তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার পথে আজ শুক্রবার দুপুরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন মাইক্রোবাসে থাকা ১১ তরুণ। মাইক্রোবাসটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায় মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি। ট্রেন থামার পর দেখা যায়, ১৬ আরোহীর মধ্যে ১১ জনই বেঁচে নেই।
নিহতরা সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের যুগীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আমানবাজারে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন এই ছাত্ররা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কোচিংয়ের শিক্ষকেরাও। ছুটির দিনে দল বেঁধে সবাই গিয়েছিলেন মীরসরাইয়ের ওই ঝরনা দেখতে। সেই আনন্দযাত্রাই রূপ নিল শেষযাত্রায়।
বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন নিহত ও আহতদের স্বজনেরা।
সেই ভিড়ে ছিলেন মোহাম্মদ হামিদও। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে বসে অঝোরে কেঁদেই যাচ্ছেন এই মধ্যবয়সী ব্যক্তি। তাঁকে সান্ত্বনা দেবে কে, স্বজনদের কান্নাও থামছে না। জানা গেল, এই হামিদ দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন জিয়াবুল হক সজীবের বাবা।
কাঁদতে কাঁদতেই হামিদ বলে ওঠেন, ‘ছেলে বলেছিল বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে। একটু একটু করে সেই স্বপ্ন পূরণও করছিল। এখন সে নেই, আমাদের কী হবে? বাবা সজীব, তোকে ছাড়া কীভাবে বাঁচব!’
হামিদ একটি মুদিদোকানের কর্মচারী। কোনোমতে সংসার চলে। একদিন ছেলে সব দুঃখ ঘোচাবে—সজীবকে ঘিরে এমন স্বপ্নই দেখছিলেন বাবা। ছেলেও সেই পথে এগোচ্ছিলেন। যদিও টাকার অভাবে ২০১৮ সালেই থেমে যায় তাঁর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। কিন্তু থেমে যাননি সজীব।
বাবা মো. হামিদ বলেন, ‘ওমরগণি এমইএস কলেজে গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষ শেষ করলেও টাকার অভাবে ছেলেকে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করাতে পারিনি। এরপর থেকে টিউশন ও ব্যাচ পড়িয়ে সংসারে সাহায্য করত সে। তিন মাস আগে তিনজন মিলে ৫০ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে আমানবাজারে আরএনজে কোচিং সেন্টার চালু করেছিল। কিন্তু মাঝপথেই থেমে গেল সব লড়াই-সংগ্রাম।’
সকালে যাওয়ার সময় বাবাকে বলে গিয়েছিলেন সজীব। ছেলের বলা শেষ কথাগুলো এখন বুকে কাঁটার মতো বিঁধছে হামিদের, ‘ছেলে বলেছিল, আব্বা আমি ভ্রমণে যাচ্ছি, আমার জন্য দোয়া করিয়েন। আমি বলেছিলাম, আচ্ছা যাও বাবা, সাবধানে যাও। এ কথাই যে শেষ কথা হয়ে থাকবে কখনো ভাবিনি।’
‘ইশ্, ছেলেকে যদি তখন আটকাতাম, বাধা দিতাম, তাহলে আমার এত বড় ক্ষতি হতো না।’—হামিদের আফসোস শেষ হয় না। স্মৃতিচারণ করেন আর দমকে দমকে উঠে আসে কান্না।
যে ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই মহানগর প্রভাতীর যাত্রী ছিলেন জনি খোন্দকার। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ নাকে টায়ার পোড়ার গন্ধ আসে। পরে দেখি ট্রেনের নিচে দুমড়ে-মুচড়ে আছে মাইক্রোবাস। সেখান থেকেই আসছিল বাঁচার জন্য আর্তনাদ, গোঙানি, চিৎকার। এত মানুষ মারা যাবে ভাবিনি।’
ভাই সজীবকে হারিয়ে দিশেহারা মোহাম্মদ তৌসিফ, ‘যারা মারা গেছেন, সবাই তো আমার ভাই-বন্ধুর মতো ছিল। সবার সঙ্গে কত স্মৃতি! এক নিমেষে সব হারিয়ে গেল। একসঙ্গে এত মরদেহ কীভাবে নিব।’
মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার পথে আজ শুক্রবার দুপুরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন মাইক্রোবাসে থাকা ১১ তরুণ। মাইক্রোবাসটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায় মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি। ট্রেন থামার পর দেখা যায়, ১৬ আরোহীর মধ্যে ১১ জনই বেঁচে নেই।
নিহতরা সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের যুগীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আমানবাজারে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন এই ছাত্ররা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কোচিংয়ের শিক্ষকেরাও। ছুটির দিনে দল বেঁধে সবাই গিয়েছিলেন মীরসরাইয়ের ওই ঝরনা দেখতে। সেই আনন্দযাত্রাই রূপ নিল শেষযাত্রায়।
বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন নিহত ও আহতদের স্বজনেরা।
সেই ভিড়ে ছিলেন মোহাম্মদ হামিদও। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে বসে অঝোরে কেঁদেই যাচ্ছেন এই মধ্যবয়সী ব্যক্তি। তাঁকে সান্ত্বনা দেবে কে, স্বজনদের কান্নাও থামছে না। জানা গেল, এই হামিদ দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন জিয়াবুল হক সজীবের বাবা।
কাঁদতে কাঁদতেই হামিদ বলে ওঠেন, ‘ছেলে বলেছিল বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে। একটু একটু করে সেই স্বপ্ন পূরণও করছিল। এখন সে নেই, আমাদের কী হবে? বাবা সজীব, তোকে ছাড়া কীভাবে বাঁচব!’
হামিদ একটি মুদিদোকানের কর্মচারী। কোনোমতে সংসার চলে। একদিন ছেলে সব দুঃখ ঘোচাবে—সজীবকে ঘিরে এমন স্বপ্নই দেখছিলেন বাবা। ছেলেও সেই পথে এগোচ্ছিলেন। যদিও টাকার অভাবে ২০১৮ সালেই থেমে যায় তাঁর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। কিন্তু থেমে যাননি সজীব।
বাবা মো. হামিদ বলেন, ‘ওমরগণি এমইএস কলেজে গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষ শেষ করলেও টাকার অভাবে ছেলেকে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করাতে পারিনি। এরপর থেকে টিউশন ও ব্যাচ পড়িয়ে সংসারে সাহায্য করত সে। তিন মাস আগে তিনজন মিলে ৫০ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে আমানবাজারে আরএনজে কোচিং সেন্টার চালু করেছিল। কিন্তু মাঝপথেই থেমে গেল সব লড়াই-সংগ্রাম।’
সকালে যাওয়ার সময় বাবাকে বলে গিয়েছিলেন সজীব। ছেলের বলা শেষ কথাগুলো এখন বুকে কাঁটার মতো বিঁধছে হামিদের, ‘ছেলে বলেছিল, আব্বা আমি ভ্রমণে যাচ্ছি, আমার জন্য দোয়া করিয়েন। আমি বলেছিলাম, আচ্ছা যাও বাবা, সাবধানে যাও। এ কথাই যে শেষ কথা হয়ে থাকবে কখনো ভাবিনি।’
‘ইশ্, ছেলেকে যদি তখন আটকাতাম, বাধা দিতাম, তাহলে আমার এত বড় ক্ষতি হতো না।’—হামিদের আফসোস শেষ হয় না। স্মৃতিচারণ করেন আর দমকে দমকে উঠে আসে কান্না।
যে ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই মহানগর প্রভাতীর যাত্রী ছিলেন জনি খোন্দকার। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ নাকে টায়ার পোড়ার গন্ধ আসে। পরে দেখি ট্রেনের নিচে দুমড়ে-মুচড়ে আছে মাইক্রোবাস। সেখান থেকেই আসছিল বাঁচার জন্য আর্তনাদ, গোঙানি, চিৎকার। এত মানুষ মারা যাবে ভাবিনি।’
ভাই সজীবকে হারিয়ে দিশেহারা মোহাম্মদ তৌসিফ, ‘যারা মারা গেছেন, সবাই তো আমার ভাই-বন্ধুর মতো ছিল। সবার সঙ্গে কত স্মৃতি! এক নিমেষে সব হারিয়ে গেল। একসঙ্গে এত মরদেহ কীভাবে নিব।’
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড ২০০৯ সালে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মালিকানাধীন দুই একর জমিতে কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে স্বস্তি ফিরে আসে।
২২ মিনিট আগেআবু তাহের বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে সোহরাব রাঢ়ী, বনি আমিন, জাকির রাঢ়ী, জাকির হাওলাদার, বাবুল মুন্সী ও ইসমাইল সিকদারসহ স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীরা ঘরটি দখল করে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি মক্তব ঘর, সেই কারণে তাঁদের নিষেধ করেছিলাম।
৩১ মিনিট আগেঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে আত্মগোপনে চলে যাওয়া নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাককে ১৭ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর পরিবারের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) সূত্র ধরে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজার থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেবরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
৬ ঘণ্টা আগে