জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পূর্ব পটিয়া, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, শহরের চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার লাখ লাখ মানুষ নির্ভরশীল কালুরঘাট সেতুর ওপর। শহর এলাকা থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতু পার হতে ১০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। কারণ, গাড়ির দীর্ঘ সারি একপাশ থেকে আরেক পাশ যাওয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অন্যপাশের গাড়ি যেতে পারে না। এ ছাড়া প্রতিদিন দোহাজারী রুটের ট্রেন চলাচলের জন্যও এই অঞ্চলের মানুষের সেতু পারাপারে বাড়তি সময় ব্যয় হয়।
অবশেষে কমতে যাচ্ছে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি। মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতুর চাপ কমাতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। সেতু থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে কালুরঘাট ফরেস্ট ডিপো এলাকায় চলছে এই প্রকল্পের কাজ। বোয়ালখালী ও শহরের দুই পাড়ের যানবাহন, মানুষজন পারাপারে চলবে দুই ফেরি। চার মাসের মধ্যে ফেরি চলাচলের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঘাট নির্মাণের কাজ চলছে।
চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) জানায়, বোয়ালখালী অংশে ফেরি চলাচলের জন্য ঘাট নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর পূর্ব মোহরা বা শহরের অংশে ব্যয় করা হচ্ছে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ১২ দিন আগে দুই ঠিকাদার মানু ও আবেদ মনসুর ঘাট নির্মাণের কাজ পায়। দুই পারে যানবাহন ও মানুষ পারাপারে চলবে দুটি ফেরি। এ ছাড়া সব সময় প্রস্তুত থাকবে একটি ফেরি।
সরেজমিন ফেরির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি ফেরিতে ১২টি ট্রাক, ৯টি গাড়ি ও শতাধিক মানুষ পার হতে পারবে। একটি ফেরি এক পার থেকে অপর পারে যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। এসব ফেরিতে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, অসুস্থ রোগীবাহী যানবাহন ও সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি অগ্রাধিকার পাবে।
কাজ পাওয়া ঠিকাদার আবেদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্যাদেশ পাওয়ার ১২ দিনের মধ্যে রাস্তা নির্মাণ ও ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। আশা করি, ১২০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারব।’
স্থানীয় মো. ইসমাইল বলেন, ‘এমনও সময় গেছে, মুমূর্ষু অবস্থায় অনেক রোগী সেতু পারাপারে বেশি সময় লাগায় ঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় পথেই রোগী মারা গেছে। এখন সেতুর সঙ্গে ফেরি চলাচল থাকলে এই অঞ্চলের মানুষের কষ্ট অনেকাংশে কমে যাবে।’
চট্টগ্রামের সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেরি চলাচল শুরু হলে কালুরঘাট সেতুর ওপর অনেক চাপ কমে যাবে। এ ছাড়া সেতুটি জরুরি সংস্কারের প্রয়োজন হলে এই ফেরি অনেক সাহায্য করবে। মূলত এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ কারণে ফেরি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
২০০১ সালে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একদল গবেষকও এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেন। সেতুর পূর্ব পাশে দুটি সাইনবোর্ড দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একটিতে লেখা ১০ টনের অধিক মালামাল পরিবহন নিষেধ। অথচ ১০ টনের বেশি যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে দোহাজারী কক্সবাজার রুটের রেলপথ নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরেই রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কক্সবাজারে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, ১২ অ্যাক্সেল লোডের কালুরঘাটের বর্তমান সেতু দিয়ে ১৫ অ্যাক্সেল লোডের ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। সে জন্য তড়িঘড়ি করে রেলওয়ে বুয়েটের পরামর্শ নিয়ে সামনে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে বুয়েটের পরামর্শক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তারা দিয়েছে। আরও দুটি রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে পাব। তারপর সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের কাজ করা হবে।’
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘২০২৪ সালের আগে সেতুর সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। কারণ, বুয়েটের প্রতিবেদন পেতে আরও চার মাস সময় লাগবে। তারপর ঠিকাদার নিয়োগ, এরপর সংস্কারের জন্য আরও এক বছর সময় লাগতে পারে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পূর্ব পটিয়া, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, শহরের চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার লাখ লাখ মানুষ নির্ভরশীল কালুরঘাট সেতুর ওপর। শহর এলাকা থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতু পার হতে ১০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। কারণ, গাড়ির দীর্ঘ সারি একপাশ থেকে আরেক পাশ যাওয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অন্যপাশের গাড়ি যেতে পারে না। এ ছাড়া প্রতিদিন দোহাজারী রুটের ট্রেন চলাচলের জন্যও এই অঞ্চলের মানুষের সেতু পারাপারে বাড়তি সময় ব্যয় হয়।
অবশেষে কমতে যাচ্ছে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি। মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতুর চাপ কমাতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। সেতু থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে কালুরঘাট ফরেস্ট ডিপো এলাকায় চলছে এই প্রকল্পের কাজ। বোয়ালখালী ও শহরের দুই পাড়ের যানবাহন, মানুষজন পারাপারে চলবে দুই ফেরি। চার মাসের মধ্যে ফেরি চলাচলের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঘাট নির্মাণের কাজ চলছে।
চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) জানায়, বোয়ালখালী অংশে ফেরি চলাচলের জন্য ঘাট নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর পূর্ব মোহরা বা শহরের অংশে ব্যয় করা হচ্ছে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ১২ দিন আগে দুই ঠিকাদার মানু ও আবেদ মনসুর ঘাট নির্মাণের কাজ পায়। দুই পারে যানবাহন ও মানুষ পারাপারে চলবে দুটি ফেরি। এ ছাড়া সব সময় প্রস্তুত থাকবে একটি ফেরি।
সরেজমিন ফেরির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি ফেরিতে ১২টি ট্রাক, ৯টি গাড়ি ও শতাধিক মানুষ পার হতে পারবে। একটি ফেরি এক পার থেকে অপর পারে যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। এসব ফেরিতে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, অসুস্থ রোগীবাহী যানবাহন ও সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি অগ্রাধিকার পাবে।
কাজ পাওয়া ঠিকাদার আবেদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্যাদেশ পাওয়ার ১২ দিনের মধ্যে রাস্তা নির্মাণ ও ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। আশা করি, ১২০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারব।’
স্থানীয় মো. ইসমাইল বলেন, ‘এমনও সময় গেছে, মুমূর্ষু অবস্থায় অনেক রোগী সেতু পারাপারে বেশি সময় লাগায় ঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় পথেই রোগী মারা গেছে। এখন সেতুর সঙ্গে ফেরি চলাচল থাকলে এই অঞ্চলের মানুষের কষ্ট অনেকাংশে কমে যাবে।’
চট্টগ্রামের সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেরি চলাচল শুরু হলে কালুরঘাট সেতুর ওপর অনেক চাপ কমে যাবে। এ ছাড়া সেতুটি জরুরি সংস্কারের প্রয়োজন হলে এই ফেরি অনেক সাহায্য করবে। মূলত এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ কারণে ফেরি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
২০০১ সালে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একদল গবেষকও এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেন। সেতুর পূর্ব পাশে দুটি সাইনবোর্ড দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একটিতে লেখা ১০ টনের অধিক মালামাল পরিবহন নিষেধ। অথচ ১০ টনের বেশি যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে দোহাজারী কক্সবাজার রুটের রেলপথ নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরেই রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কক্সবাজারে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, ১২ অ্যাক্সেল লোডের কালুরঘাটের বর্তমান সেতু দিয়ে ১৫ অ্যাক্সেল লোডের ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। সে জন্য তড়িঘড়ি করে রেলওয়ে বুয়েটের পরামর্শ নিয়ে সামনে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে বুয়েটের পরামর্শক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তারা দিয়েছে। আরও দুটি রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে পাব। তারপর সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের কাজ করা হবে।’
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘২০২৪ সালের আগে সেতুর সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। কারণ, বুয়েটের প্রতিবেদন পেতে আরও চার মাস সময় লাগবে। তারপর ঠিকাদার নিয়োগ, এরপর সংস্কারের জন্য আরও এক বছর সময় লাগতে পারে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে প্রতীকী আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
৭ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিট হরাইজন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক এই মহাসড়ক অবরোধ করেন।
১৯ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অগ্নিকাণ্ডে জুটের গুদাম ও গেঞ্জি কাপড়ের ছাপাখানা পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার সস্তাপুর হযরত শাহের মাজারসংলগ্ন জুটের গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়।
৩৩ মিনিট আগেমাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৭ এপ্রিল।
৩৬ মিনিট আগে