মুক্তির উপায়।’
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম সংগঠক সন্জীদা খাতুনের অবদান তুলে ধরে বলেন, ‘সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক বাঙালি সংস্কৃতিকে শক্ত ভিত দিয়েছিলেন।’ তিনি ‘তোমায় নতুন করে পাব বলে’ এবং ‘ওগো, পথের সাথি, নমি বারংবার’ গান দুটি পরিবেশন করেন।
ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় সন্জীদা খাতুনের বহুমুখী প্রতিভার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তাঁর বিচরণ বহুমুখী ও বহুবর্ণী। বাংলা ভাষার জন্য তাঁর অন্যতম অবদান হলো তাঁর ‘‘ধ্বনির কথা, আবৃত্তির কথা’’ বইটি। আমার আবৃত্তি ও শিল্পচর্চার পথের অন্যতম অনুসরণীয় হলেন সন্জীদা খাতুন।’ তিনি ‘ঝড়ের খেয়া’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন।
সন্জীদা খাতুনকে বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসীম দত্ত বলেন, ‘তিনি শুধু গান শেখাতেন না; গানের অর্থ, প্রেক্ষাপট ও আনুষঙ্গিক ঘটনাও বলতেন। কাব্যগত, ভাবগত, সুরগত অনুভব বুঝিয়ে দিতেন তিনি। সংগীতে তাঁর অবদান মৌলিক ও অনন্য।’
খামখেয়ালি সভা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য চিত্রশিল্পী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে এমন প্রজন্ম তৈরি করে গেছেন। এই পরম্পরা ধরে রাখার দায়িত্ব তাঁদের, যাঁরা তাঁদের সাহচর্য লাভ করেছেন।’
ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন সন্জীদা খাতুন। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত শতকের ষাটের দশকে জাতির জাগরণের উত্তাল সময়ে ছায়ানট হয়ে ওঠে বাঙালির সাংস্কৃতিক যাত্রার দিশারি সংগঠন। ১৯৭২ সাল থেকে ‘ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন’-এর অবৈতনিক অধ্যক্ষ, ২০০১ সাল থেকে ছায়ানটের সভাপতি, ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
প্রচলিত ধারার বাইরে ভিন্নধর্মী শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নালন্দা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর তিনি ইডেন কলেজ, কারমাইকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। গত ২৫ মার্চ ২০২৫ তিনি অকালপ্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন হারায় অন্যতম অভিভাবককে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেন্দ্র করে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার মননধর্মী সংগঠন খামখেয়ালি সভা ‘সন্জীদা খাতুন স্মরণাঞ্জলি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক পুরোধা ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই স্মরণাঞ্জলি অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণা করেন এবং সন্জীদা খাতুনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীতগুরু এবং সংগীতজ্ঞ হিসেবে তাঁর অবদান তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসীম দত্ত। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন খামখেয়ালি সভা ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ হাশিম ও অন্যতম সদস্য, চিত্রশিল্পী আব্দুল মান্নান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্জীদা খাতুন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রাক্-বক্তব্য দেন খামখেয়ালি সভা ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ হাশিম। তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সন্জীদা খাতুন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নৈতিকতার একটি মানদণ্ড স্থাপন করে গেছেন। তাঁর নির্দেশিত পথই হতে পারে আমাদের মুক্তির উপায়।’
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম সংগঠক সন্জীদা খাতুনের অবদান তুলে ধরে বলেন, ‘সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক বাঙালি সংস্কৃতিকে শক্ত ভিত দিয়েছিলেন।’ তিনি ‘তোমায় নতুন করে পাব বলে’ এবং ‘ওগো, পথের সাথি, নমি বারংবার’ গান দুটি পরিবেশন করেন।
ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় সন্জীদা খাতুনের বহুমুখী প্রতিভার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তাঁর বিচরণ বহুমুখী ও বহুবর্ণী। বাংলা ভাষার জন্য তাঁর অন্যতম অবদান হলো তাঁর ‘‘ধ্বনির কথা, আবৃত্তির কথা’’ বইটি। আমার আবৃত্তি ও শিল্পচর্চার পথের অন্যতম অনুসরণীয় হলেন সন্জীদা খাতুন।’ তিনি ‘ঝড়ের খেয়া’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন।
সন্জীদা খাতুনকে বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসীম দত্ত বলেন, ‘তিনি শুধু গান শেখাতেন না; গানের অর্থ, প্রেক্ষাপট ও আনুষঙ্গিক ঘটনাও বলতেন। কাব্যগত, ভাবগত, সুরগত অনুভব বুঝিয়ে দিতেন তিনি। সংগীতে তাঁর অবদান মৌলিক ও অনন্য।’
খামখেয়ালি সভা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য চিত্রশিল্পী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে এমন প্রজন্ম তৈরি করে গেছেন। এই পরম্পরা ধরে রাখার দায়িত্ব তাঁদের, যাঁরা তাঁদের সাহচর্য লাভ করেছেন।’
ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন সন্জীদা খাতুন। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত শতকের ষাটের দশকে জাতির জাগরণের উত্তাল সময়ে ছায়ানট হয়ে ওঠে বাঙালির সাংস্কৃতিক যাত্রার দিশারি সংগঠন। ১৯৭২ সাল থেকে ‘ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন’-এর অবৈতনিক অধ্যক্ষ, ২০০১ সাল থেকে ছায়ানটের সভাপতি, ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
প্রচলিত ধারার বাইরে ভিন্নধর্মী শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নালন্দা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর তিনি ইডেন কলেজ, কারমাইকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। গত ২৫ মার্চ ২০২৫ তিনি অকালপ্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন হারায় অন্যতম অভিভাবককে।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গি নির্মূলে বদ্ধ পরিকর। তবে শেখ হাসিনার সাজানো নাটকের জঙ্গিদের নিয়ে এখন পুনরায় ভাবার সময় এসেছে।’ আজ বুধবার ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
১৭ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় চলন্ত বাস থেকে সৈকত আহমেদ (২৫) নামের এক যাত্রীকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাসটির সুপারভাইজার ওই যুবককে ধাক্কা দেয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে সুপারভাইজার ও হেলপার পলাতক। পুলিশ বাসটিকে আটক করে থানায় এনেছে।
২১ মিনিট আগেটেকেরহাটে গরুর হাটে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় মাহিন্দ্রা উল্টে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে ভাঙ্গা-টেকেরহাট মহাসড়কের বাবলাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বাবা, ছেলে, ভাগনেসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।
২৩ মিনিট আগেনাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝারি তিনটি গরু নিয়ে সকালে বাজারে আসলাম। দুপুর পর্যন্ত দু-তিনজন ছাড়া কেউই দাম হাঁকেনি। হাঁকানো দামও সন্তোষজনক নয়।’
৪০ মিনিট আগে