Ajker Patrika

পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ায় সীমান্তবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি হাওড়া নদীর

আখাউড়া প্রতিনিধি 
স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে হাওড়া নদীর পানি। এতে নদীর পাশের অনেক নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে। আজ রোববার সকালে। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে হাওড়া নদীর পানি। এতে নদীর পাশের অনেক নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে। আজ রোববার সকালে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার আশপাশের সীমান্তবর্তী কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

আজ রোববার (১ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাওড়া নদীর বিভিন্ন অংশে পানির প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে বালুভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন। কলন্দি খাল, কালিকাপুর, আব্দুল্লাহপুর, জাজিগাং, বাউতলা হয়ে মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত হাওড়া নদীর পানি অনেক বেড়েছে। এতে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাত থেকেই নদী ও খাল দিয়ে পানি ঢুকছে, ফলে এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘গত রাত থেকে পানি ঢুকছে। বন্দরের আশপাশের অনেক জায়গা তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রপ্তানিতে প্রভাব না পড়লেও পানি যেভাবে বাড়ছে, এতে করে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক ডুবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছি।’

মোগড়া ইউনিয়ন প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার প্রকৌশলী মো. শামিম আলম বলেন, গত রাত থেকেই পানি বাড়ছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনের সমন্বয়ে কাজ চলছে। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রও খোলা হবে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, হাওড়া নদীর পানি বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি, বিপৎসীমার চেয়ে ২ মিটার নিচে রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে একইভাবে পাহাড়ি ঢলে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে আখাউড়ার প্রায় ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। তখন প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। ক্ষতি হয়েছিল ১৯৫ হেক্টর ফসলি জমি ও আনুমানিক ১২ কোটি টাকার মৎস্য সম্পদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত