সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের আকিলপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম মানিক। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে একই ইউনিয়নের সমপুরে শ্বশুরবাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। পরে ছোটখাটো ব্যবসার পরিকল্পনা করেন শহিদুল। পুঁজি হিসেবে শ্বশুরবাড়ি থেকে দেওয়া হয় কয়েক লাখ টাকা। আরও কয়েকটি এনজিও থেকে কিস্তিতে ঋণ নেন তিনি। পরে উপজেলার বক্তারমুন্সি বাজারে ‘মোস্তফা বিডিং শোরুম’ নামে একটি দোকান দেন। কারখানা ও গুদামের ব্যবস্থাও করেন।
ফেনীতে বন্যা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে কয়েক লাখ টাকার তুলা এনে রেখেছিলেন গুদামে। কাজ চলমান থাকায় কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র ছিল কারখানায়। বিক্রির জন্য তৈরি করা কয়েক লাখ টাকার লেপ, তোশক, জাজিম, বালিশ রাখা ছিল শোরুমে। কিন্তু কারখানা, গুদাম ও শোরুমে বন্যার পানি ঢুকে সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো কিছুই বিক্রি করার মতো অবস্থায় নেই। বন্যায় বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শহিদুল। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সমপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গুদাম ও কারখানার ভিজে যাওয়া জিনিসপত্র রোদে শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় শহিদুলকে সহায়তা করতে দেখা গেছে কারখানার এক কর্মচারীকেও। কথা হলে শহিদুল জানান, বিভিন্ন ফরমাশ পেয়ে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করেছিলেন তিনি ও কর্মচারীরা। কিন্তু বন্যায় সব শেষ হয়ে গেছে। দোকানের কোনো কিছুই রক্ষা করা যায়নি। সপ্তাহখানেক পানিতে ডুবে ছিল সবকিছু। সমপুরে থাকা কারখানা ও গুদাম থেকে কোনো কিছুই রক্ষা করা যায়নি। এখন ভেজা তুলাগুলো শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
সমপুরের স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে বন্যার সময় প্রায় ছয়-সাত ফুট পানি উঠেছে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। শহিদুলের গোডাউন ও কারখানা পানিতে ডুবে ছিল।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি, কিস্তি দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। অথচ আমি আজ কয়েক দিন ভালো করে খেতেও পারছি না। সংসার ও ব্যবসা সচল করতে পুঁজি কোথায় পাব সেটাও বুঝতেছি না। কয়েকজনের পরামর্শে ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকবার গিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো সহায়তা পাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের আকিলপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম মানিক। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে একই ইউনিয়নের সমপুরে শ্বশুরবাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। পরে ছোটখাটো ব্যবসার পরিকল্পনা করেন শহিদুল। পুঁজি হিসেবে শ্বশুরবাড়ি থেকে দেওয়া হয় কয়েক লাখ টাকা। আরও কয়েকটি এনজিও থেকে কিস্তিতে ঋণ নেন তিনি। পরে উপজেলার বক্তারমুন্সি বাজারে ‘মোস্তফা বিডিং শোরুম’ নামে একটি দোকান দেন। কারখানা ও গুদামের ব্যবস্থাও করেন।
ফেনীতে বন্যা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে কয়েক লাখ টাকার তুলা এনে রেখেছিলেন গুদামে। কাজ চলমান থাকায় কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র ছিল কারখানায়। বিক্রির জন্য তৈরি করা কয়েক লাখ টাকার লেপ, তোশক, জাজিম, বালিশ রাখা ছিল শোরুমে। কিন্তু কারখানা, গুদাম ও শোরুমে বন্যার পানি ঢুকে সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো কিছুই বিক্রি করার মতো অবস্থায় নেই। বন্যায় বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শহিদুল। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সমপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গুদাম ও কারখানার ভিজে যাওয়া জিনিসপত্র রোদে শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় শহিদুলকে সহায়তা করতে দেখা গেছে কারখানার এক কর্মচারীকেও। কথা হলে শহিদুল জানান, বিভিন্ন ফরমাশ পেয়ে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করেছিলেন তিনি ও কর্মচারীরা। কিন্তু বন্যায় সব শেষ হয়ে গেছে। দোকানের কোনো কিছুই রক্ষা করা যায়নি। সপ্তাহখানেক পানিতে ডুবে ছিল সবকিছু। সমপুরে থাকা কারখানা ও গুদাম থেকে কোনো কিছুই রক্ষা করা যায়নি। এখন ভেজা তুলাগুলো শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
সমপুরের স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে বন্যার সময় প্রায় ছয়-সাত ফুট পানি উঠেছে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। শহিদুলের গোডাউন ও কারখানা পানিতে ডুবে ছিল।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি, কিস্তি দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। অথচ আমি আজ কয়েক দিন ভালো করে খেতেও পারছি না। সংসার ও ব্যবসা সচল করতে পুঁজি কোথায় পাব সেটাও বুঝতেছি না। কয়েকজনের পরামর্শে ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকবার গিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো সহায়তা পাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পারিনি। এটি আমাদের ব্যর্থতা। তিনি ২০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজের জীবন দিয়েছেন। এ দেশে বাহিনী ছাড়া সিভিলিয়ানরা...
১৪ মিনিট আগেচলছে শ্রাবণ মাস। বর্ষা মৌসুম। এই সময়ে টানা বৃষ্টি, স্যাঁতসেঁতে মাঠঘাট আর আকাশে মেঘের ঘনঘটা—এমন চিত্রই আমাদের কাছে চিরচেনা। কিন্তু উত্তরবঙ্গের জেলা পঞ্চগড়ে আজ বুধবার একদমই অন্য রকম সকালের চিত্র দেখা গেছে। ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই দেখা গেল—চারদিক কুয়াশায় ঢাকা। ঘাসে ঘাসে শিশির, রাস্তায় ঝাপসা আলো, যেন শীতকাল
২৪ মিনিট আগেনিহতের সহকর্মী ওবায়দুর রহমান জানান, আতিকুর রহমান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর গ্রামে। রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবো এলাকায় একটি মেসে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান গ্রামে থাকেন।
৩১ মিনিট আগেডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাকন মিয়া বলেন, ‘সকালে ডেমরার শাপলা চত্বর এলাকায় এক তরুণ গণপিটুনির শিকার হয়েছে বলে খবর পাই। পরে সেখানে গিয়ে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
৩৯ মিনিট আগে