সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ কুড়িয়ে পাওয়া প্রবাসীর মানিব্যাগ ফেরত দিয়ে প্রশংসায় ভাসছে ফেনীর মাদ্রাসাশিক্ষার্থী ইসতিয়াক রহমান (১৩)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সততায় মুগ্ধ নেটিজেনরা।
গতকাল শুক্রবার রাতে সাবেক পৌর মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টুকে নিয়ে শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল আজিজ ও ভাই সাইফুর রহমান অপু ওই প্রবাসীর হাতে মানিব্যাগটি তুলে দেন।
ইসতিয়াক রহমান জেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া কামিল মাস্টার্স মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর ভুক্তভোগীর নাম লোকমান হোসেন, তিনি ওই উপজেলার বাসিন্দা ও গ্রিসপ্রবাসী।
জানা যায়, ৪ এপ্রিল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভৈরব চৌধুরী বাজারে গ্রিসপ্রবাসী লোকমান হোসেনের ৪ লাখ টাকা, যার মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ডলার, শতাধিক ইউরো, বাংলাদেশি টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রসহ মানিব্যাগটি হারিয়ে যায়। হারানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ একাধিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তারপর ১০-১২ দিন চলে যাওয়ার পরও ব্যাগের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ৪ এপ্রিল একটি কাজে সদর ইউনিয়নের ভৈরব চৌধুরী বাজারে যাই। তারপর কাজ শেষে সোনাগাজী বাজারে আসার পর দেখি আমার মানিব্যাগ নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্ড থাকায় সোনাগাজী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
হারানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ একাধিক মাধ্যমে প্রচার করি। তারপর ১০-১২ দিন চলে যাওয়ার পর মনে করেছি ব্যাগটি পাব না।
গতকাল সন্ধ্যায় আমার নম্বরে কল আসে, একটি মানিব্যাগ পেয়েছে। এটি আমার কি না, তা দেখতে রাতেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। পরে দেখি আমার সব টাকা ও জিনিসপত্র ঠিক আছে। মাদ্রাসাশিক্ষার্থী ইসতিয়াক রহমান ও তার পরিবারকে ধন্যবাদ। এটাই প্রকৃত শিক্ষা।’
ইসতিয়াক রহমান বলে, ‘ঈদের তৃতীয় দিন (৫ এপ্রিল) আমার আম্মুসহ বাসা থেকে বের হয়েছি ঘুরতে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যগুদামের সামনে (সোনাগাজী-মুহুরি প্রজেক্ট সড়ক) ব্যাগটি পাই। পরে সেটি নিয়ে রাখি। কার কাছে কীভাবে দেব, সেটা বুঝতে পারছি না।
পরে ঘরে রেখে আমি আব্বু–আম্মুসহ চিকিৎসার কাজে ঢাকায় যাই। সেখান থেকে ১৫ এপ্রিল আসি। তখন আমার ভাইয়াকে (সাইফুর রহমান অপু) বলি, আমি ঘুরতে গিয়ে মানিব্যাগটি পেয়েছি। তখন তিনি যার মানিব্যাগ তার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার হাতে টাকা, জিনিসপত্রসহ মানিব্যাগটি তুলে দিই। আমার পরিবারের শিক্ষা আমি যেন অন্যের কোনো জিনিসপত্র তাদের অনুমতি ছাড়া না ধরি। তাদের জিনিস তাদের কাছে ফেরত দিতে পেরে আমার খুব ভালো লাগল।’
এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ছেলেটি সততার প্রমাণ দিয়েছে। তাকে প্রশাসনিকভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। তাহলে এসব কাজে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবে।
আব্দুর রহমান রুইংকেল নামে আরেকজন বলেন, অনেকে আরও অল্প টাকা হলেও দেয় না। সেখানে এত টাকা থাকার পরও ফেরত দেওয়া, এটা সত্যিই সৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। ছেলেটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।
ইসতিয়াকের ভাই সাইফুর রহমান অপু বলেন, ‘আমার ছোট ভাই মানিব্যাগের কথা বললে আমি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিই, এতে কেউ কোনো সাড়া দেয়নি। পরে এসএন নিউজে একটি ব্যাগ হারানোর সংবাদ চোখে পড়ে। তখন তাদের কল দিলে সত্যতা যাচাইয়ের পর তাদের হাতে মানিব্যাগটি তুলে দিই।’
সাবেক মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। এমনটি সবার ক্ষেত্রে হওয়া উচিত। আমি উপস্থিত থেকে টাকা, জিনিসপত্রসহ মানিব্যাগ হস্তান্তর করেছি।’
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ হোসেন আকন বলেন, টাকাসহ মানিব্যাগ হারানোর একটি জিডি হয়েছিল। শুক্রবার মানিব্যাগ পাওয়ার পর রাতে আমাদের জানিয়েছে। ছেলেটির টাকা ফেরত দেওয়ার সংবাদ শুনে আমাদের কাছেও ভালো লাগল।’
৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ কুড়িয়ে পাওয়া প্রবাসীর মানিব্যাগ ফেরত দিয়ে প্রশংসায় ভাসছে ফেনীর মাদ্রাসাশিক্ষার্থী ইসতিয়াক রহমান (১৩)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সততায় মুগ্ধ নেটিজেনরা।
গতকাল শুক্রবার রাতে সাবেক পৌর মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টুকে নিয়ে শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল আজিজ ও ভাই সাইফুর রহমান অপু ওই প্রবাসীর হাতে মানিব্যাগটি তুলে দেন।
ইসতিয়াক রহমান জেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া কামিল মাস্টার্স মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর ভুক্তভোগীর নাম লোকমান হোসেন, তিনি ওই উপজেলার বাসিন্দা ও গ্রিসপ্রবাসী।
জানা যায়, ৪ এপ্রিল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভৈরব চৌধুরী বাজারে গ্রিসপ্রবাসী লোকমান হোসেনের ৪ লাখ টাকা, যার মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ডলার, শতাধিক ইউরো, বাংলাদেশি টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রসহ মানিব্যাগটি হারিয়ে যায়। হারানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ একাধিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়। তারপর ১০-১২ দিন চলে যাওয়ার পরও ব্যাগের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ৪ এপ্রিল একটি কাজে সদর ইউনিয়নের ভৈরব চৌধুরী বাজারে যাই। তারপর কাজ শেষে সোনাগাজী বাজারে আসার পর দেখি আমার মানিব্যাগ নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্ড থাকায় সোনাগাজী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
হারানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ একাধিক মাধ্যমে প্রচার করি। তারপর ১০-১২ দিন চলে যাওয়ার পর মনে করেছি ব্যাগটি পাব না।
গতকাল সন্ধ্যায় আমার নম্বরে কল আসে, একটি মানিব্যাগ পেয়েছে। এটি আমার কি না, তা দেখতে রাতেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। পরে দেখি আমার সব টাকা ও জিনিসপত্র ঠিক আছে। মাদ্রাসাশিক্ষার্থী ইসতিয়াক রহমান ও তার পরিবারকে ধন্যবাদ। এটাই প্রকৃত শিক্ষা।’
ইসতিয়াক রহমান বলে, ‘ঈদের তৃতীয় দিন (৫ এপ্রিল) আমার আম্মুসহ বাসা থেকে বের হয়েছি ঘুরতে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যগুদামের সামনে (সোনাগাজী-মুহুরি প্রজেক্ট সড়ক) ব্যাগটি পাই। পরে সেটি নিয়ে রাখি। কার কাছে কীভাবে দেব, সেটা বুঝতে পারছি না।
পরে ঘরে রেখে আমি আব্বু–আম্মুসহ চিকিৎসার কাজে ঢাকায় যাই। সেখান থেকে ১৫ এপ্রিল আসি। তখন আমার ভাইয়াকে (সাইফুর রহমান অপু) বলি, আমি ঘুরতে গিয়ে মানিব্যাগটি পেয়েছি। তখন তিনি যার মানিব্যাগ তার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার হাতে টাকা, জিনিসপত্রসহ মানিব্যাগটি তুলে দিই। আমার পরিবারের শিক্ষা আমি যেন অন্যের কোনো জিনিসপত্র তাদের অনুমতি ছাড়া না ধরি। তাদের জিনিস তাদের কাছে ফেরত দিতে পেরে আমার খুব ভালো লাগল।’
এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ছেলেটি সততার প্রমাণ দিয়েছে। তাকে প্রশাসনিকভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। তাহলে এসব কাজে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবে।
আব্দুর রহমান রুইংকেল নামে আরেকজন বলেন, অনেকে আরও অল্প টাকা হলেও দেয় না। সেখানে এত টাকা থাকার পরও ফেরত দেওয়া, এটা সত্যিই সৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। ছেলেটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।
ইসতিয়াকের ভাই সাইফুর রহমান অপু বলেন, ‘আমার ছোট ভাই মানিব্যাগের কথা বললে আমি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিই, এতে কেউ কোনো সাড়া দেয়নি। পরে এসএন নিউজে একটি ব্যাগ হারানোর সংবাদ চোখে পড়ে। তখন তাদের কল দিলে সত্যতা যাচাইয়ের পর তাদের হাতে মানিব্যাগটি তুলে দিই।’
সাবেক মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। এমনটি সবার ক্ষেত্রে হওয়া উচিত। আমি উপস্থিত থেকে টাকা, জিনিসপত্রসহ মানিব্যাগ হস্তান্তর করেছি।’
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ হোসেন আকন বলেন, টাকাসহ মানিব্যাগ হারানোর একটি জিডি হয়েছিল। শুক্রবার মানিব্যাগ পাওয়ার পর রাতে আমাদের জানিয়েছে। ছেলেটির টাকা ফেরত দেওয়ার সংবাদ শুনে আমাদের কাছেও ভালো লাগল।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে