নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ৪২৪ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারানো কনস্টেবল শওকত হোসেন দাবি করছেন, তিনিই বরং চাকরি থেকে ইস্তফার আবেদন করেছিলেন। আর তিনি মানবিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থেই এটি করেছেন।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন শওকত। সেই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে পুলিশকে নিয়ে বিতর্ক না ছড়ানোরও আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি ফেসবুক লাইভে এসে শওকত বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় বদলি করে দেওয়ার পর তিনি নিজেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার দরখাস্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে (কুমিল্লা) বদলির আদেশের পর আমার মানবিক কাজগুলো করার সমস্যা হচ্ছিল। আমার ওই আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেক সময় লাগে। কিছু সময় দেরি হয়ে গেছে। ওই সময়টাতেই আসলে অব্যাহতির নোটিশটা চলে আসে।’
শওকত বলেন, ‘দেশদ্রোহী কোনো কাজ করে আমি চাকরিচ্যুত হইনি। আমি নিজেই অব্যাহতি চেয়েছিলাম। তবে গরহাজিরের কারণ দেখিয়ে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে আমার অব্যাহতির বিষয়টা গরহাজিরের কারণেই তাঁরা করেছেন। আমার ব্যক্তিগত অভিমত যে, বিষয়টা আরও একটু সুন্দর হতে পারত। আমরা যেভাবে বিদায় নিই; সেভাবেও হতে পারত।’
শওকতের দাবি, কর্মস্থলে অনুপস্থিতির সময়টা তিনি বেওয়ারিশ মানুষদের জন্য ব্যয় করেছেন। মানবিক কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। বেওয়ারিশ মানুষদের জন্য একটা হাসপাতাল নির্মাণের কথাও বলেন তিনি।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর নানা সমালোচনার বিষয়ে শওকত বলেন, ‘আমি মানবিক কর্মকাণ্ডে কারও কাছ থেকে কখনো এক টাকা চেয়েছি, এটা কেউ বলতে পারবে না। আমরা যে বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশন করেছি, সেখানে ৩০ জনের একটা উপদেষ্টা কমিটি আছে। আমেরিকাপ্রবাসী আমার কয়েকজন আত্মীয় এবং উপদেষ্টাদের কাছ থেকে মূলত আমি সেবার জন্য টাকা নিয়েছি।’
গত ১৬ এপ্রিল শওকত হোসেনের চাকরিচ্যুতির আদেশে স্বাক্ষর করেন সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার শাকিলা সোলতানা। তাঁর চাকরি হারানোর পেছনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ৪২৪ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং অনুপস্থিতির পক্ষে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারার কথা জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা যেকোনো শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য গর্হিত অপরাধ হিসেবে গণ্য বলেও উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়, কনস্টেবল শওকত ২০২১ সালে ৯ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সিএমপি বন্দর বিভাগে ৭১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ২০২২ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। ওই বছরের ১৩ মার্চ সেখান থেকে কুমিল্লা জেলায় বদলি করা হলেও তিনি যোগদান করেননি। বদলির প্রায় এক বছর (৩৫৩ দিন) পর চলতি বছরের ১ মার্চ তিনি কুমিল্লা জেলা পুলিশে যোগ দেন। সব মিলিয়ে তিনি ৪২৪ দিন কর্মস্থলে গরহাজির ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিএমপিতে কর্মরত থাকাকালীন শওকত বেওয়ারিশ, অসুস্থ লোকজনকে চিকিৎসাসেবা, খাবার ও পোশাক দিতেন। ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর নগর পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় কনস্টেবল শওকত তাঁর এসব কাজ প্রকাশ্যে আনেন। এসব শুনে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’ গঠন করেন। ‘বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন আছে তাঁর।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ৪২৪ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারানো কনস্টেবল শওকত হোসেন দাবি করছেন, তিনিই বরং চাকরি থেকে ইস্তফার আবেদন করেছিলেন। আর তিনি মানবিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থেই এটি করেছেন।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন শওকত। সেই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে পুলিশকে নিয়ে বিতর্ক না ছড়ানোরও আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি ফেসবুক লাইভে এসে শওকত বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় বদলি করে দেওয়ার পর তিনি নিজেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার দরখাস্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে (কুমিল্লা) বদলির আদেশের পর আমার মানবিক কাজগুলো করার সমস্যা হচ্ছিল। আমার ওই আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেক সময় লাগে। কিছু সময় দেরি হয়ে গেছে। ওই সময়টাতেই আসলে অব্যাহতির নোটিশটা চলে আসে।’
শওকত বলেন, ‘দেশদ্রোহী কোনো কাজ করে আমি চাকরিচ্যুত হইনি। আমি নিজেই অব্যাহতি চেয়েছিলাম। তবে গরহাজিরের কারণ দেখিয়ে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে আমার অব্যাহতির বিষয়টা গরহাজিরের কারণেই তাঁরা করেছেন। আমার ব্যক্তিগত অভিমত যে, বিষয়টা আরও একটু সুন্দর হতে পারত। আমরা যেভাবে বিদায় নিই; সেভাবেও হতে পারত।’
শওকতের দাবি, কর্মস্থলে অনুপস্থিতির সময়টা তিনি বেওয়ারিশ মানুষদের জন্য ব্যয় করেছেন। মানবিক কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। বেওয়ারিশ মানুষদের জন্য একটা হাসপাতাল নির্মাণের কথাও বলেন তিনি।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর নানা সমালোচনার বিষয়ে শওকত বলেন, ‘আমি মানবিক কর্মকাণ্ডে কারও কাছ থেকে কখনো এক টাকা চেয়েছি, এটা কেউ বলতে পারবে না। আমরা যে বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশন করেছি, সেখানে ৩০ জনের একটা উপদেষ্টা কমিটি আছে। আমেরিকাপ্রবাসী আমার কয়েকজন আত্মীয় এবং উপদেষ্টাদের কাছ থেকে মূলত আমি সেবার জন্য টাকা নিয়েছি।’
গত ১৬ এপ্রিল শওকত হোসেনের চাকরিচ্যুতির আদেশে স্বাক্ষর করেন সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার শাকিলা সোলতানা। তাঁর চাকরি হারানোর পেছনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ৪২৪ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং অনুপস্থিতির পক্ষে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারার কথা জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা যেকোনো শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য গর্হিত অপরাধ হিসেবে গণ্য বলেও উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়, কনস্টেবল শওকত ২০২১ সালে ৯ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সিএমপি বন্দর বিভাগে ৭১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ২০২২ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। ওই বছরের ১৩ মার্চ সেখান থেকে কুমিল্লা জেলায় বদলি করা হলেও তিনি যোগদান করেননি। বদলির প্রায় এক বছর (৩৫৩ দিন) পর চলতি বছরের ১ মার্চ তিনি কুমিল্লা জেলা পুলিশে যোগ দেন। সব মিলিয়ে তিনি ৪২৪ দিন কর্মস্থলে গরহাজির ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিএমপিতে কর্মরত থাকাকালীন শওকত বেওয়ারিশ, অসুস্থ লোকজনকে চিকিৎসাসেবা, খাবার ও পোশাক দিতেন। ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর নগর পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় কনস্টেবল শওকত তাঁর এসব কাজ প্রকাশ্যে আনেন। এসব শুনে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’ গঠন করেন। ‘বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন আছে তাঁর।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে