Ajker Patrika

ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, রিসেপশন থেকে রোগনির্ণয়—সবই করেন এক টেকনিশিয়ান

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০১: ০০
মুন্সিরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি আজ সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুন্সিরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি আজ সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তবু এখানে চলছে রোগীদের রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। দেওয়া হচ্ছে রিপোর্ট। একজন টেকনিশিয়ান দিয়ে চলছে পুরো ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি। তিনি রিসেপশন থেকে শুরু করে স্যাম্পল সংগ্রহ, ল্যাবে পরীক্ষা, রিপোর্ট দেওয়াসহ সব কাজ করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন হাজির হন সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এ সময় তিনি সেখানে কোনো চিকিৎসক বা প্যাথলজিস্ট পাননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

আজ সন্ধ্যায় ইউএনও জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার মুন্সিরহাটে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো চিকিৎসক বসেন না। মাত্র একজন টেকনিশিয়ান দিয়ে সেটি পরিচালনা করেন নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পাই। দেখা গেছে, টেকনিশিয়ান নূর মোহাম্মদই রিসেপশন থেকে শুরু করে স্যাম্পল সংগ্রহ, ল্যাবে পরীক্ষা এবং রিপোর্ট দিয়ে আসছেন। এই সময় ল্যাবটিতে সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’ একই সঙ্গে পাশের নেছারিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার শর্তে সতর্ক করা হয় এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রশিদ আহাম্মেদ চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত