দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তীতে দাউদকান্দির রায়পুর বধ্যভূমিতে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় রায়পুর ব্রিজ ও খালসংলগ্ন বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া। এরপরই বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নেবেন করা হয়।
রায়পুর গণহত্যায় শহীদেরা হলেন—শহীদ ডাক্তার পাণ্ডব দেবনাথ, শহীদ শীতল চন্দ্র সরকার, শহীদ পাণ্ডব সাহা, শহীদ বিদিশীনী সাহা, শহীদ ফেলান সরকার, শহীদ শরৎ চন্দ্র সরকার, শহীদ সুধির বণিক, শহীদ কামিনী সুন্দরী দেবনাথ এবং শহীদ উমেশ সরকার (হারাই মিস্ত্রি)।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই বধ্যভূমিতে ৯ জন শহীদের স্বজন, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রায়পুর গণহত্যার গবেষক বাশার খান ও মুক্তিযুদ্ধপ্রেমীরা রায়পুরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লাগাতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর স্থানীয় সংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খানের তত্ত্বাবধানে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনকালে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। বর্বর এ গণহত্যার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বাশার খান।
স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন ও নিবেদনে অংশ নেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান খান, দাউদকান্দি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার খোরশেদ আলমসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশাজীবী, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৩ মে রায়পুর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৯ জন নারী-পুরুষকে রায়পুর খালপাড়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই গণহত্যায় সহযোগিতা করে হানাদার বাহিনীর বাংলাদেশি দোসর রাজাকারেরা।
স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ২০১৪ সালে একদল মাঠ গবেষককে সঙ্গে নিয়ে বাশার খান রায়পুর গণহত্যা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন। স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধীদের থেকে বিভিন্ন বাধা এলেও কাজটি এগিয়ে নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী এবং তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন সহযোগিতা করেন। এতে সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করেন বর্তমানে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, জামালপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ইলিয়াস সানি, মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক সৌরভ আহমেদ, সাংবাদিক ওমর ফারুক মিয়াজী, সাংবাদিক আলমগীর হোসেনসহ আরও কয়েকজন। এরপর ২০১৬ সালে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং বাশার খানের সম্পাদনায় ‘কুমিল্লা ১৯৭১-রায়পুর গণহত্যা’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ভূমিকা লিখেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। সহযোগী সম্পাদক ছিলেন কথাসাহিত্যিক মোজাফ্ফর হোসেন। গ্রন্থটি প্রকাশের পর এলাকায় আলোড়ন তৈরি হয়। কারণ এর আগে রায়পুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা নিয়ে তরুণ প্রজন্মের কোনো ধারণা ছিল না। কেউ কোনো কাজও করেনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তীতে দাউদকান্দির রায়পুর বধ্যভূমিতে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় রায়পুর ব্রিজ ও খালসংলগ্ন বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া। এরপরই বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নেবেন করা হয়।
রায়পুর গণহত্যায় শহীদেরা হলেন—শহীদ ডাক্তার পাণ্ডব দেবনাথ, শহীদ শীতল চন্দ্র সরকার, শহীদ পাণ্ডব সাহা, শহীদ বিদিশীনী সাহা, শহীদ ফেলান সরকার, শহীদ শরৎ চন্দ্র সরকার, শহীদ সুধির বণিক, শহীদ কামিনী সুন্দরী দেবনাথ এবং শহীদ উমেশ সরকার (হারাই মিস্ত্রি)।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই বধ্যভূমিতে ৯ জন শহীদের স্বজন, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রায়পুর গণহত্যার গবেষক বাশার খান ও মুক্তিযুদ্ধপ্রেমীরা রায়পুরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লাগাতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর স্থানীয় সংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খানের তত্ত্বাবধানে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনকালে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। বর্বর এ গণহত্যার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বাশার খান।
স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন ও নিবেদনে অংশ নেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান খান, দাউদকান্দি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার খোরশেদ আলমসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশাজীবী, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৩ মে রায়পুর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৯ জন নারী-পুরুষকে রায়পুর খালপাড়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই গণহত্যায় সহযোগিতা করে হানাদার বাহিনীর বাংলাদেশি দোসর রাজাকারেরা।
স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ২০১৪ সালে একদল মাঠ গবেষককে সঙ্গে নিয়ে বাশার খান রায়পুর গণহত্যা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন। স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধীদের থেকে বিভিন্ন বাধা এলেও কাজটি এগিয়ে নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী এবং তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন সহযোগিতা করেন। এতে সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করেন বর্তমানে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, জামালপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ইলিয়াস সানি, মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক সৌরভ আহমেদ, সাংবাদিক ওমর ফারুক মিয়াজী, সাংবাদিক আলমগীর হোসেনসহ আরও কয়েকজন। এরপর ২০১৬ সালে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং বাশার খানের সম্পাদনায় ‘কুমিল্লা ১৯৭১-রায়পুর গণহত্যা’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ভূমিকা লিখেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। সহযোগী সম্পাদক ছিলেন কথাসাহিত্যিক মোজাফ্ফর হোসেন। গ্রন্থটি প্রকাশের পর এলাকায় আলোড়ন তৈরি হয়। কারণ এর আগে রায়পুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা নিয়ে তরুণ প্রজন্মের কোনো ধারণা ছিল না। কেউ কোনো কাজও করেনি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৩ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে