কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে রিফা আকতার। গতকাল বুধবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পরুয়াপাড়ায় রিফার বাবা আহমদ নবী (৪৫) মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে দুপুরে বাসায় ফেরি যায় সে। তবে এর আগেই সকাল ১১টার দিকে তার বাবার দাফন সম্পন্ন হয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাতে রিফার বাবা আহমদ নবী (৪৫) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। নিয়তি মেনে নিয়ে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে চোখের জলে রিফাকে পরীক্ষার হলে যেতে হয়। তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই সকাল ১১টায় তার বাবার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
রিফা রায়পুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছে। রিফার চার ভাই-বোনের মধ্যে রিফা সবার বড়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বটতলী শাহ্ মোহছেন আউলিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে।
রিফার খালাতো বোন উর্মি আকতার বলেন, ‘রিফার বাবার মৃত্যুতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তবে একটি পরীক্ষা না দিলে ফল অকৃতকার্য হবে। এ জন্য বাবার লাশ বাড়িতে রেখে তাকে পরীক্ষার হলে নিয়ে আসি। হয়তো পড়ালেখা শেষ করতে পারলে, সে পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে সবার দায়িত্ব নিতে পারবে।’
কেন্দ্র সচিব ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘তার (রিফার) বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পর জানতে পেরেছি। তবে তার বাবার জানাজা ১১টায় হওয়ায় সে আগে চলে যেতে চেয়েছিল। পরে শিক্ষক ও সহপাঠীরা বুঝিয়ে বললে ১২টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষা শেষ করে সে চলে যায়। আমরা চেয়েছিলাম, সে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিক। এ সময় আমরা তাকে শোকাহত হতে দেখেছি।’
স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, ‘বাবার লাশ বাড়িতে রেখে কষ্ট চেপে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রিফা আকতার। আমি তার প্রতি সমবেদনা জানাই। আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দিক। রিফা অনেক বড় হোক এই কামনা করি।’
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে রিফা আকতার। গতকাল বুধবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পরুয়াপাড়ায় রিফার বাবা আহমদ নবী (৪৫) মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে দুপুরে বাসায় ফেরি যায় সে। তবে এর আগেই সকাল ১১টার দিকে তার বাবার দাফন সম্পন্ন হয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাতে রিফার বাবা আহমদ নবী (৪৫) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। নিয়তি মেনে নিয়ে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে চোখের জলে রিফাকে পরীক্ষার হলে যেতে হয়। তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই সকাল ১১টায় তার বাবার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
রিফা রায়পুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছে। রিফার চার ভাই-বোনের মধ্যে রিফা সবার বড়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বটতলী শাহ্ মোহছেন আউলিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে।
রিফার খালাতো বোন উর্মি আকতার বলেন, ‘রিফার বাবার মৃত্যুতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তবে একটি পরীক্ষা না দিলে ফল অকৃতকার্য হবে। এ জন্য বাবার লাশ বাড়িতে রেখে তাকে পরীক্ষার হলে নিয়ে আসি। হয়তো পড়ালেখা শেষ করতে পারলে, সে পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে সবার দায়িত্ব নিতে পারবে।’
কেন্দ্র সচিব ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘তার (রিফার) বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পর জানতে পেরেছি। তবে তার বাবার জানাজা ১১টায় হওয়ায় সে আগে চলে যেতে চেয়েছিল। পরে শিক্ষক ও সহপাঠীরা বুঝিয়ে বললে ১২টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষা শেষ করে সে চলে যায়। আমরা চেয়েছিলাম, সে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিক। এ সময় আমরা তাকে শোকাহত হতে দেখেছি।’
স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, ‘বাবার লাশ বাড়িতে রেখে কষ্ট চেপে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রিফা আকতার। আমি তার প্রতি সমবেদনা জানাই। আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দিক। রিফা অনেক বড় হোক এই কামনা করি।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে