আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তিন পার্বত্য জেলায় বছর বছর বাড়ছে আমের চাষ। এ আম সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে দেশজুড়ে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত রাংগোয়াই আমের সুনাম অনেক।
আমের বাগান বাড়ার কারণে পাহাড়ে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ও পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ছে বলে স্থানীয় অনেকে মনে করছেন। তবে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে মৃত্তিকাসম্পদ ইনস্টিটিউট। বান্দরবান মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমগাছের কারণে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না, পাহাড় ধসের আশঙ্কাও নেই। তবে দুই আমগাছের মাঝে অন্য ফসল ফলানো ভালো। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের মাঝারি ঢালে আমবাগান ও খাড়া ঢালে বনজ গাছ লাগানো উচিত।
রাঙামাটি জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আপ্রু মারমা বলেন, আমবাগানে মাটি ক্ষয় হয় না। মাটিক্ষয়ের কারণ হলো পাহাড় কুপিয়ে ফসল চাষ, যেমন আনারস, কচু, আদা, হলুদ, কাসাভা বা শিমুল আলু চাষ।
পাহাড়ে যত কম চাষ দেবে, তত কম ক্ষতি হবে। ফলবাগান করার সময় শুধু গাছ রোপণের জন্য গর্ত করতে হয়, গাছ রোপণের পর গর্ত ভরাট করার ফলে আর তেমন ক্ষতি হয় না বলা যায়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, গাছের শিকড় মাটিকে বেঁধে রাখে। পরিকল্পিতভাবে নিয়ম মেনে আমগাছ লাগালে পাহাড়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমবাগানের মাঝে মাঝে মাটি ক্ষয়রোধ করতে পারে এমন গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ইতিমধ্যে মুকুলে ভরে গেছে বান্দরবান জেলার আমগাছগুলো। এতেই খুশি চাষিরা। কারণ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলার ৭টি উপজেলায় আমের উৎপাদন আরও বাড়বে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন চাষিরা।
আলীকদমের রোয়াম্ভু এলাকার আমচাষি বুলু তঞ্চঙ্গ্যা (পাড়াপ্রধান) বলেন, ‘নিজের ১২ একরের মধ্যে ১১ একরে রাংগোয়াই এবং বাকি ১ একরে আম্রপালি আমের বাগান করি। গত বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হবে বলে আশা করি।’
বান্দরবান জেলা সদরের গ্যাসমনিপাড়া, ফারুকপাড়া, বেতেলপাড়া, স্যারেনপাড়ার শত শত একর বাগানে আমগাছে ইতিমধ্যে গুটি এসেছে। কৃষক ব্যস্ত আমবাগান পরিচর্যায়। অন্যদিকে জেলার রুমায় কেএনএফ সংঘাতের কারণে বাড়িঘর ছেড়ে স্থানীয়রা পালিয়ে যাওয়ায় বাচালংপাড়া, আন্তাপাড়া, বেতেলপাড়া ও মুনলাইপাড়ার ৪০ শতাংশ জায়গার আমের মুকুর পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।
সদরের আমবাগানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় বাজারে আম আসার শুরুতে প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা হারে বিক্রি হলেও পরে তা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার আম চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। আমের বিকিকিনিকে কেন্দ্র করে পাল্টে যায় এলাকার অর্থনীতির চিত্র। বছরে আম বিপণনকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হলেও বান্দরবান থেকে প্রতিবছর কত কোটি টাকার আম বিক্রি হয়, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই কারও কাছে।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলায় ১০ হাজার ২৩৯ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ২৮৫ টন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টন। এর মধ্যে রাংগোয়াই ৭০ শতাংশ, আম্রপালি ১০ শতাংশ, হাড়িভাঙ্গা, মল্লিকা মিয়াজাকিসহ অন্যান্য জাতের আম ২০ শতাংশ।
রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলায় আমের ভূমির পরিমাণ ছিল ৩৬০০ হেক্টর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা সামান্য বেড়ে ৩৬২০ হেক্টর হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আপ্রু মারমা বলেন, বাগানিরা পুরোনো অফলন্ত আমগাছ কেটে নতুন বাগান সৃজন শুরু করেছেন। আমের পরিবর্তে কুল, ড্রাগন, রামবুটানের মতো লাভজনক ফলের বাগান করার উদ্যোগও নিয়েছেন কেউ কেউ।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) উপপরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলম জানান, জেলায় তিন হাজার পাঁচ শর বেশি আমচাষি রয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৪২১ হেক্টরে ৫৩২৭৯ টন আম উৎপাদিত হয়েছে।
বাছিরুল আলম আরও বলেন, ‘আমরা আগাছানাশক স্প্রে করতে নিরুৎসাহিত করি। কারণ এগুলোর কারণে মাটির অণুজীব থাকে যেগুলো গাছ বৃদ্ধির উপকারী, তারাও কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য আমরা চাষিদের মেশিনের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার করতে বলি।’ তিনি আরও বলেন, ঘন জঙ্গল বাগানের জন্য ভালো, মাটি ঠান্ডা রাখে। সে জন্য আমরা সম্পূর্ণ বন ধ্বংসের বিপক্ষে। গাছের গোড়া থেকে ২ ফুট জঙ্গলমুক্ত রাখুন।
[প্রতিবেদন তৈরি করেছেন হিমেল চাকমা রাঙামাটি, এস বাসু দাশ বান্দরবান ও নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি]
তিন পার্বত্য জেলায় বছর বছর বাড়ছে আমের চাষ। এ আম সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে দেশজুড়ে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত রাংগোয়াই আমের সুনাম অনেক।
আমের বাগান বাড়ার কারণে পাহাড়ে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ও পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ছে বলে স্থানীয় অনেকে মনে করছেন। তবে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে মৃত্তিকাসম্পদ ইনস্টিটিউট। বান্দরবান মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমগাছের কারণে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না, পাহাড় ধসের আশঙ্কাও নেই। তবে দুই আমগাছের মাঝে অন্য ফসল ফলানো ভালো। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের মাঝারি ঢালে আমবাগান ও খাড়া ঢালে বনজ গাছ লাগানো উচিত।
রাঙামাটি জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আপ্রু মারমা বলেন, আমবাগানে মাটি ক্ষয় হয় না। মাটিক্ষয়ের কারণ হলো পাহাড় কুপিয়ে ফসল চাষ, যেমন আনারস, কচু, আদা, হলুদ, কাসাভা বা শিমুল আলু চাষ।
পাহাড়ে যত কম চাষ দেবে, তত কম ক্ষতি হবে। ফলবাগান করার সময় শুধু গাছ রোপণের জন্য গর্ত করতে হয়, গাছ রোপণের পর গর্ত ভরাট করার ফলে আর তেমন ক্ষতি হয় না বলা যায়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, গাছের শিকড় মাটিকে বেঁধে রাখে। পরিকল্পিতভাবে নিয়ম মেনে আমগাছ লাগালে পাহাড়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমবাগানের মাঝে মাঝে মাটি ক্ষয়রোধ করতে পারে এমন গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ইতিমধ্যে মুকুলে ভরে গেছে বান্দরবান জেলার আমগাছগুলো। এতেই খুশি চাষিরা। কারণ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলার ৭টি উপজেলায় আমের উৎপাদন আরও বাড়বে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন চাষিরা।
আলীকদমের রোয়াম্ভু এলাকার আমচাষি বুলু তঞ্চঙ্গ্যা (পাড়াপ্রধান) বলেন, ‘নিজের ১২ একরের মধ্যে ১১ একরে রাংগোয়াই এবং বাকি ১ একরে আম্রপালি আমের বাগান করি। গত বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হবে বলে আশা করি।’
বান্দরবান জেলা সদরের গ্যাসমনিপাড়া, ফারুকপাড়া, বেতেলপাড়া, স্যারেনপাড়ার শত শত একর বাগানে আমগাছে ইতিমধ্যে গুটি এসেছে। কৃষক ব্যস্ত আমবাগান পরিচর্যায়। অন্যদিকে জেলার রুমায় কেএনএফ সংঘাতের কারণে বাড়িঘর ছেড়ে স্থানীয়রা পালিয়ে যাওয়ায় বাচালংপাড়া, আন্তাপাড়া, বেতেলপাড়া ও মুনলাইপাড়ার ৪০ শতাংশ জায়গার আমের মুকুর পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।
