Ajker Patrika

পছন্দের প্রতীক পেয়ে খুশি প্রার্থীরা, জমে উঠেছে প্রচারণা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
পছন্দের প্রতীক পেয়ে খুশি প্রার্থীরা, জমে উঠেছে প্রচারণা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে সকল প্রতীক পছন্দের তালিকায় একাধিক প্রার্থী ছিল তাঁদের মধ্যে লটারি করে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়র পদে সবাই তাঁদের পছন্দের প্রতীক পেয়েছেন। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কিছু প্রার্থীর পছন্দের তালিকা এক থাকায় লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে প্রতীক পেয়ে খুশি সবাই।

আজ শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সকাল নয়টা থেকেই প্রার্থীরা তাঁদের সমর্থক নিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে উপস্থিত হন। প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা তাঁদের সমর্থক নিয়ে মিছিল করেন। প্রার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত সমর্থকেরাও।

নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় মেয়র প্রার্থীদের। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক (নৌকা) পেয়েছেন আরফানুল হক রিফাত, সদ্য সাবেক কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল পেয়েছেন হরিণ, স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ঘোড়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম পেয়েছেন হাত পাখা।

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রিফাতের নেতা–কর্মীরা শুক্রবার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিছিল নিয়ে প্রচারণা শুরু করে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু নানুয়া দিঘির পাড়ে নিজ বাসায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সিটির সদর দক্ষিণ উপজেলার ৯টি ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আমির হোসেন বলেন, ‘পছন্দের তালিকায় ঘুড়ি প্রতীক ছিল। অন্য প্রার্থীরও এ প্রতীক পছন্দ করায় লটারি হয়, এতে আমি আমার পছন্দের প্রতীক পেয়ে যাই।’ 

সংরক্ষিত আসন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ফারহানা পারভিন বলেন, ‘আমার পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক বই পেয়েছি। এতে আমি আনন্দিত।’ 
 
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছি। এটা স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা এবং রিফাত ভাইয়ের প্রতীক নৌকা।’ 

স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি আমার কাঙ্ক্ষিত প্রতীক টেবিল ঘড়ি পেয়েছি। ২০০৫ সালে কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলাম এ প্রতীক নিয়ে। এ প্রতীক দিয়েই আমার জনপ্রতিনিধি হওয়ার যাত্রা শুরু হয়।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। সবাই এতে সহযোগিতা করেছে। এখন থেকে প্রচার প্রচারণা শুরু। সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবককে সাজা, ভেকু মেশিন জব্দ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হৃদয় আহমেদ (২৬) নামের এক যুবককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) জব্দ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের জিলকী বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত হৃদয় জিলকী বটতলা এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এসি ল্যান্ড মাহবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যাতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা করা যায় এবং অবৈধ বালু উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাকৃবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে নারী সহপাঠীদের ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিযোগকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী বাকৃবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি তাঁর নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইল ফোনে তুলতেন। তাঁর কাছ থেকে যিনি ছবিগুলো গ্রহণ করতেন, তিনি ওই ছাত্রী যে বিভাগে পড়েন, সেই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।

ওই ছাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না; তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই ছাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করে তাঁরা তাঁকে নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন যে ওই ছাত্রী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত ইভা নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় এই দম্পতি ভাড়া থাকতেন। ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানে লাশটি দেখতে পান। ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ইভার স্বামী দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি পলাতক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত