ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রোপা আউশ মৌসুমে নতুন ব্রি-৯৮ জাতের ধানের ফলন দেখে যারপরনাই আনন্দিত চাষিরা। একদিকে এর ফলন ভালো, তার ওপর চিকন চাল আর চাষে সময়ও লাগে কম।
ইতিমধ্যে খেত থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করেছেন কৃষকেরা। সাধারণত আউশ মৌসুমের অন্যান্য জাতের ধানে ১৫ থেকে ১৬ মণ ফলন হলেও নতুন এই ধানে বিঘাপ্রতি গড়ে ২০ মণ ফলন মিলছে। তাতে কৃষকের মুখে চওড়া হাসি দেখা গেছে। কম সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় কৃষকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ধানের নতুন এই জাত।
ব্রি-৯৮ জাতের ধানের বিস্তারে দুই মৌসুম ধরে কাজ করছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। উৎপাদিত বীজ রেখে এ বছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৩৯৩ হেক্টর জমিতে জাতটি সম্প্রসারিত হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহজুড়ে চলছে উপজেলার মাঠে মাঠে আউশ ধান কাটার ধুম। উজ্জ্বল রোদে বাতাসে দুলছে স্বপ্নের পাকা সোনালি ধান। কৃষক পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি শ্রমিকেরা ভাটিয়ালি, পল্লিগীতি ও আগের দিনের নানা গান গেয়ে কৃষকের এসব ধান কাটছেন। কৃষক-কৃষানিরা সোনার এসব ধান ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নের কল্পবাস গ্রামের কৃষক আবু জাহেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনন্দ লাগছে আমার জমিতে চাষ করা ধান দেখে। এই সময়ে জমিতে এত ধান হবে ভাবতে পারি নাই। গত বছরগুলোতে আউশ মৌসুমে যে পরিমাণ জমিতে সর্বোচ্চ ভালো হলে পাঁচ মণ ধান পেতাম, এ বছর সেই জমিতে ব্রি-৯৮ রোপণ করে ২২ মণ ধান পাব বলে আশা করছি।’
দুলালপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি অনেকের কাছে এই ধানের কথা শুনেছি। তাই দেখতে এসেছি। ব্রি-৯৮ জাতটা খুব ভালো। সব খেতেই এই জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। চিটা নেই বললেই চলে।’
একই গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি খেতে মাথায় বড় বড় ছড়া নিয়ে ধানগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোনালি ফসল বাতাসে দোল খাচ্ছে। দেখে খুব ভালো লাগল। আগামী বছর আমিও আউশ মৌসুমে আমার জমিতে এই ধান চাষ করব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, এবার আউশ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি মাঠে ব্রি-৯৮ ধান রোপণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়ায় পর পর দুই বছর এই ধানের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর এই ধানের ভালো ফলন দেখে এ বছর অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে এটি চাষ করেন।
মাহবুবুল হাসান বলেন, এ বছর উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে পাঁচ কেজি করে ৫০০ জন কৃষককে আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনা মূল্যে ব্রি-৯৮ জাতের বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেক কৃষক উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শে বাজার থেকে বীজ কিনে চাষ করেছেন। প্রচণ্ড খরার কারণে কৃষকেরা জমিতে ধানের চারা দেরিতে রোপণ করেছেন। জমিতে সময়মতো পানি দিতে পারেননি। যথাসময়ে এই ধান রোপণ করলে ফলন আরও ভালো হতো।
এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ব্রি-৯৮ জাতের ধানের আবাদ ভবিষ্যতে আরও অনেক বাড়বে। এটি আউশ মৌসুমে মেগা ভেরাইটি হিসেবে চাষ হবে বলে আমরা মনে করি।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রোপা আউশ মৌসুমে নতুন ব্রি-৯৮ জাতের ধানের ফলন দেখে যারপরনাই আনন্দিত চাষিরা। একদিকে এর ফলন ভালো, তার ওপর চিকন চাল আর চাষে সময়ও লাগে কম।
ইতিমধ্যে খেত থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করেছেন কৃষকেরা। সাধারণত আউশ মৌসুমের অন্যান্য জাতের ধানে ১৫ থেকে ১৬ মণ ফলন হলেও নতুন এই ধানে বিঘাপ্রতি গড়ে ২০ মণ ফলন মিলছে। তাতে কৃষকের মুখে চওড়া হাসি দেখা গেছে। কম সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় কৃষকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ধানের নতুন এই জাত।
ব্রি-৯৮ জাতের ধানের বিস্তারে দুই মৌসুম ধরে কাজ করছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। উৎপাদিত বীজ রেখে এ বছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৩৯৩ হেক্টর জমিতে জাতটি সম্প্রসারিত হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহজুড়ে চলছে উপজেলার মাঠে মাঠে আউশ ধান কাটার ধুম। উজ্জ্বল রোদে বাতাসে দুলছে স্বপ্নের পাকা সোনালি ধান। কৃষক পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি শ্রমিকেরা ভাটিয়ালি, পল্লিগীতি ও আগের দিনের নানা গান গেয়ে কৃষকের এসব ধান কাটছেন। কৃষক-কৃষানিরা সোনার এসব ধান ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নের কল্পবাস গ্রামের কৃষক আবু জাহেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনন্দ লাগছে আমার জমিতে চাষ করা ধান দেখে। এই সময়ে জমিতে এত ধান হবে ভাবতে পারি নাই। গত বছরগুলোতে আউশ মৌসুমে যে পরিমাণ জমিতে সর্বোচ্চ ভালো হলে পাঁচ মণ ধান পেতাম, এ বছর সেই জমিতে ব্রি-৯৮ রোপণ করে ২২ মণ ধান পাব বলে আশা করছি।’
দুলালপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি অনেকের কাছে এই ধানের কথা শুনেছি। তাই দেখতে এসেছি। ব্রি-৯৮ জাতটা খুব ভালো। সব খেতেই এই জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। চিটা নেই বললেই চলে।’
একই গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি খেতে মাথায় বড় বড় ছড়া নিয়ে ধানগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোনালি ফসল বাতাসে দোল খাচ্ছে। দেখে খুব ভালো লাগল। আগামী বছর আমিও আউশ মৌসুমে আমার জমিতে এই ধান চাষ করব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, এবার আউশ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি মাঠে ব্রি-৯৮ ধান রোপণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়ায় পর পর দুই বছর এই ধানের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর এই ধানের ভালো ফলন দেখে এ বছর অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে এটি চাষ করেন।
মাহবুবুল হাসান বলেন, এ বছর উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে পাঁচ কেজি করে ৫০০ জন কৃষককে আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনা মূল্যে ব্রি-৯৮ জাতের বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেক কৃষক উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শে বাজার থেকে বীজ কিনে চাষ করেছেন। প্রচণ্ড খরার কারণে কৃষকেরা জমিতে ধানের চারা দেরিতে রোপণ করেছেন। জমিতে সময়মতো পানি দিতে পারেননি। যথাসময়ে এই ধান রোপণ করলে ফলন আরও ভালো হতো।
এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ব্রি-৯৮ জাতের ধানের আবাদ ভবিষ্যতে আরও অনেক বাড়বে। এটি আউশ মৌসুমে মেগা ভেরাইটি হিসেবে চাষ হবে বলে আমরা মনে করি।’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুকুরে পড়ে আবদুল্লাহ (২) ও মাহফুজ (২) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (৭ মে) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা ও রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেহত্যা, অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরকসহ ৩৩ মামলার আসামি কাজী তারেককে গ্রেপ্তার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর সরকারি এম এম কলেজ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেটাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল দেখানো হয়। হয়রানি করা হয় বছরের পর বছর। দালাল আর টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাবনা কার্যালয়ে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আকস্মিক অভিযানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
১০ মিনিট আগেপাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত।
১৫ মিনিট আগে