সদরের আমবাগানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় বাজারে আম আসার শুরুতে প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা হারে বিক্রি হলেও পরে তা ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার আম চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। আমের বিকিকিনিকে কেন্দ্র করে পাল্টে যায় এলাকার অর্থনীতির চিত্র। বছরে আম বিপণনকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হলেও বান্দরবান থেকে প্রতিবছর কত কোটি টাকার আম বিক্রি হয়, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই কারও কাছে।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলায় ১০ হাজার ২৩৯ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ২৮৫ টন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টন। এর মধ্যে রাংগোয়াই ৭০ শতাংশ, আম্রপালি ১০ শতাংশ, হাড়িভাঙ্গা, মল্লিকা মিয়াজাকিসহ অন্যান্য জাতের আম ২০ শতাংশ।
রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলায় আমের ভূমির পরিমাণ ছিল ৩৬০০ হেক্টর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা সামান্য বেড়ে ৩৬২০ হেক্টর হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আপ্রু মারমা বলেন, বাগানিরা পুরোনো অফলন্ত আমগাছ কেটে নতুন বাগান সৃজন শুরু করেছেন। আমের পরিবর্তে কুল, ড্রাগন, রামবুটানের মতো লাভজনক ফলের বাগান করার উদ্যোগও নিয়েছেন কেউ কেউ।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) উপপরিচালক মোহাম্মদ বাছিরুল আলম জানান, জেলায় তিন হাজার পাঁচ শর বেশি আমচাষি রয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৪২১ হেক্টরে ৫৩২৭৯ টন আম উৎপাদিত হয়েছে।
বাছিরুল আলম আরও বলেন, ‘আমরা আগাছানাশক স্প্রে করতে নিরুৎসাহিত করি। কারণ এগুলোর কারণে মাটির অণুজীব থাকে যেগুলো গাছ বৃদ্ধির উপকারী, তারাও কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য আমরা চাষিদের মেশিনের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার করতে বলি।’ তিনি আরও বলেন, ঘন জঙ্গল বাগানের জন্য ভালো, মাটি ঠান্ডা রাখে। সে জন্য আমরা সম্পূর্ণ বন ধ্বংসের বিপক্ষে। গাছের গোড়া থেকে ২ ফুট জঙ্গলমুক্ত রাখুন।
[প্রতিবেদন তৈরি করেছেন হিমেল চাকমা রাঙামাটি, এস বাসু দাশ বান্দরবান ও নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি]
রংপুরের বদরগঞ্জে টিএসপি ও ডিএপিসহ অন্যান্য রাসায়নিক সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। এ কারণে কৃষককে সরকারি দরের চেয়ে বস্তাপ্রতি ১০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরাসরি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুর পৌর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি কাকন গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ওয়্যারলেস বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
৯ ঘণ্টা আগেবরিশাল নগরে জমির মালিকেরা ২০২০ সালের প্রস্তাবিত ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসারে ভবনের নকশার অনুমোদন চান। আর সিটি করপোরেশন অনুমোদন দিচ্ছে ১৯৯৬ সালের বিধিমালা অনুসারে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বেড়েছে জমির মালিক ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এর জেরে সমাবেশ করতে গিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
৯ ঘণ্টা আগেএকসময় লঞ্চ, ট্রলার চলাচলে মুখরিত ছিল যে নদী, আজ সেখানে ফসলের মাঠ। ঠাকুরগাঁওয়ের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ভক্তি নদের এখন এমনই দশা। শুধু ভক্তি নয়, গত ৫০ বছরে জেলার অন্তত ১৩ নদ-নদী মানচিত্র থেকে মুছে গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে