রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে চরের কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে। তাতে উপকূল এলাকার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
মেঘনায় ইলিশ ধরা না পড়ায় স্থানীয় বাজারে এখন ক্রেতা-বিক্রেতা আগের মতো নেই। এমনকি বর্ষায়ও এখন আর নদীতে প্রচুর ইলিশ আসে না। চলতি বছরের শুরুতে শীত মৌসুমে মেঘনায় ইলিশের দেখা পাননি জেলেরা। দু-চারটি করে ইলিশ পেলেও তাতে নৌকার জ্বালানি খরচই ওঠে না। মেঘনাপাড়ের বাসিন্দা, জেলে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মাছের আড়তদার হৃদয় মাহমুদ বলেন, গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ কমে গেছে ৬০-৭০ ভাগ। তাতে উপকূল এলাকার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মেঘনা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ায় জেলেরা ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরে গিয়ে মাছ শিকার করে। সাগর থেকে ইলিশ এনে চাহিদা মেটাচ্ছে জেলেরা।
স্থানীয় জেলে দিদার মাঝি বলেন, রামগতির টাংকি বাজার পর্যন্ত আরও অন্তত ছয়টি বড় ডুবোচর রয়েছে। যেগুলো বর্ষায় দেখা না গেলেও শীত মৌসুমে ভাটার সময় দেখা যায়। ফলে মৌসুমে ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলে, আড়তদার, পাইকার, দাদন ব্যবসায়ী, মৎস্যশ্রমিক ও জেলে পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে বিষাদের চাপ।
বেসরকারি স্থানীয় সংস্থা প্রয়াসের নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নদী অববাহিকায়ও জেগে ওঠা অসংখ্য চর দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করবে। চর জেগে ওঠায় নদীর তলদেশে ঢাল তৈরি হয়েছে। এতে পানির প্রবাহে বিঘ্ন ঘটছে।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, পানি স্বাভাবিক নিয়মে প্রবাহিত হতে না পেরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নদীতীরে। এতে নদীতীর ভাঙছে এবং লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে নৌ-সীমানায় মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরগুলোতে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে আমাদের এ কেন্দ্রে ৫৭ টন ২০১ কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে, যার অধিকাংশই সাগরের। মিশ্রিত মাছ বিক্রি হয়েছে ৫৫ টন ১২৫ কেজি। গত ২১-২২ অর্থবছরে (মে-জুন) ১৯ টন ৭৩৮ কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে। মিশ্রিত মাছ বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৬২৩ কেজি।
জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৪২ হাজার। এর মধ্যে রামগতিতে নিবন্ধিত রয়েছেন ২০ হাজার। চলতি (২২-২৩) অর্থবছরে নদী থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন এবং সাগর থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। অন্যান্য মাছ আহরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ২২৪ মেট্রিক টন।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ইলিশ গভীর জলের মাছ। তাই নদীতে গভীরতা না থাকলে ইলিশও গতিবিধি পরিবর্তন করে। ফলে আশানুরূপ পরিমাণ ইলিশ আসতে পারছে না। এ কারণে বিগত দুই বছর ধরে নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেদের জীবিকা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে আসতে বাধা পেয়ে গতিপথ পরিবর্তন করছে। সামনে এ অবস্থা চলতে থাকলে মেঘনায় ইলিশ আরও কমে যাবে। নদীতে চর পড়ে গেছে এবং পানি কমে গেছে। তাই ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে, পানি বাড়লে ইলিশের পরিমাণও বাড়বে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে চরের কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে। তাতে উপকূল এলাকার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
মেঘনায় ইলিশ ধরা না পড়ায় স্থানীয় বাজারে এখন ক্রেতা-বিক্রেতা আগের মতো নেই। এমনকি বর্ষায়ও এখন আর নদীতে প্রচুর ইলিশ আসে না। চলতি বছরের শুরুতে শীত মৌসুমে মেঘনায় ইলিশের দেখা পাননি জেলেরা। দু-চারটি করে ইলিশ পেলেও তাতে নৌকার জ্বালানি খরচই ওঠে না। মেঘনাপাড়ের বাসিন্দা, জেলে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মাছের আড়তদার হৃদয় মাহমুদ বলেন, গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ কমে গেছে ৬০-৭০ ভাগ। তাতে উপকূল এলাকার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মেঘনা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ায় জেলেরা ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরে গিয়ে মাছ শিকার করে। সাগর থেকে ইলিশ এনে চাহিদা মেটাচ্ছে জেলেরা।
স্থানীয় জেলে দিদার মাঝি বলেন, রামগতির টাংকি বাজার পর্যন্ত আরও অন্তত ছয়টি বড় ডুবোচর রয়েছে। যেগুলো বর্ষায় দেখা না গেলেও শীত মৌসুমে ভাটার সময় দেখা যায়। ফলে মৌসুমে ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলে, আড়তদার, পাইকার, দাদন ব্যবসায়ী, মৎস্যশ্রমিক ও জেলে পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে বিষাদের চাপ।
বেসরকারি স্থানীয় সংস্থা প্রয়াসের নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নদী অববাহিকায়ও জেগে ওঠা অসংখ্য চর দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করবে। চর জেগে ওঠায় নদীর তলদেশে ঢাল তৈরি হয়েছে। এতে পানির প্রবাহে বিঘ্ন ঘটছে।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, পানি স্বাভাবিক নিয়মে প্রবাহিত হতে না পেরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নদীতীরে। এতে নদীতীর ভাঙছে এবং লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে নৌ-সীমানায় মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরগুলোতে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
রামগতি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে আমাদের এ কেন্দ্রে ৫৭ টন ২০১ কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে, যার অধিকাংশই সাগরের। মিশ্রিত মাছ বিক্রি হয়েছে ৫৫ টন ১২৫ কেজি। গত ২১-২২ অর্থবছরে (মে-জুন) ১৯ টন ৭৩৮ কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে। মিশ্রিত মাছ বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৬২৩ কেজি।
জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৪২ হাজার। এর মধ্যে রামগতিতে নিবন্ধিত রয়েছেন ২০ হাজার। চলতি (২২-২৩) অর্থবছরে নদী থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন এবং সাগর থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। অন্যান্য মাছ আহরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ২২৪ মেট্রিক টন।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ইলিশ গভীর জলের মাছ। তাই নদীতে গভীরতা না থাকলে ইলিশও গতিবিধি পরিবর্তন করে। ফলে আশানুরূপ পরিমাণ ইলিশ আসতে পারছে না। এ কারণে বিগত দুই বছর ধরে নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেদের জীবিকা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে আসতে বাধা পেয়ে গতিপথ পরিবর্তন করছে। সামনে এ অবস্থা চলতে থাকলে মেঘনায় ইলিশ আরও কমে যাবে। নদীতে চর পড়ে গেছে এবং পানি কমে গেছে। তাই ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে, পানি বাড়লে ইলিশের পরিমাণও বাড়বে।
বেলা ১টার দিকে মঞ্চে বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তারা এলে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে হট্টগোল শুরু করেন বিএনপি-সমর্থিত আবেদনকারীরা। সরকারি কর্মকর্তারা লটারির নামে কৌশলে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা বেলা ২টা
৮ মিনিট আগেসিলেট নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে প্রতিবাদ সভা ও শোওয়া কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুবকল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) ও সিলেট প্রবাসীকল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা...
১৯ মিনিট আগেমামলার প্রধান আসামি হয়েও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শামীম সরকার। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবেরহাট বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে কোনো ধরনের জামিন নেননি বলে জানা গেছে।
২৪ মিনিট আগেকোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পারভেজ ও জহিরুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৩ মিনিট আগে