নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করতে স্ত্রী ও কন্যাসন্তান মেহেরিমা নূর আয়েশাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন সাজ্জাদুন নূর। চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেন তিনি। এরপর যাচ্ছিলেন বোয়ালখালী উপজেলার পূর্বগোমদণ্ডী ইউনিয়নে। কিন্তু কালুরঘাট সেতু তাদের জীবন ওলটপালট করে দিল মুহূর্তেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের ওপর ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় কোলের ছোট্ট শিশু আয়েশা। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন অটোরিকশাটিকে এক ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। এ ঘটনায় সাজ্জাদুন নূর ও তাঁর স্ত্রী জুবাইয়া ইসরা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছে দুই বছর বয়সী আয়েশা। এ সময় মেয়ের নিথর দেহ কোলে নিয়ে মা-বাবা কত ছোটাছুটি করেন মেয়েকে বাঁচানোর জন্য। কান্নায় আকাশ-বাতাস একাকার করে ফেলেন সাজ্জাদুন ও ইসরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে ঘটা এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো চট্টগ্রাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে শিশু আয়েশার ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া চলছে সবখানে। মানুষের প্রশ্ন, ‘কালুরঘাট সেতু কি কর্তৃপক্ষহীন? একপাশে ট্রেন উঠলে আরেক পাশে গাড়ি উঠে কীভাবে সেতুতে? এই সেতুতে মুখোমুখি দুটি গাড়ি অতিক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তাহলে দুপাশে একই সময়ে গাড়ি উঠতে দিল কারা?’
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পর আয়েশা ও তার মাকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা আয়শাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সন্তান হারানোর শোকে আহাজারি করছেন সাজ্জাদুন নূর। বারবার বলছিলেন, ‘আমার মেয়েটা কী দোষ করেছে? আমি হয়তো গুনাহ করেছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাজ্জাদুন পেশায় গ্রাফিক ডিজাইনার। আয়েশা ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন সাজ্জাদুন।
এ বিষয়ে সাজ্জাদুনের চাচাতো ভাই কাউসার বাপ্পি বলেন, ‘আমাদের ঈদ মাটি হয়ে গেছে। আয়েশার জন্য কাঁদছে বোয়ালখালী। কী সান্ত্বনা হবে এই মৃত্যুর?’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় আয়েশাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করতে স্ত্রী ও কন্যাসন্তান মেহেরিমা নূর আয়েশাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন সাজ্জাদুন নূর। চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেন তিনি। এরপর যাচ্ছিলেন বোয়ালখালী উপজেলার পূর্বগোমদণ্ডী ইউনিয়নে। কিন্তু কালুরঘাট সেতু তাদের জীবন ওলটপালট করে দিল মুহূর্তেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের ওপর ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় কোলের ছোট্ট শিশু আয়েশা। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন অটোরিকশাটিকে এক ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। এ ঘটনায় সাজ্জাদুন নূর ও তাঁর স্ত্রী জুবাইয়া ইসরা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছে দুই বছর বয়সী আয়েশা। এ সময় মেয়ের নিথর দেহ কোলে নিয়ে মা-বাবা কত ছোটাছুটি করেন মেয়েকে বাঁচানোর জন্য। কান্নায় আকাশ-বাতাস একাকার করে ফেলেন সাজ্জাদুন ও ইসরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে ঘটা এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো চট্টগ্রাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে শিশু আয়েশার ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া চলছে সবখানে। মানুষের প্রশ্ন, ‘কালুরঘাট সেতু কি কর্তৃপক্ষহীন? একপাশে ট্রেন উঠলে আরেক পাশে গাড়ি উঠে কীভাবে সেতুতে? এই সেতুতে মুখোমুখি দুটি গাড়ি অতিক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তাহলে দুপাশে একই সময়ে গাড়ি উঠতে দিল কারা?’
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পর আয়েশা ও তার মাকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা আয়শাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সন্তান হারানোর শোকে আহাজারি করছেন সাজ্জাদুন নূর। বারবার বলছিলেন, ‘আমার মেয়েটা কী দোষ করেছে? আমি হয়তো গুনাহ করেছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাজ্জাদুন পেশায় গ্রাফিক ডিজাইনার। আয়েশা ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন সাজ্জাদুন।
এ বিষয়ে সাজ্জাদুনের চাচাতো ভাই কাউসার বাপ্পি বলেন, ‘আমাদের ঈদ মাটি হয়ে গেছে। আয়েশার জন্য কাঁদছে বোয়ালখালী। কী সান্ত্বনা হবে এই মৃত্যুর?’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় আয়েশাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
১ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৫ মিনিট আগে‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি।’ এটুকু বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন ব্যবসায়ী তহুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের বাবা। রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার...
১২ মিনিট আগেউসাই মং মারমা ও ডেজি মারমা। দুজনই শিক্ষক। তাঁদের একমাত্র সন্তান উক্য চিং মারমা। চলতি বছরে ইংলিশ ভার্সনে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করেন উক্য চিং মারমাকে। হোস্টেলে থাকত ছেলে। এরপর সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। তবে গত সোমবার মাইলস্টোনের দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয় উক্য চিং মারমা।
১৬ মিনিট আগে