থানচি (বান্দরবান) ও বান্দরবান প্রতিনিধি
সেনা সহায়তায় দীর্ঘ আট মাস পর বান্দরবানের থানচি সদর ইউনিয়নের প্রাতা বমপাড়ার ১১টি পরিবারের ৪৯ জন সদস্য নিজ বাড়িতে ফিরেছে। আজ শনিবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড প্রাতা বমপাড়ায় প্রবেশ করে তারা।
এ সময় পাড়াবাসীকে বাকলাই ক্যাম্পের নিজেদের রসদ থেকে প্রতিটির পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ৪ কেজি ময়দা, ১ কেজি চিনি দেওয়া হয়।
প্রাতা পাড়াবাসী জানায়, চলতি বছরে মার্চ মাসে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্তৃক বাকলাই পাড়া সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। পরে সেনাবাহিনীও কেএনএফের আস্তানায় পাল্টা অভিযান চালালে গোলাগুলিতে সেখানকার স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ওই সময় নিরাপদে আশ্রয় নিতে মোট ২৮টি পরিবার বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হওয়ার কারণে এর মধ্যে ১১টি বম পরিবারের ৪৯ জন সদস্য আজ বাড়িতে ফিরেছে।
প্রাতা বমপাড়ার বাসিন্দা পিয়ার নিয়ার বম রনি (৩৮) বলেন, ‘কেএনএফ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমস্যার কারণে আমরা দীর্ঘ আট-নয় মাস যাবৎ বনজঙ্গলে, বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয়ে ছিলাম। আজকে বাড়িতে ফিরতে পেরে খুব খুশি লাগছে।’
প্রাতা পাড়ার আরেক সদস্য লিলি বম (৩৭) বলেন, ‘প্রায় ৯ মাস বনজঙ্গলে পালিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। অনেক দিন পর নিজ পাড়ার বসতভিটায় ফিরতে পেরেছি। এত আনন্দ বলার মতো না।’
বসতবাড়িতে ফিরে আসা লালমিনসাং বম বলেন, দীর্ঘ আট-নয় মাস আগে তাঁরা পাড়া ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিল। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিজ বাড়ি প্রাতা পাড়ায় ফিরতে পেরে খুব আনন্দবোধ করছেন।
গত ২২ জুন পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে ১৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। গত ১৯ জুলাই, ৪ আগস্ট, ২১ সেপ্টেম্বর পৃথক স্থান থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির ১০ সদস্য ও কেএনএফের চার সদস্য ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন। ৫ নভেম্বর সরাসরি তাঁদের প্রথম বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন হওয়ার পর এই প্রথম ১১ পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট ৪৮ জন ফিরলেন নিজেদের বাড়ি প্রাতা পাড়ায়।
থানচি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চসা থোয়াই মার্মা জানান, থানচি বাজার থেকে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওরা রওনা হলে সন্ধ্যায় নিজেদের বাসায় ফিরেছে বলে জানা গেছে।
বাকলাই সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক সালমান জানান, প্রাতা পাড়ার অবস্থান পাহাড়ি ও দুর্গম এরিয়ায়। তাই বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
সেনা সহায়তায় দীর্ঘ আট মাস পর বান্দরবানের থানচি সদর ইউনিয়নের প্রাতা বমপাড়ার ১১টি পরিবারের ৪৯ জন সদস্য নিজ বাড়িতে ফিরেছে। আজ শনিবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড প্রাতা বমপাড়ায় প্রবেশ করে তারা।
এ সময় পাড়াবাসীকে বাকলাই ক্যাম্পের নিজেদের রসদ থেকে প্রতিটির পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ৪ কেজি ময়দা, ১ কেজি চিনি দেওয়া হয়।
প্রাতা পাড়াবাসী জানায়, চলতি বছরে মার্চ মাসে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্তৃক বাকলাই পাড়া সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। পরে সেনাবাহিনীও কেএনএফের আস্তানায় পাল্টা অভিযান চালালে গোলাগুলিতে সেখানকার স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ওই সময় নিরাপদে আশ্রয় নিতে মোট ২৮টি পরিবার বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হওয়ার কারণে এর মধ্যে ১১টি বম পরিবারের ৪৯ জন সদস্য আজ বাড়িতে ফিরেছে।
প্রাতা বমপাড়ার বাসিন্দা পিয়ার নিয়ার বম রনি (৩৮) বলেন, ‘কেএনএফ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমস্যার কারণে আমরা দীর্ঘ আট-নয় মাস যাবৎ বনজঙ্গলে, বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয়ে ছিলাম। আজকে বাড়িতে ফিরতে পেরে খুব খুশি লাগছে।’
প্রাতা পাড়ার আরেক সদস্য লিলি বম (৩৭) বলেন, ‘প্রায় ৯ মাস বনজঙ্গলে পালিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। অনেক দিন পর নিজ পাড়ার বসতভিটায় ফিরতে পেরেছি। এত আনন্দ বলার মতো না।’
বসতবাড়িতে ফিরে আসা লালমিনসাং বম বলেন, দীর্ঘ আট-নয় মাস আগে তাঁরা পাড়া ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিল। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিজ বাড়ি প্রাতা পাড়ায় ফিরতে পেরে খুব আনন্দবোধ করছেন।
গত ২২ জুন পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে ১৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। গত ১৯ জুলাই, ৪ আগস্ট, ২১ সেপ্টেম্বর পৃথক স্থান থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির ১০ সদস্য ও কেএনএফের চার সদস্য ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন। ৫ নভেম্বর সরাসরি তাঁদের প্রথম বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন হওয়ার পর এই প্রথম ১১ পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট ৪৮ জন ফিরলেন নিজেদের বাড়ি প্রাতা পাড়ায়।
থানচি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চসা থোয়াই মার্মা জানান, থানচি বাজার থেকে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওরা রওনা হলে সন্ধ্যায় নিজেদের বাসায় ফিরেছে বলে জানা গেছে।
বাকলাই সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক সালমান জানান, প্রাতা পাড়ার অবস্থান পাহাড়ি ও দুর্গম এরিয়ায়। তাই বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
মাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গীতে প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমায় ইয়াকুব আলী (৬০) নামের আরেক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাধবপুর গ্রামের নওয়াব উল্লাহ ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আদাবরে গত বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে ছিনতাইকারীদের চাপাতির কোপে সুমন শেখ (২৬) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১ ঘণ্টা আগেঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
২ ঘণ্টা আগে