নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় চান্দগাঁও থানার ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। আদালত মামলা গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভাকেট আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালত ভুক্তভোগীর পক্ষে করা মামলার আবেদন এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর ১৫(২) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা হলেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসফ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা, চান্দগাঁও এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা এস এম আসাদুজ্জামান, একই এলাকার যুবলীগ কর্মী মো. জসীম উদ্দিন, মো. লিটন, রনি আক্তার তানিয়া ও কলি আক্তার।
এঁদের মধ্যে অভিযুক্ত রনি আক্তার হলেন মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে নিহত দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী।
৩ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন এক কিলোমিটার এলাকায় গৃহকর্মীকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগের মামলার আসামি দুদকের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনেন সাদাপোশাকে আসা দুই পুলিশ সদস্য।
ওই দিন রাত ১২টা নাগাদ থানা হেফাজতে অসুস্থ হওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আদালতে দায়ের করা মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ২৯ আগস্ট দুদকের সাবেক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তাঁর শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারী। মামলার অভিযোগ শুনে বিচারক ওই দিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন আসামিরা পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তাঁর আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওই দিনই আদালত সাবেক দুদক কর্মকর্তাসহ দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। এরপর ৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে শহীদুল্লাহকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় চান্দগাঁও থানা-পুলিশ।
থানায় নেওয়ার পর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা অন্য বিবাদীদের যোগসাজশে থানার ভেতরে ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতন করেন। এমনকি ভুক্তভোগীকে পরিবারের লোকজন ওষুধ দিতে চাইলে থানার পুলিশ কর্মকর্তারা সেগুলো পৌঁছাতে দেননি। তাঁরা থানার গেট বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে রাত ১২টা নাগাদ থানার ভেতরে ওসির রুমে শহীদুল্লাহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এ সময় অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে থানার বাইরে থাকা নিহতের আত্মীয়স্বজনদের কাছে শহীদুল্লাকে তুলে দেন। পরে স্বজনেরা দ্রুত তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, সাবেক দুদক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা থানার দুই সহকারী উপপরিদর্শক মো. ইউসুফ আলী ও এ টি এম সোহেল রানাকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া সাবেক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রনি আক্তারের করা মামলায় আদালতের সমন আটকে রাখার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম-৬ আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদকে বদলি করা হয়।
দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনার পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী রনি আক্তার গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এতে উল্লেখ করেন, স্থানীয় জসিম ও আসাদুজ্জামানের পরামর্শে সাবেক দুদক কর্মকর্তা শহীদুল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় চান্দগাঁও থানার ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। আদালত মামলা গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভাকেট আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালত ভুক্তভোগীর পক্ষে করা মামলার আবেদন এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর ১৫(২) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা হলেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসফ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা, চান্দগাঁও এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা এস এম আসাদুজ্জামান, একই এলাকার যুবলীগ কর্মী মো. জসীম উদ্দিন, মো. লিটন, রনি আক্তার তানিয়া ও কলি আক্তার।
এঁদের মধ্যে অভিযুক্ত রনি আক্তার হলেন মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে নিহত দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী।
৩ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন এক কিলোমিটার এলাকায় গৃহকর্মীকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগের মামলার আসামি দুদকের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনেন সাদাপোশাকে আসা দুই পুলিশ সদস্য।
ওই দিন রাত ১২টা নাগাদ থানা হেফাজতে অসুস্থ হওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আদালতে দায়ের করা মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপপরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ২৯ আগস্ট দুদকের সাবেক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তাঁর শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারী। মামলার অভিযোগ শুনে বিচারক ওই দিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন আসামিরা পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তাঁর আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওই দিনই আদালত সাবেক দুদক কর্মকর্তাসহ দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। এরপর ৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে শহীদুল্লাহকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় চান্দগাঁও থানা-পুলিশ।
থানায় নেওয়ার পর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা অন্য বিবাদীদের যোগসাজশে থানার ভেতরে ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতন করেন। এমনকি ভুক্তভোগীকে পরিবারের লোকজন ওষুধ দিতে চাইলে থানার পুলিশ কর্মকর্তারা সেগুলো পৌঁছাতে দেননি। তাঁরা থানার গেট বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে রাত ১২টা নাগাদ থানার ভেতরে ওসির রুমে শহীদুল্লাহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এ সময় অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে থানার বাইরে থাকা নিহতের আত্মীয়স্বজনদের কাছে শহীদুল্লাকে তুলে দেন। পরে স্বজনেরা দ্রুত তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, সাবেক দুদক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা থানার দুই সহকারী উপপরিদর্শক মো. ইউসুফ আলী ও এ টি এম সোহেল রানাকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া সাবেক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রনি আক্তারের করা মামলায় আদালতের সমন আটকে রাখার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম-৬ আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদকে বদলি করা হয়।
দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনার পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী রনি আক্তার গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এতে উল্লেখ করেন, স্থানীয় জসিম ও আসাদুজ্জামানের পরামর্শে সাবেক দুদক কর্মকর্তা শহীদুল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি পূরণের ঘোষণা না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায়...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
১ ঘণ্টা আগে