চাঁদপুর প্রতিনিধি
ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে নেমেছেন জেলেরা। তবে ইলিশ নয়, পাঙাশ পাওয়ায় আশায় সুতার গোল্টিজাল নিয়ে শত শত জেলে ছুটছেন নদীতে। নদীতে চাহিদার আকারের তুলনায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কম, পাশাপাশি দামও কম। বড় পাঙাশে লাভ বেশি জেলেদের। বড় আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ হাজার টাকা।
আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেল, অধিকাংশ আড়তেই বড় আকারের পাঙাশ মাছ। ইলিশ থাকলেও আকারে ছোট। বড় আকারের ইলিশ পাওয়া গেলে ডিম ছেড়ে দেওয়ায় মাছের ওজন এখন কম।
হরিণাঘাটে কিছু সময় অবস্থান করে দেখা গেছে, আড়তগুলোতে জেলেদের ধরে আনা ইলিশ চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষণা কাজে নিয়োজিত লোকজন ডিম ছাড়ার পরে মাছের আকার-আকৃতি পরীক্ষা করছেন। জেলেদের ধরে আনা বড় আকারের অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম নেই। আবার অনেক ছোট আকারের ইলিশের পেটেও ডিম আছে। তবে বড় আকারের ইলিশের সংখ্যা কম।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে হরিণা ফেরিঘাটের এই মৎস্য আড়ত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর থেকে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এই ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সেরাজুল শেখ বলেন, ভোর থেকেই জেলেরা আড়তে বেশির ভাগ পাঙাশ মাছ নিয়ে আসছেন। কোনো জেলে নিয়ে এসেছেন বাগাড়সহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ। আইড় ও পাঙাশের দাম একই রকম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। তবে পাঙাশ ছোট আকারের খুবই কম। প্রতিটি পাঙাশের ওজন ১০-১৫ কেজি।
ছোট নৌকা নিয়ে ভোর ৪টায় নদীতে নেমেছেন উত্তর হরিণা গ্রামের জেলে শরীফসহ আরও তিন জেলে। সকাল ৮টায় ঘাটে এসেছেন ইলিশ বিক্রি করতে। ৩ হালি ইলিশ বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৪০০ টাকায়। তবে তাঁদের জ্বালানি খরচ হয়েছে প্রায় ৭০০ টাকা। দুপুরের পর আবার নামবেন।
গোল্টিজাল দিয়ে মাছ ধরেন সদরের হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের আল-আমিন ও জহির রাঢ়ী। আল-আমিন জানান, মধ্যরাতে তাঁরা নেমেছেন মেঘনায়। প্রতি নৌকায় কমপক্ষে ১০ জন জেলে থাকেন। একবার নদীতে নামলে খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা। ইলিশ খুবই কম পাওয়া যায়। পাঙাশের আশায় নদীতে নেমেছেন। কারণ, গোল্টিজালে ইলিশ, পাঙাশসহ সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়।
জহির রাঢ়ী বলেন, ‘অভিযানের সময় একশ্রেণির জেলে নিষেধাজ্ঞা মানেননি। তাঁরা অবাধে ইলিশ ধরেছেন। এখন অভিযান শেষ হওয়ায় হাজার হাজার জেলে নদীতে। ভাগ্য ভালো হলে ইলিশ কিংবা পাঙাশ—সবই পাওয়া যায়। মধ্যরাতে নেমেছি। আবার দুপুরের পরে নামা হবে।’
একই ধরনের কথা বলেন ওই গ্রামের জেলে খলিল গাজী ও হান্নান ছৈয়াল। সব জেলে এখন পাড়ে এসে জাল পরিষ্কার এবং পরে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হরিণা ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, ‘ভোর থেকেই আড়তে বসে আছি। আমার যেসব জেলে আছে, তারা এখনো আসেনি। তবে ইলিশের দাম বাড়েনি। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। ছোট আকারের ইলিশের হালি ৫০০-৫৫০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ খুবই কম। ছোট ও বড় আকারের ইলিশই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নদীতে পানি কমেছে। ২২ দিনের অভিযানও শেষ। কী পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে, তা মৎস্যবিজ্ঞানীদের গবেষণার তথ্য বের হলে জানা যাবে। তবে ইলিশ সারা বছরই ডিম ছাড়ে। জেলা টাস্কফোর্স ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ২২ দিন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে নেমেছেন জেলেরা। তবে ইলিশ নয়, পাঙাশ পাওয়ায় আশায় সুতার গোল্টিজাল নিয়ে শত শত জেলে ছুটছেন নদীতে। নদীতে চাহিদার আকারের তুলনায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কম, পাশাপাশি দামও কম। বড় পাঙাশে লাভ বেশি জেলেদের। বড় আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ হাজার টাকা।
আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেল, অধিকাংশ আড়তেই বড় আকারের পাঙাশ মাছ। ইলিশ থাকলেও আকারে ছোট। বড় আকারের ইলিশ পাওয়া গেলে ডিম ছেড়ে দেওয়ায় মাছের ওজন এখন কম।
হরিণাঘাটে কিছু সময় অবস্থান করে দেখা গেছে, আড়তগুলোতে জেলেদের ধরে আনা ইলিশ চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষণা কাজে নিয়োজিত লোকজন ডিম ছাড়ার পরে মাছের আকার-আকৃতি পরীক্ষা করছেন। জেলেদের ধরে আনা বড় আকারের অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম নেই। আবার অনেক ছোট আকারের ইলিশের পেটেও ডিম আছে। তবে বড় আকারের ইলিশের সংখ্যা কম।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে হরিণা ফেরিঘাটের এই মৎস্য আড়ত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর থেকে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এই ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সেরাজুল শেখ বলেন, ভোর থেকেই জেলেরা আড়তে বেশির ভাগ পাঙাশ মাছ নিয়ে আসছেন। কোনো জেলে নিয়ে এসেছেন বাগাড়সহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ। আইড় ও পাঙাশের দাম একই রকম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। তবে পাঙাশ ছোট আকারের খুবই কম। প্রতিটি পাঙাশের ওজন ১০-১৫ কেজি।
ছোট নৌকা নিয়ে ভোর ৪টায় নদীতে নেমেছেন উত্তর হরিণা গ্রামের জেলে শরীফসহ আরও তিন জেলে। সকাল ৮টায় ঘাটে এসেছেন ইলিশ বিক্রি করতে। ৩ হালি ইলিশ বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৪০০ টাকায়। তবে তাঁদের জ্বালানি খরচ হয়েছে প্রায় ৭০০ টাকা। দুপুরের পর আবার নামবেন।
গোল্টিজাল দিয়ে মাছ ধরেন সদরের হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের আল-আমিন ও জহির রাঢ়ী। আল-আমিন জানান, মধ্যরাতে তাঁরা নেমেছেন মেঘনায়। প্রতি নৌকায় কমপক্ষে ১০ জন জেলে থাকেন। একবার নদীতে নামলে খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা। ইলিশ খুবই কম পাওয়া যায়। পাঙাশের আশায় নদীতে নেমেছেন। কারণ, গোল্টিজালে ইলিশ, পাঙাশসহ সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়।
জহির রাঢ়ী বলেন, ‘অভিযানের সময় একশ্রেণির জেলে নিষেধাজ্ঞা মানেননি। তাঁরা অবাধে ইলিশ ধরেছেন। এখন অভিযান শেষ হওয়ায় হাজার হাজার জেলে নদীতে। ভাগ্য ভালো হলে ইলিশ কিংবা পাঙাশ—সবই পাওয়া যায়। মধ্যরাতে নেমেছি। আবার দুপুরের পরে নামা হবে।’
একই ধরনের কথা বলেন ওই গ্রামের জেলে খলিল গাজী ও হান্নান ছৈয়াল। সব জেলে এখন পাড়ে এসে জাল পরিষ্কার এবং পরে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হরিণা ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, ‘ভোর থেকেই আড়তে বসে আছি। আমার যেসব জেলে আছে, তারা এখনো আসেনি। তবে ইলিশের দাম বাড়েনি। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। ছোট আকারের ইলিশের হালি ৫০০-৫৫০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ খুবই কম। ছোট ও বড় আকারের ইলিশই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নদীতে পানি কমেছে। ২২ দিনের অভিযানও শেষ। কী পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে, তা মৎস্যবিজ্ঞানীদের গবেষণার তথ্য বের হলে জানা যাবে। তবে ইলিশ সারা বছরই ডিম ছাড়ে। জেলা টাস্কফোর্স ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ২২ দিন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ফরিদ খাঁ বলেন, ‘৫ আগস্ট ৩টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে ফেরার সময় ওয়াজেদ ও তার লোকজন আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এখন তারাই “জুলাই যোদ্ধা” হয়ে গেছে।’
১ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদাম থেকে দুই সপ্তাহ আগে ৩০০ টন গমের চাহিদা দেওয়া হয়। চাহিদার বিপরীতে গত বৃহস্পতিবার আটটি ট্রাকে ৬৪ টন গম আসে। বাহকদের কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার সময় দেখা যায় গমগুলো ছত্রাক ধরা ও নিম্নমানের। তখন আনলোড না করে এই গম খুলনাতে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করি।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ডিসি কার্যালয়ের সামনে কালেক্টর চত্বর, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনেসহ নিউমার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, প্রফেসরপাড়া, বালুবাগান, আরামবাগ, মেথরপাড়া, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে, বাতেন খাঁসহ অনেক জায়গায় হাঁটুপানি জমে আছে।
১ ঘণ্টা আগেপুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এই কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। যে কেউ ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জিডি করতে পারবে। আগে শুধু হারানো জিডি করা যেত।
২ ঘণ্টা আগে