Ajker Patrika

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদিরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ২২: ১৮
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নিহতের বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল (৩৮), সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন (৩৫), পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৫৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার (৪০), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন (৪৫), জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ (৩৭), সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনছারী (৪৮)। 

আরও হলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম (৪৫), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফ (৪৫), পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মঞ্জুর মাওলা ফারানী (২৫), সরাইল আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন (৬০), সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম (৪২), সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন (৩৮), সৈনিক লীগ নেতা জে পি জুম্মান মিয়া (৩৯), মেড্ডা এলাকার জাকির মিয়া (৩৪), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোমিন মিয়া (৩৪), হামদু মিয়া (৫৫), এমরান হোসেন মাসুদ (৩৮), আপন মিয়া (৩৫), আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল (৫৫), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশাত সুলতানা (৪০), আরিফুল ইসলাম ও ভাটপাড়া গ্রামে অন্তর খান। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালে ২৬,২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে মাদ্রাসাছাত্রসহ ১৬ জন নিহত হয়। ২৭ মার্চ শহরের টি. এ রোডে মাহমুদ শাহ মাজার গেট এলাকায় নিহত হন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মাওলানা হোছাইন আহম্মেদ। 

এ বিষয়ে বাদী তানিয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির সময় আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় হুসাইন মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ ওই সময় পুলিশ ও প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত