Ajker Patrika

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে প্রচণ্ড ভিড় : করোনা সংক্রমণের শঙ্কা

প্রতিনিধি, চাঁদপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৪: ৩৩
Thumbnail image

বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনেই দেশের অন্যতম নৌবন্দর চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সরকারি সিদ্ধান্তও উপেক্ষিত ছিল। এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

লকডাউনের কারণে ২১ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, গাদাগাদি করে লঞ্চে উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের। এর আগে লঞ্চ চলার খবরে বুধবার দিবাগত রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অনেক যাত্রী ভিড় করেছিল। তবে রাতে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি চাঁদপুর ঘাট থেকে।

এদিকে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে গেছে। প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। যদিও বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে লঞ্চগুলো।

চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী এমভি ইগল লঞ্চের যাত্রী আলী আশরাফ বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যাচ্ছি। যাত্রী অনেক বেশি। কিছু করার তো নাই, সবাইকে বিশেষ প্রয়োজনেই করোনার এমন সময়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আমি তো মাস্ক ব্যবহার করছি, কিন্তু কেউ কেউ করছে না, এটা ঠিক না।’

ইগল লঞ্চের সুপারভাইজার আলী আজগর সরকার বলেন, ‘যাত্রী বেশি হওয়ায় আমরাও বিব্রত। ঘাটে কোনো লঞ্চ ভেড়ামাত্র যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে হুড়োহুড়ি করে। তারা মনে করে, লঞ্চে জায়গা পাবে না। তাদের তাড়াহুড়ো করার কারণে স্বাস্থ্যবিধি নষ্ট হচ্ছে। অথচ লঞ্চের ভেতর অনেক আসন খালি। আমরা যাত্রীদের মাস্ক নিশ্চিত এবং হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে লঞ্চে প্রবেশ করাচ্ছি; যাতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত না হয়।’ 

চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিন হিসেবে যাত্রীদের ভিড় একটু বেশি ছিল। সকাল থেকে আমরা ঘাটে নজরদারি রেখেছি, যাতে যাত্রীদের কোনোরূপ সমস্যা না হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়। নৌ–পুলিশের সদস্যরা প্রতিটি লঞ্চে প্রবেশ করে নজরদারি করছেন।’ 

বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি লঞ্চে যাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়, সেই বিষয়ে লঞ্চের সুপারভাইজারদের অবগত করা হয়েছে। এ ছাড়া ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতে লঞ্চগুলো ঘাট ছাড়ে, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। আমাদের পাশাপাশি লঞ্চঘাটে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাজ করছেন। আশা করি সামনের দিনগুলোয় যাত্রীদের চাপ কমে আসবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত