মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের উপস্থিতি কম হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এতে ওই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা অভিভাবকদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ হাঁটু ও কোমরপানির নিচে রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে শিশুশিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি থাকায় কমতে থাকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। এক মাসের বেশি সময় পার হলেও পানি না কমায় অনিশ্চয়তায় পড়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসে হাতে গোনা শিক্ষার্থী। পানি মাড়িয়ে চলতে গিয়ে প্রতিদিন ভিজে নষ্ট হয় শিশুদের জামাকাপড়। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কাও বেড়েছে শিশুদের।
এদিকে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ও মাঠে দীর্ঘদিন পানি থাকায় বিদ্যালয়ে আসতে বিপাকে পড়ছেন শিক্ষকেরাও। কয়েকটি বিদ্যালয়ে পানি পার হয়ে শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এটি পিচ্ছিল থাকায় শিশুশিক্ষার্থীরা অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যায়। এমন অবস্থায় বিদ্যালয় আঙিনা থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সে জন্য বিদ্যালয়ের মাঠ উঁচু করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বেগমগঞ্জ উপজেলার মধ্য করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাত বলে, ‘স্কুল মাঠে পানি জমে আছে দীর্ঘদিন ধরে। পানির কারণে গত মাসের বেশির ভাগ সময় আমার অনেক সহপাঠী বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি। মাঠে পানি থাকায় আমাদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।’
চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনোয়ার জানায়, বিদ্যালয়ের পুরো মাঠে পানি। এতে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে জামাকাপড় ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
মাকসুদা আক্তার নামের এক শিশুশিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি থাকায় বাচ্চাকে নিয়মিত স্কুলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আগে সে (মাকসুদা) একাই বিদ্যালয়ে আসত, কিন্তু মাঠে পানি ওঠার পর থেকে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হয়। এভাবে অনিয়মিত হলে বাচ্চাদের লেখাপড়ার ভীষণ ক্ষতি হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে চলতি বছরের জলাবদ্ধতায় বিদ্যালয়ের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হলেও জলজটের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। চলতি বছরে এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে জেলার সদরের ৯টি, সোনাইমুড়ীর ৩৪টি, কোম্পানীগঞ্জের ১৭টি, বেগমগঞ্জের ৮১টি, সেনবাগের ৯টি, কবিরহাটের ২২টি ও সুবর্ণচর উপজেলার ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে কথা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি থাকায় অনেক বিদ্যালয়ের আঙিনা ও মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু, সেগুলো ভরাটের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে তাদের উপস্থিতি কম হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এতে ওই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা অভিভাবকদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ হাঁটু ও কোমরপানির নিচে রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে শিশুশিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি থাকায় কমতে থাকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। এক মাসের বেশি সময় পার হলেও পানি না কমায় অনিশ্চয়তায় পড়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসে হাতে গোনা শিক্ষার্থী। পানি মাড়িয়ে চলতে গিয়ে প্রতিদিন ভিজে নষ্ট হয় শিশুদের জামাকাপড়। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কাও বেড়েছে শিশুদের।
এদিকে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ও মাঠে দীর্ঘদিন পানি থাকায় বিদ্যালয়ে আসতে বিপাকে পড়ছেন শিক্ষকেরাও। কয়েকটি বিদ্যালয়ে পানি পার হয়ে শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এটি পিচ্ছিল থাকায় শিশুশিক্ষার্থীরা অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যায়। এমন অবস্থায় বিদ্যালয় আঙিনা থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সে জন্য বিদ্যালয়ের মাঠ উঁচু করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বেগমগঞ্জ উপজেলার মধ্য করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাত বলে, ‘স্কুল মাঠে পানি জমে আছে দীর্ঘদিন ধরে। পানির কারণে গত মাসের বেশির ভাগ সময় আমার অনেক সহপাঠী বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি। মাঠে পানি থাকায় আমাদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।’
চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনোয়ার জানায়, বিদ্যালয়ের পুরো মাঠে পানি। এতে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে জামাকাপড় ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
মাকসুদা আক্তার নামের এক শিশুশিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি থাকায় বাচ্চাকে নিয়মিত স্কুলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আগে সে (মাকসুদা) একাই বিদ্যালয়ে আসত, কিন্তু মাঠে পানি ওঠার পর থেকে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হয়। এভাবে অনিয়মিত হলে বাচ্চাদের লেখাপড়ার ভীষণ ক্ষতি হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে চলতি বছরের জলাবদ্ধতায় বিদ্যালয়ের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হলেও জলজটের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। চলতি বছরে এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে জেলার সদরের ৯টি, সোনাইমুড়ীর ৩৪টি, কোম্পানীগঞ্জের ১৭টি, বেগমগঞ্জের ৮১টি, সেনবাগের ৯টি, কবিরহাটের ২২টি ও সুবর্ণচর উপজেলার ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে কথা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি থাকায় অনেক বিদ্যালয়ের আঙিনা ও মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু, সেগুলো ভরাটের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৪ ঘণ্টা আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
৪ ঘণ্টা আগেপায়ে বল, গায়ে আর্জেন্টিনার জার্সি। বলের ওপর অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ। তার পায়ে যখন বল থাকে, মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে থাকেন দর্শকেরা। মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর বয়সেই এমন ফুটবল প্রতিভা শিশু সোহানের!
৫ ঘণ্টা আগে