Ajker Patrika

‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উল্লাস অবদমিত করতে নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২২, ২২: ১৬
‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উল্লাস অবদমিত করতে নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে দুর্ঘটনা আসন্ন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র দেশে সৃষ্ট আনন্দ উল্লাসকে অবদমিত করতে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দেশের ভাবমূর্তি ও রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার পর ও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করার পর দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। সেটির ধারাবাহিকতায় দেশবাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় কোনো নাশকতা আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো কোনো টেলিভিশন এবং পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়েছে, এই কনটেইনার ডিপো একজন আওয়ামী লীগ নেতার। আমি খোঁজখবর নিলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানের এই ডিপোতে মালিকানা মাত্র ৫ শতাংশ। ৯৫ শতাংশের কথা না বলে ৫ শতাংশের মালিককে এটির মালিক দেখিয়ে যাঁরা কাজটি করেছেন, এটিকে আওয়ামী লীগ নেতার ডিপো বানানোর যাঁরা চেষ্টা করেছেন, সেই সাংবাদিকতা সঠিক হয়নি, অপসাংবাদিকতা হয়েছে।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী প্রশাসন ও আমাদের দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যা কিছু করা প্রয়োজন সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে। সেই নির্দেশ মোতাবেক সিভিল প্রশাসন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলো সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দলের সমস্ত পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহত এবং নিহতদের উদ্ধার করা থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা শুরু থেকে ছিল, এখনো আছে। এ জন্য যাঁদের রক্ত প্রয়োজন তাঁদের রক্তের কোনো অভাব হয়নি। যে বডি ফ্লুইড দরকার সেটিরও কোনো অভাব হয়নি। এত বড় একটা ক্যাজুয়ালটিতে এগুলো অভাব হতে পারত। কিন্তু সবাই এগিয়ে এসেছে।’

এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত