সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
‘গত শনিবার বিস্ফোরণের আগে মোবাইলে ফোনে বাবা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। দুই ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরবে বলে জানিয়েছিল বাবা। কিন্তু চার দিনেও কি দুই ঘণ্টা শেষ হয়নি? এখনো কেন বাবা ফিরে এল না? প্লিজ আপনার আমার বাবাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। বাবা ছাড়া আমরা কীভাবে বাঁচব?’ বিস্ফোরণের চার দিন পরও বাবাকে ফিরে না পেয়ে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে এ কথাগুলো বলছিল লরিচালক আবুল হাসেমের মেয়ে সালমা আক্তার (১৩)।
লরিচালক আবুল হাসেম সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের মসজিদ্দা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর মেয়ে সালমা আক্তার স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
‘বাবার মতো আমাকে আর কেউ ভালোবাসে না জানিয়ে’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালমা বলে, ‘বাবা কখনো আমাদের কষ্ট দিত না। আমাদের হাসিখুশি রাখতে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করত। আমাদের সব আবদার মিটাত। বাবা ছাড়া আমার ছোট দুই ভাইবোন কী নিয়ে বাঁচবে?’
শুধু সালমা নয়, বাবাকে না পেয়ে ঘরের এক কোণে বসে অঝোরে কাঁদছিল তার ছোট বোন সায়মাও (৮)। বাবাকে ফিরে পেতে দুই মেয়ের করুণ আকুতি দেখে অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন তাদের মা রেহানা বেগম।
অশ্রুসিক্ত নয়নে রেহানা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একটি কোম্পানির লরি চালাতেন। গত শনিবার রাতে লরিভর্তি কনটেইনার নিয়ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে যান। ডিপোতে পৌঁছার পর আমাকে মোবাইলও করেন। ওনার তিন ছেলেমেয়ে কী করছে জানতে চেয়ে বলেন, কনটেইনার আনলোড করে আমি দুই ঘণ্টা পর আসছি। তুমি ছেলেমেয়েদের ভাত দিয়ে দাও। ওনার কথামতো আমি ছেলেমেয়েদের ভাত খেতে দিয়ে অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু তিনি আর আসেননি। পরে শুনতে পাই ওই কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ হয়েছে। এরপর থেকেই তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেই থেকে বিগত চার দিন কতবার সেখানে গেছি। কিন্তু তাঁর আর কোনো খোঁজ পাইনি। কার কাছে তাঁর খোঁজ পাব জানি না। কেউ যদি পারেন আমাকে আমার স্বামীর খোঁজ দেন।’
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী বলেন, আবুল হাসেম গত চার দিনেও বাড়ি ফিরে না আসায় তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা অঝোরে কাঁদছে। তারা বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে পাগলের মতো একবার ডিপো গেটের সামনে, আবার ছুটছে চমেক হাসপাতালে। টানা চার দিন ঘুরে বেড়ালেও এখনো লরিচালক আবুল হাসেমের সন্ধান মেলেনি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আবুল হাসেমকে হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়া অবুঝ শিশুদের কীভাবে সান্ত্বনা দেব আমি নিজেও তা বুঝতে পারছি না।’
‘গত শনিবার বিস্ফোরণের আগে মোবাইলে ফোনে বাবা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। দুই ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরবে বলে জানিয়েছিল বাবা। কিন্তু চার দিনেও কি দুই ঘণ্টা শেষ হয়নি? এখনো কেন বাবা ফিরে এল না? প্লিজ আপনার আমার বাবাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। বাবা ছাড়া আমরা কীভাবে বাঁচব?’ বিস্ফোরণের চার দিন পরও বাবাকে ফিরে না পেয়ে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে এ কথাগুলো বলছিল লরিচালক আবুল হাসেমের মেয়ে সালমা আক্তার (১৩)।
লরিচালক আবুল হাসেম সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের মসজিদ্দা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর মেয়ে সালমা আক্তার স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
‘বাবার মতো আমাকে আর কেউ ভালোবাসে না জানিয়ে’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালমা বলে, ‘বাবা কখনো আমাদের কষ্ট দিত না। আমাদের হাসিখুশি রাখতে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করত। আমাদের সব আবদার মিটাত। বাবা ছাড়া আমার ছোট দুই ভাইবোন কী নিয়ে বাঁচবে?’
শুধু সালমা নয়, বাবাকে না পেয়ে ঘরের এক কোণে বসে অঝোরে কাঁদছিল তার ছোট বোন সায়মাও (৮)। বাবাকে ফিরে পেতে দুই মেয়ের করুণ আকুতি দেখে অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন তাদের মা রেহানা বেগম।
অশ্রুসিক্ত নয়নে রেহানা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একটি কোম্পানির লরি চালাতেন। গত শনিবার রাতে লরিভর্তি কনটেইনার নিয়ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে যান। ডিপোতে পৌঁছার পর আমাকে মোবাইলও করেন। ওনার তিন ছেলেমেয়ে কী করছে জানতে চেয়ে বলেন, কনটেইনার আনলোড করে আমি দুই ঘণ্টা পর আসছি। তুমি ছেলেমেয়েদের ভাত দিয়ে দাও। ওনার কথামতো আমি ছেলেমেয়েদের ভাত খেতে দিয়ে অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু তিনি আর আসেননি। পরে শুনতে পাই ওই কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ হয়েছে। এরপর থেকেই তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেই থেকে বিগত চার দিন কতবার সেখানে গেছি। কিন্তু তাঁর আর কোনো খোঁজ পাইনি। কার কাছে তাঁর খোঁজ পাব জানি না। কেউ যদি পারেন আমাকে আমার স্বামীর খোঁজ দেন।’
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী বলেন, আবুল হাসেম গত চার দিনেও বাড়ি ফিরে না আসায় তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা অঝোরে কাঁদছে। তারা বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে পাগলের মতো একবার ডিপো গেটের সামনে, আবার ছুটছে চমেক হাসপাতালে। টানা চার দিন ঘুরে বেড়ালেও এখনো লরিচালক আবুল হাসেমের সন্ধান মেলেনি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আবুল হাসেমকে হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়া অবুঝ শিশুদের কীভাবে সান্ত্বনা দেব আমি নিজেও তা বুঝতে পারছি না।’
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশে যেখানে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে, সেখানে মুরাদনগরে দমন-পীড়নের রাজনীতি চলছে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী জেলে নেই, অথচ বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৩ জন নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে বন্দী। এটা প্রমাণ করে, আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী মুরাদনগরকে
১৯ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছার ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক ও পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে ওই জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত কাচারি ঘর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেঅধ্যক্ষ আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়োগ। তিনি তার চেয়েও জ্যেষ্ঠ ও যোগ্য শিক্ষকদের ডিঙিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষের পদ লাভ করেন। এ ছাড়া, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা এবং পিকনিকের জন্য নেওয়া টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেএ সময় ‘বিচার নিয়ে নয়ছয় আর নয়, আর নয়’, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনিদের ফাঁসি দে’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের ক্ষমা নাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে