Ajker Patrika

প্রীতিলতাকে মনে রাখেনি নগরী

ফায়সাল করিম, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ৩২
প্রীতিলতাকে মনে রাখেনি নগরী

এই নগরের ভোর দেখেই তখন ঘুম ভাঙত প্রীতিলতার। এই নগরেই তাঁর বেড়ে ওঠা, দুরন্ত শৈশব-কৈশোর। সেই ১০০ বছর আগের কথা। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের অগ্নিযুগ তখন। গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়া বিপ্লবের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বীর চট্টলায়। সেই ঢেউ ঝড় তুলেছিল কিশোরী  প্রীতিলতার মনেও।

প্রীতিলতা তখন ড. খাস্তগীর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ১৯১৮ থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত নগরীর আসকার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ের একটি বাড়ি ঘিরে তাঁর শৈশবের হাজারো স্মৃতি। এই বাড়িতে থাকতেই তাঁর মনে ধীরে ধীরে দানা বেঁধেছিল বিপ্লবের বীজ। পটিয়ার ধলঘাটে জন্ম নেওয়া মেয়েটির ‘প্রীতিলতা’ হয়ে ওঠার গল্পে একসময় জ্বলন্ত সাক্ষী হয়ে উঠল এই নগর।

এই নগরে ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের জন্য আত্মাহুতি দিলেন তিনি। পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব থেকে জেএম সেন হলের বিপ্লবীদের আস্তানা, অপর্ণাচরণ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয় থেকে জামালখান—সবই প্রীতিলতার বিপ্লবী ইতিহাসের নীরব সাক্ষী।

এমন মহীয়সীকে ঘিরে এই নগরের এত স্মৃতি! এত গৌরবের ইতিহাস! আজ ১০০ বছর পর সেই নগরীই যেন মনে রাখেনি প্রীতিলতাকে। পুরো নগরীতে প্রীতিলতার স্মৃতি বলতে আছে একটি আবক্ষমূর্তি আর কিছু স্মৃতিফলক। তাঁর স্মৃতিধন্য ইউরোপিয়ান ক্লাবটিও জাদুঘর করার কথা থাকলেও এগোয়নি কাজ।

প্রীতিলতার বংশধর ও প্রীতিলতা ট্রাস্টের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, নগরে প্রীতিলতার স্মৃতি বলতে পাহাড়তলীতে তাঁর ওই আবক্ষমূর্তি আর জামালখানের দেয়াল ফলক। এসব প্রমাণ করে প্রশাসন তাঁর স্মৃতি রক্ষায় উদাসীন। এই নগরী তো প্রীতিলতাকে মনে রাখেনি।

চট্টগ্রামে প্রীতিলতার স্মৃতির প্রতি এই অবমাননা নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন প্রীতিলতা ট্রাস্টের সভাপতি পংকজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যে চট্টগ্রামে তিনি বেড়ে উঠলেন, সেই নগরীতেই তাঁর স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ নেয়নি কোনো কর্তৃপক্ষই।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, `২০১৭ সালে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবের স্মৃতিবিজড়িত বর্তমান রেল কার্যালয়টি ভেঙে বহুতল ভবন করতে চেয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। তখন সেটির প্রতিবাদ জানিয়ে ঠেকিয়েছিলাম। আমরা চাই দ্রুত সেই স্থানকে জাদুঘর করা হোক।'

রেলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমরা আপাতত ওই স্থানকে সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে রেখেছি। জাদুঘর করার বিষয়টি অবগত নই।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই, আহত ২

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। ‎শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

‎গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৩১)। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকাশের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। একই সময় তাঁর সহকর্মী আজাদ হাওলাদার (৩০) ছুরিকাঘাতে আহত হন।

‎প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ হোসেন ও আজাদ হাওলাদার দিনভর টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ শেষে ডিস্ট্রিবিউশন (পরিবেশক) অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা আনারকলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাকারী তাঁদের গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আরিফকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। আর আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। আহত আজাদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।

‎জেএ অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশের টঙ্গী এলাকার পরিবেশক আফজাল হোসেন সেতু বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি মামলা করব।’

‎টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার যন্ত্রাংশ দিয়ে ৩০ অস্ত্র তৈরি করা যেত: পুলিশ

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসব যন্ত্রাংশ অপর একটি লেদ কারখানায় পাঠানো হতো। পরে সেগুলো দিয়ে পিস্তল ও ওয়ান শুটারগান তৈরি করে বিক্রি হতো অপরাধীদের কাছে।

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড় গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

কেএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জোড়া গেট থেকে অস্ত্রের যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। লোহার ছাঁচের মধ্যে যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছিল। যন্ত্রাংশগুলো অন্য স্থানে নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে অস্ত্র তৈরি করা হতো। ডিবির একটি দল ওই কারখানার সন্ধান পেতে কাজ করছে। সেখান থেকে কাউকে পাওয়া গেলে আমরা জানতে পারব, খুলনার তৈরি হওয়া অস্ত্র কোথায় কোথায় যায়।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই জোড় গেট এলাকা। এখানে এ ধরনের অস্ত্র তৈরির কারাখানা থাকবে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। কিছুদিন আগে এ ধরনের যন্ত্রাংশের চালান বিভিন্ন স্থানে গেছে।’

কেএমপির ডিসি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খুলনায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। আমরা অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছি। জলদস্যু এবং স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসীরা এখন থেকে অস্ত্র নিয়ে যায়।’

খুলনা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা এখানে রেকি (নজরদারি) করেছি। লেদ কারখানার পাশাপাশি তাঁরা (মালিক ও কারিগর) পিস্তল এবং ওয়ান শুটারের যন্ত্রাংশ তৈরি করতেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান চালিয়েছি। যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। আটক ব্যক্তিদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। খুব শিগগির আমরা ভালো সংবাদ দিতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।

চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধও করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, শনিবার বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন বিএনপির প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। সাতকানিয়ার বটতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫-এর ৯ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারার বিধান অনুযায়ী এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, সবই করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় নয়।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বেলা ২টার দিকে কর্ণফুলী থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত মোটরযান/যান্ত্রিক বাহনে নির্বাচনী শোডাউন করেন নাজমুল মোস্তফা আমিন।

অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া লাইভ ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই লোহাগাড়ায় প্রশাসনের কড়াকড়ির মুখে পড়েন বিএনপির এই মনোনীত প্রার্থী। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হলুদ সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ, কৃষকের বাড়তি লাভের আশা

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।

আমন ধান কাটার আগেই বিনা চাষে ও রিলে পদ্ধতিতে আগাম সরিষা চাষ করে কৃষকেরা এবার বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। মাঠজুড়ে ভরে ওঠা সরিষা ফুল ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ফকিরহাটে ১৬৩.৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৮০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ১ দশমিক ২ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৬ টন। তবে মাঠের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। উপজেলার ৩০০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ সার বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাদ হওয়া উল্লেখযোগ্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-২০, বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১।

ফকিরহাটের বিভিন্ন ব্লকের কৃষক জসিম শেখ, মিঠুন দাস ও তপন দাস জানান, একই জমিতে বারবার এক ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা কমে যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শে তাঁরা আমন ও বোরো ধানের মাঝখানে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এতে মাটির উর্বরতা বজায় থাকছে, পাশাপাশি কম শ্রম ও কম খরচে বাড়তি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

বেতাগা গ্রামের কৃষক পরেশ দাস ও সুধাংশু দাস জানান, আমন ধান থাকা অবস্থাতেই তাঁরা জমিতে বিনা চাষে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দেন। সেই সরিষায় এরই মধ্যে ফুল এসেছে। যখন অন্য কৃষকেরা জমি চাষ শুরু করছেন, তখন তাঁদের খেতে সরিষার ফুল ও ফলন গঠন শুরু হয়েছে। আগাম সরিষা আহরণের পর একই জমিতে আবার বোরো ধান চাষ করবেন তাঁরা। এতে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি চাষ, সার এবং ওষুধের খরচও কমবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল মজুমদার জানান, অধিক লাভজনক হওয়ায় বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন, তাঁদের দেখে অন্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সরিষা এখন কৃষকের জন্য লাভজনক একটি মধ্যবর্তী ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত