সুমন্ত চাকমা, বোধিপুর থেকে ফিরে
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের পশ্চিমে বোধিপুর গ্রাম। এখানে ১৩৬ পরিবারের বাস। এদের অধিকাংশই ধানি জমি চাষাবাদের ওপর নির্ভরশীল। তবে বৃষ্টিনির্ভর ছিল চাষাবাদ। ঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো তাদের।
এখন চাষাবাদে সেই অনিশ্চয়তা নেই। সৌরশক্তিতে নতুনভাবে আশা জোগান দিচ্ছে বোধিপুরবাসীর। সৌরপাম্প স্থাপন করে তিন মৌসুমেই চাষাবাদের স্বপ্ন বুনছেন তাঁরা।
জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে ৭৫ হেক্টর জমির অধিকাংশই পানির অভাবে অনাবাদি থাকত। বোরো মৌসুমে কিছুটা চাষাবাদ হলেও বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করত আমন চাষাবাদ। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনে খরার প্রভাব ছিল এখানে। ফলে এসব জমি চাষাবাদ অনিশ্চিত ছিল।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপির সহায়তায় পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ু সহনশীল প্রকল্প (সিসিআরপি) বাস্তবায়ন করছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্প। এতে অর্থায়ন করছে ডেনমার্কভিত্তিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস (ডানিডা)।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নে কৃষি সেচব্যবস্থায় সৌর প্যানেল ও পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৩৫০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি সোলার, ৩ হর্স মোটর ও একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ৪ হাজার ২০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি সোলার থেকে ৩ হর্স মোটর দিয়ে জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ বীজতলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ নিজের জমিতে পানি নিতে কাঁচা নালা তৈরি করতে ব্যস্ত।
বোধিপুরের স্থানীয় কার্বারি চন্দ্রমুনি চাকমা বলেন, ‘জমিগুলোর ওপর নির্ভর করে আমাদের খাদ্যের নিশ্চয়তা। সোলারচালিত পাম্প স্থাপনে এখন তিন মৌসুম চাষাবাদ করা যাবে।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা জানান, বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে ৭৫ হেক্টর জমিতে কোনোরকমে চাষাবাদ হয়। তবে বোরো মৌসুমে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় ২০-২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন কৃষকেরা। সোলার ও সেচপাম্প স্থাপনে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে। তার পাশাপাশি বোরো মৌসুমে ৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা যাবে এবং ফলনও বাড়বে।
বোধিপুরের চিজিবো চাকমার স্বামী মারা গেছেন ছয় বছর আগে। এরপর থেকে ৮০ শতাংশ জমির ফসলের ওপর নির্ভর করে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ ও বছরের খাবার। চিজিবো চাকমা বলেন, ‘প্রায় সময় তানাপুরায় ছিলাম, এখন ২-৩ মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারব।’
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সিসিআরপির জেলা কর্মকর্তা পলাশ খীসা বলেন, কৃষি সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বোধিপুরে গভীর নলকূপ, সোলার প্যানেল ও পাম্প স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় ফুরোমান পাহাড়ে চারটি গ্রামে জিএফএসের মাধ্যমে পানি সরবরাহকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এর সুবিধা পাচ্ছেন এলাকাবাসী।
সাতছড়ি ইউপি সদস্য মৃণাল কান্তি চাকমা বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কৃষি সেচব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে। ফুরোমোনর চারটি পাড়ায় গৃহস্থালি পানি সরবরাহে এলাকায় উপকার হয়েছে।
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুর্গেশ্বর চাকমা বলেন, ‘স্বল্প বরাদ্দে দৃশ্যমান বড় কাজ হয়েছে, এটা না দেখে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। আমি নিজেই এই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিশাল জনগোষ্ঠী এ প্রকল্পের সুবিধা এখন পাচ্ছে।’
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের পশ্চিমে বোধিপুর গ্রাম। এখানে ১৩৬ পরিবারের বাস। এদের অধিকাংশই ধানি জমি চাষাবাদের ওপর নির্ভরশীল। তবে বৃষ্টিনির্ভর ছিল চাষাবাদ। ঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো তাদের।
এখন চাষাবাদে সেই অনিশ্চয়তা নেই। সৌরশক্তিতে নতুনভাবে আশা জোগান দিচ্ছে বোধিপুরবাসীর। সৌরপাম্প স্থাপন করে তিন মৌসুমেই চাষাবাদের স্বপ্ন বুনছেন তাঁরা।
জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্ব পাশে ৭৫ হেক্টর জমির অধিকাংশই পানির অভাবে অনাবাদি থাকত। বোরো মৌসুমে কিছুটা চাষাবাদ হলেও বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করত আমন চাষাবাদ। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনে খরার প্রভাব ছিল এখানে। ফলে এসব জমি চাষাবাদ অনিশ্চিত ছিল।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপির সহায়তায় পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ু সহনশীল প্রকল্প (সিসিআরপি) বাস্তবায়ন করছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্প। এতে অর্থায়ন করছে ডেনমার্কভিত্তিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস (ডানিডা)।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নে কৃষি সেচব্যবস্থায় সৌর প্যানেল ও পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৩৫০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি সোলার, ৩ হর্স মোটর ও একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ৪ হাজার ২০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি সোলার থেকে ৩ হর্স মোটর দিয়ে জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ বীজতলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ নিজের জমিতে পানি নিতে কাঁচা নালা তৈরি করতে ব্যস্ত।
বোধিপুরের স্থানীয় কার্বারি চন্দ্রমুনি চাকমা বলেন, ‘জমিগুলোর ওপর নির্ভর করে আমাদের খাদ্যের নিশ্চয়তা। সোলারচালিত পাম্প স্থাপনে এখন তিন মৌসুম চাষাবাদ করা যাবে।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা জানান, বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে ৭৫ হেক্টর জমিতে কোনোরকমে চাষাবাদ হয়। তবে বোরো মৌসুমে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় ২০-২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন কৃষকেরা। সোলার ও সেচপাম্প স্থাপনে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে। তার পাশাপাশি বোরো মৌসুমে ৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা যাবে এবং ফলনও বাড়বে।
বোধিপুরের চিজিবো চাকমার স্বামী মারা গেছেন ছয় বছর আগে। এরপর থেকে ৮০ শতাংশ জমির ফসলের ওপর নির্ভর করে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ ও বছরের খাবার। চিজিবো চাকমা বলেন, ‘প্রায় সময় তানাপুরায় ছিলাম, এখন ২-৩ মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারব।’
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সিসিআরপির জেলা কর্মকর্তা পলাশ খীসা বলেন, কৃষি সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বোধিপুরে গভীর নলকূপ, সোলার প্যানেল ও পাম্প স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় ফুরোমান পাহাড়ে চারটি গ্রামে জিএফএসের মাধ্যমে পানি সরবরাহকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এর সুবিধা পাচ্ছেন এলাকাবাসী।
সাতছড়ি ইউপি সদস্য মৃণাল কান্তি চাকমা বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কৃষি সেচব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে। ফুরোমোনর চারটি পাড়ায় গৃহস্থালি পানি সরবরাহে এলাকায় উপকার হয়েছে।
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুর্গেশ্বর চাকমা বলেন, ‘স্বল্প বরাদ্দে দৃশ্যমান বড় কাজ হয়েছে, এটা না দেখে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। আমি নিজেই এই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিশাল জনগোষ্ঠী এ প্রকল্পের সুবিধা এখন পাচ্ছে।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৫ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৫ ঘণ্টা আগে