Ajker Patrika

ফুল বিজু উৎসবে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীর তীরে ভিড় চাকমাদের

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১২: ৫৫
Thumbnail image

খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের বর্ষবিদায় ও নতুন বর্ষবরণের উৎসব চলছে। আজ শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে খবংপড়িয়া এলাকার চেঙ্গী নদীতে ফুল দেওয়া ও মোমবাতি প্রজ্বালন শেষে প্রার্থনা করে চাকমারা ফুল বিজু উৎসবের সূচনা করেন। 

অন্ধকার কেটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা ঐতিহ্যবাহী পিনোন-কাদি ও পুরুষেরা ধুতি পরে চেঙ্গী নদীর তীরে হাজির হন। জঙ্গল, মানুষের বাড়িতে বা নিজেদের বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করেন। 

খবংপড়িয়া বাসিন্দা ছোটমণি চাকমা ও বিজরী চাকমা বলেন, ফুল বিজু এখন একটা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ছোট-বড় সবাই মিলে ফুল বিজুর দিনে খুব ভোরে পাড়ার বা নিজের বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করি। এরপর চেঙ্গী নদীর পাড়ে একটি বেদি তৈরি করে কলাপাতার ওপর ফুল সাজিয়ে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে ফুল দিয়ে থাকি। আমরা মা গঙ্গার কাছে প্রার্থনা করি পুরোনো বছরের দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য। যত রোগব্যাধি আছে, পুরোনো বছরের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো যেন নির্মূল হয়ে যায়। আর নতুন বছর সবার জীবনে যেন সুখ-শান্তি ও মঙ্গল বয়ে আনে। 

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব বয়সী নারীরা ঐতিহ্যবাহী পিনোন-কাদি ও পুরুষেরা ধুতি পরে চেঙ্গী নদীর তীরে হাজির হন। ছবি: আজকের পত্রিকাখাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জীতেন চাকমা বলেন, ‘মানুষ যেন ভালোটা মনে রাখে এবং খারাপটা মনে না রাখে, সেই উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল দিয়ে এই উৎসব পালন করি আমরা। ফুল বিজুর দিন যেমন নদীতে ফুল দেয়, তেমনি ফুলে ফুলে সাজানো হয় ঘর। ওই দিন সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।’ 

জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই উৎসব ঘিরে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। তা ছাড়া গোয়েন্দা নিরাপত্তা আছে। ৯ উপজেলার থানাগুলোকে অবগত করা
হয়েছে। ফুল বিজু উৎসবে অংশ নেয় চাকমা শিশুরাও। ছবি: আজকের পত্রিকাআগামীকাল মূল বিজু উৎসব উদ্‌যাপন করবে চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিন ঘরে ঘরে ঐতিহ্যবাহী পাজন রান্না করে অতিথি আপ্যায়ন হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত