Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ জুন ২০২২, ১১: ২০
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ 

সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। দগ্ধ ও আহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দীন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আলাউদ্দীন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ১৫টি মরদেহ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে আনা হচ্ছে। 

এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আর ডিপোতে কর্মরত অনেকে জানিয়েছেন, ৪০০ থেকে ৫০০ কনটেইনার পুড়ে গেছে।

ভোর ৫টার সময়েও ডিপোর কনটেইনারে আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের সদস্যরা আগুন নির্বাপণে তাঁদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে পানির সংকটে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এই সমস্যা তৈরি হয় ডিপোতে থাকা ট্রাকগুলো নিরাপদে সরাতে গিয়ে। আধপোড়া ও অক্ষত থাকা ট্রাকগুলো দ্রুত ডিপো থেকে বের হওয়ার সময় নির্বাপণকাজে ব্যবহৃত হোসপাইপের ওপর চাপ লেগে তা ফেট গিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় সচল করা হলেও বারবার বাধার মুখে পড়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল পানি চলাচল। 

ডিপোতে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিপোতে নিয়মিত সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কনটেইনার থাকে। বেশ কিছু কনটেইনারবাহী গাড়ি বের হলেও বেশির ভাগই সেখানে আটকে ছিল। কারণ চাইলেই কনটেইনার নিয়ে বের হতে পারে না ট্রাকগুলো। অনুমোদনের বিষয় থাকে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে অবস্থিত এই ডিপো নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে চালু হওয়া এই ডিপো দেশের অন্যতম বড় ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো-আইসিডি হিসেবে পরিচিত। 

শনিবার রাত ৯টার লোড ইয়ার্ডে রাসায়নিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথম দিকে আগুনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও ডিপোর কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাছ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। ডিপোর কর্মীদের কেউ কেউ আগুনের দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তাঁদের অনেকেই আগুনে তলিয়ে যান।

ডিপোতে লাগা আগুনে চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন রাশেদুল ইসলাম। ডিপোর আইসিডি-২ শাখায় কর্মরত তিনি। তাঁর অবশ্য রাতে ডিউটি ছিল না। আগুনের খবর পেয়ে পাশের কোয়ার্টার থেকে অন্যদের নিয়ে ছুটে আসেন রাশেদুলও। তিনি বলেন, ‘আগুনের দৃশ্য দেখছিলাম। এমন সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে হাতে থাকা মোবাইলটিও হারিয়ে যায়। আগুনের তাপে চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছি।’ পরে অন্য সহকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।  

আহতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশেকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আহতদের বিভিন্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ 

এ ছাড়া চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে হত্যা

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত