Ajker Patrika

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহতদের মধ্যে দুজন নোয়াখালীর 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৩: ৫০
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহতদের মধ্যে দুজন নোয়াখালীর 

সৌদি আরবের আসির অঞ্চলের আবহা জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শাহেদুল ইসলাম (২৬) ও হেলাল উদ্দিন (৩৪) নামের নোয়াখালীর দুই যুবক রয়েছেন।

শাহেদুল ইসলামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম শরীয়ত উল্যা। আর হেলাল উদ্দিনের বাড়ি চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামনারায়ণপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম হুমায়ন কবির।

গত সোমবার দিবাগত রাতে ওমরাহের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের মক্কায় যাওয়ার পথে আবহা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ জন বাসযাত্রী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

নিহত শাহেদুল ইসলামের চাচা জয়নাল আবেদিন বাবুল বলেন, জীবিকার সন্ধানে গত রমজানের মাঝামাঝি সময় সৌদি আরবে যান শাহেদুল। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শাহেদুল ছিলেন সবার বড়। সৌদি আরবে গিয়ে সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। এর মধ্যে আর বাড়িতে আসা হয়নি তাঁর। গত সোমবার রাতে ওমরাহ করতে পবিত্র মক্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শাহেদুল। 

নিহত হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই মোহাম্মদ রিপন হোসেন বলেন, গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের আবহা জেলায় যান হেলাল উদ্দিন। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি নেন তিনি। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন হেলাল। তাঁর তিন বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। নিজ কর্মস্থল থেকে অন্য চার সহকর্মীকে নিয়ে গত সোমবার দিবাগত রাতে মক্কার উদ্দেশে বাসে যাত্রা করেন তিনি। তাঁর কর্মস্থল থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতাল নেওয়ার পর মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত