কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
গত চার দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের উপকূলের চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪-৫ ফুটের বেশি জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় মেঘনা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার চরকালকিনি, চরমার্টিন, চরলরেন্স, চরফলকন, পাটারিরহাট, চরজাঙ্গালিয়া, চরকাদিরা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জোয়ার ও বৃষ্টির পানি বেড়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি, কাঁচা-পাকা ও নিচু ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়ে ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অতিরিক্ত পানিতে আউশ ধান, আমনের বীজতলা ও পানের বরজ নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহস্থ ও চাষিরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেঘনা নদীর মতিরহাট থেকে রামগতি পর্যন্ত প্রায় ৩১ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রতিবছর জোয়ারের পানি ঢুকে কমলনগরের সবকটি ইউনিয়ন তলিয়ে যায়। এর জন্য লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনার কারণে কাজের ধীরগতি হওয়ায় বর্তমানে অরক্ষিত রয়েছে রামগতি-কমলনগর।
২০২৪ সালের আগস্টের মাঝামাঝি ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের সঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমলনগরের বিস্তৃর্ণ জনপদ। তখনকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমলনগরের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ। সেই ক্ষত মুছতে না মুছতে আবার জনমনে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছরের বন্যা মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে খাল খনন শুরু হলেও সেখানে কোনো অগ্রগতি হয়নি। অবৈধ দখলের কারণে সব খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
চরকালকিনি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আবুল বাশার বলেন, ‘জোয়ারের পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে আমাদের ইউনিয়নের সব এলাকা পানির নিচে। বর্তমানে সাধারণ মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে মানুষেরও খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।’
কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউছুফ আলী মিঠু বলেন, বেড়িবাঁধের কাজের ধীরগতির কারণে বর্ষা মৌসুমে লোকালয়ে অতি দ্রুত পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং কমলনগরের সবকটি খাল অবৈধ দখলে। দীর্ঘদিন থেকে দখল ও খাল খনন না হওয়ায় এখন খালগুলো মৃতপ্রায়। যার কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এ ছাড়া অপরিকল্পিত বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত দেখা দিতে পারে বলে তিনি দাবি করছেন।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাহাত উজ জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চরকাদিরা ইউনিয়নের কিছু এলাকার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। বন্যার আশঙ্কায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করছি।’
গত চার দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের উপকূলের চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪-৫ ফুটের বেশি জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় মেঘনা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার চরকালকিনি, চরমার্টিন, চরলরেন্স, চরফলকন, পাটারিরহাট, চরজাঙ্গালিয়া, চরকাদিরা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জোয়ার ও বৃষ্টির পানি বেড়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি, কাঁচা-পাকা ও নিচু ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়ে ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অতিরিক্ত পানিতে আউশ ধান, আমনের বীজতলা ও পানের বরজ নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহস্থ ও চাষিরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেঘনা নদীর মতিরহাট থেকে রামগতি পর্যন্ত প্রায় ৩১ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রতিবছর জোয়ারের পানি ঢুকে কমলনগরের সবকটি ইউনিয়ন তলিয়ে যায়। এর জন্য লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনার কারণে কাজের ধীরগতি হওয়ায় বর্তমানে অরক্ষিত রয়েছে রামগতি-কমলনগর।
২০২৪ সালের আগস্টের মাঝামাঝি ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের সঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমলনগরের বিস্তৃর্ণ জনপদ। তখনকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমলনগরের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ। সেই ক্ষত মুছতে না মুছতে আবার জনমনে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছরের বন্যা মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে খাল খনন শুরু হলেও সেখানে কোনো অগ্রগতি হয়নি। অবৈধ দখলের কারণে সব খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
চরকালকিনি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আবুল বাশার বলেন, ‘জোয়ারের পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে আমাদের ইউনিয়নের সব এলাকা পানির নিচে। বর্তমানে সাধারণ মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে মানুষেরও খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।’
কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউছুফ আলী মিঠু বলেন, বেড়িবাঁধের কাজের ধীরগতির কারণে বর্ষা মৌসুমে লোকালয়ে অতি দ্রুত পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং কমলনগরের সবকটি খাল অবৈধ দখলে। দীর্ঘদিন থেকে দখল ও খাল খনন না হওয়ায় এখন খালগুলো মৃতপ্রায়। যার কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এ ছাড়া অপরিকল্পিত বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত দেখা দিতে পারে বলে তিনি দাবি করছেন।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাহাত উজ জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চরকাদিরা ইউনিয়নের কিছু এলাকার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। বন্যার আশঙ্কায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করছি।’
দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরোনা ত্রিপুরার অফিস কক্ষ থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকার বান্ডিল জব্দ করা হয়েছে। আজ বুধবার নবনিযুক্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর অফিস কক্ষ পরিদর্শনের সময় এই টাকার সন্ধান পাওয়া যায়।
৪৩ মিনিট আগেবান্দরবানে কয়েক দিনের টানা প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। যাঁরা পাহাড়ের পাদদেশ, চূড়া, নদীর তীরসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন, তাঁদের সতর্ক থাকাসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার দুপুরে বরিশাল-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ (ব্লকেড) কর্মসূচিতে এই লাঠিপেটা করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন। হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীরা হলেন শাহবাজ আশরাফি, আয়নান চৌধুরী, সচেতন, অনুপম, বদর, মহিবুল্লাহ, আদিত্য কুণ্ডু, রাকিব মিয়া, মেহেদি হাসান, মাহবুব ও নয়ন।
১ ঘণ্টা আগেমিরসরাইয়ে মেলখুম ট্রেইলে ঘুরতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় মেলখুম ট্রেইল থেকে ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
১ ঘণ্টা আগে