Ajker Patrika

রাঙামাটিতে ৮ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাঙামাটি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ০৩
Thumbnail image

রাঙামাটিতে আদিবাসী নারী ধর্ষণের ঘটনায় বিচারসহ আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ আদিবাসী কোটা পুনর্বহাল, পাহাড়ে ভূমি সমস্যা নিরসন, সবার গ্রহণযোগ্য নিষ্ঠাবান শিক্ষিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে শক্তিশালী তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন, আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রামকে পানিশমেন্ট জোন হিসেবে ব্যবহার না করা, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া।

আজ সকালে রাঙামাটি জিমনেসিয়াম মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে তারা সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার পাহাড়ে আদিবাসী নারী ধর্ষণ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, যেখানে সারা দেশের মানুষ ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি জেলার বন্যাদুর্গতদের জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করছে, সেখানে পার্বত্য তিন জেলায় একযোগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

বক্তারা আরও বলেন, সারা দেশ যে নীতিতে পরিচালিত হয়, তার ব্যতিক্রম পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে এখনো যুগ যুগ ধরে সেনাশাসন জারি রাখা আছে। এর মাঝেও এখানে প্রতিনিয়ত খুন, ধর্ষণসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংগঠিত হয়। সম্প্রতি দেশে সরকার পরিবর্তন হলেও পাহাড়ে বৈষম্য কমেনি।

১ শতাংশ আদিবাসী কোটা প্রত্যাখ্যান করে বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে আদিবাসীদের ১ শতাংশ কোটা দিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। 
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে উল্টো ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে ছাত্রসমাজ ঘরে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত খারাপ কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক বদলি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে খারাপ এলাকা হিসেবে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না।

রাঙামাটিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকাশিক্ষার্থী নিলা চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কিকো দেওয়ান, সংগীতশিল্পী বিজ্ঞান্তর তালুকদার, উক্রাচিং, মারমা, রিপুল চাকমা, সৃটন চাকমা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিকাশ চাকমা।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্নীতি, সংঘাত, শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একযোগে গ্রাফিতি অঙ্কনসহ আন্দোলন করে আসছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত