চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মিরপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সেলিনা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী মাসুদ আলম ঢালীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ আলম ঢালীর বাড়ি উপজেলার মিরপুর গ্রামে। হত্যার শিকার সেলিনা বেগম একই উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের মৃত হাজী আবুল হাশেম খান ও মোসাম্মৎ আয়েশা বেগমের মেয়ে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মাসুদ আলম ঢালী ও সেলিনা বেগমের সঙ্গে ১৯৯৮ সালে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক দাবি নিয়ে কলহ দেখা দেয়।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকেল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী মাসুদ সেলিনার গলাচেপে হত্যার চেষ্টা করে এবং ব্যাপক মারধর করে। মারধর সহ্য করতে না পেরে সেলিনা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার স্বামী মাসুদ আবার সেখান থেকে এনে তাকে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর বাড়ির লোকজন ও স্বজনরা তাকে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৮ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেলিনা মৃত্যু হয়। এমন সংবাদ জেনে তার শ্বশুর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে সেলিনার মা আয়েশা বেগম এসে তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় পান।
এই ঘটনায় সেলিনার মা আয়েশা বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় মাসুদ আলম ঢালীসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ কান্তি দাস তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সায়েদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘মামলাটি ১৪ বছরের অধিক সময়ে চলমান অবস্থায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামি তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেন। তবে আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক। রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না।’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মিরপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সেলিনা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী মাসুদ আলম ঢালীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ আলম ঢালীর বাড়ি উপজেলার মিরপুর গ্রামে। হত্যার শিকার সেলিনা বেগম একই উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের মৃত হাজী আবুল হাশেম খান ও মোসাম্মৎ আয়েশা বেগমের মেয়ে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মাসুদ আলম ঢালী ও সেলিনা বেগমের সঙ্গে ১৯৯৮ সালে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক দাবি নিয়ে কলহ দেখা দেয়।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকেল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী মাসুদ সেলিনার গলাচেপে হত্যার চেষ্টা করে এবং ব্যাপক মারধর করে। মারধর সহ্য করতে না পেরে সেলিনা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার স্বামী মাসুদ আবার সেখান থেকে এনে তাকে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর বাড়ির লোকজন ও স্বজনরা তাকে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৮ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেলিনা মৃত্যু হয়। এমন সংবাদ জেনে তার শ্বশুর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে সেলিনার মা আয়েশা বেগম এসে তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় পান।
এই ঘটনায় সেলিনার মা আয়েশা বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় মাসুদ আলম ঢালীসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ কান্তি দাস তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সায়েদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘মামলাটি ১৪ বছরের অধিক সময়ে চলমান অবস্থায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামি তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেন। তবে আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক। রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না।’
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে...
২৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। এরপরও মৎস্য বিভাগের ছয়টি হ্যাচারির মধ্যে মাত্র দুটি সচল। বাকিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলোয় ডিম ফোটানোর সাকুলার ও সিস্টেন ট্রাংকের অবস্থা করুণ।
৪৪ মিনিট আগেকক্সবাজারে সমন্বিত মানবিক সহায়তা জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘হিউম্যানিটারিয়ান-ডেভেলপমেন্ট কোএক্সিসটেন্স নেক্সাস টু অ্যাড্রেস রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের যাত্রা...
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাবনগরের দুটি ব্লক এবং স্যানভ্যালির আংশিক জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৪ ঘণ্টা আগে