চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ জন শিশু। রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগ চিকিৎসা সেবা পেলেও হাসপাতালে সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চলতি শীত মৌসুমে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিনা মূল্যে অধিকাংশ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে শিশুদের এবং অনেক শিশু সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে শয্যার তুলনায় রোগী বেশি হওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অনেককেই মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। অনেক শিশুর অভিভাবককে জায়গা সংকটের কারণে দিনের বেলায় হাসপাতালের বারান্দায় অবস্থান করতে হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার লোকজনের বিনা মূল্যে চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসাস্থল ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল। চলতি শীত মৌসুমে গত কদিন ধরে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি থাকায় শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৪২টি বেড থাকলেও প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৭০-৮০ জন রোগী। যে কারণে বেড না পেয়ে অনেক শিশুকে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ শিশু। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছে ৩১৫ রোগী। চিকিৎসা সেবায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৯৫ শিশু। ২০ জন শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শহরের পুরান বাজার এলাকার রোকসানা বেগম জানান, তাঁর শিশু সন্তানকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে ডাক্তাররা এসে প্রতিদিন চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে চিকিৎসা পেলেও ওষুধ পাচ্ছেন না।
সদরের বাবুরহাট এলাকার জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব অসহায় হওয়ার কারণে ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। আমাদের চিকিৎসা ও ওষুধ দুটি দেওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছি না।’
হাসপাতালের নার্সরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ৭০-৮০ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্ত শিশুদের নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
হাসপাতালের শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসমা বেগম বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগী বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয় ফার্মেসিতে না গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে অভিভাবকদের।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম মাহবুবুল আলম বলেন, সারা দেশে শৈত্য প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুরেও নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০ জন শিশু রেফার হয়েছে এবং দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আমাদের হাসপাতালে শিশুদের জন্য বেড হচ্ছে ৪২ টি। কিন্তু প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছে গড়ে ৭০-৮০ জন। রোগীদের অভিযোগ থাকবে। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে এবং চিকিৎসা সেবায় কোনো ত্রুটি করা হচ্ছে না।’
চাঁদপুরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ জন শিশু। রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগ চিকিৎসা সেবা পেলেও হাসপাতালে সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চলতি শীত মৌসুমে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিনা মূল্যে অধিকাংশ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে শিশুদের এবং অনেক শিশু সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে শয্যার তুলনায় রোগী বেশি হওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অনেককেই মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। অনেক শিশুর অভিভাবককে জায়গা সংকটের কারণে দিনের বেলায় হাসপাতালের বারান্দায় অবস্থান করতে হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার লোকজনের বিনা মূল্যে চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসাস্থল ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল। চলতি শীত মৌসুমে গত কদিন ধরে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি থাকায় শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে শিশুদের জন্য ৪২টি বেড থাকলেও প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৭০-৮০ জন রোগী। যে কারণে বেড না পেয়ে অনেক শিশুকে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ শিশু। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছে ৩১৫ রোগী। চিকিৎসা সেবায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৯৫ শিশু। ২০ জন শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শহরের পুরান বাজার এলাকার রোকসানা বেগম জানান, তাঁর শিশু সন্তানকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে ডাক্তাররা এসে প্রতিদিন চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে চিকিৎসা পেলেও ওষুধ পাচ্ছেন না।
সদরের বাবুরহাট এলাকার জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব অসহায় হওয়ার কারণে ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। আমাদের চিকিৎসা ও ওষুধ দুটি দেওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছি না।’
হাসপাতালের নার্সরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ৭০-৮০ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি। আক্রান্ত শিশুদের নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
হাসপাতালের শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসমা বেগম বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগী বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয় ফার্মেসিতে না গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে অভিভাবকদের।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম মাহবুবুল আলম বলেন, সারা দেশে শৈত্য প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুরেও নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০ জন শিশু রেফার হয়েছে এবং দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আমাদের হাসপাতালে শিশুদের জন্য বেড হচ্ছে ৪২ টি। কিন্তু প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছে গড়ে ৭০-৮০ জন। রোগীদের অভিযোগ থাকবে। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে এবং চিকিৎসা সেবায় কোনো ত্রুটি করা হচ্ছে না।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
১ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে