রাশেদুজ্জামান অলি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলার বাজারে সারা বছরই মেলে পাহাড়ির ফল ও শাকসবজি। মূলত সংসারের জোগান দিতে বন-জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা শাকসবজি বাজারে আনেন নারীরা। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত প্রাকৃতিক এই সবজি কিনতে সকাল-বিকেল বাজারে আসেন ক্রেতারা।
পানছড়ির চেঙ্গী, বড়কলক, পুজগং, বাবুড়াপাড়া, কুড়াদিয়া, দাংগা বাজারে প্রতিদিন বুনো সবজি কিনতে পাওয়া যায়। এসব বাজারে বিক্রেতাদের বেশির ভাগই নারী। অল্প হলেও সকাল-বিকেলে বিক্রি করতে আনেন তাঁরা। কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি, ফলমূল কিনে এনে বিক্রি করছেন।
বুনো সবজির মধ্যে আছে বাঁশের কুড়ল, তারাগাছ, কচুশাক, কচুর লতি, কচুর ফুল, কাঁচা-পাকা পেঁপে, থানকুনি পাতা, কলার মোচা, জুমের কচু, মারফা (শসাজাতীয়), জুমকুমড়া, বরবটি উল্লেখযোগ্য।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণাকর চাকমা জানান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সনাতন পদ্ধতিতে জুমখেতে ধান, হলুদ, আদা, মারফা, কচু, লাউ-কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে থাকে। এ ছাড়া বুনো কলামোচা, ঢেঁকিশাক, তারাগাছ, বাঁশকড়ুল, থানকুনি পাতা, লতাপাতাসহ বিভিন্ন বনজ সবজি সংগ্রহ করেন। এগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের পছন্দের খাবার। তাই এসব সবজির চাহিদাও বেশি।
পুজগাং বাজারে জুমের সবজি ক্রেতা নীল রঞ্জন চাকমা, মীনাক্ষী চাকমা, সুপিলা চাকমা জানান, এখানে বনের ভেজালমুক্ত শাকসবজি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন প্রয়োজনমতো কিনে নিয়ে যান তাঁরা।
পাহাড়ি সবজি বিক্রেতা অনুরূপা ত্রিপুরা বলেন, ‘পাহাড়ের জঙ্গলে, গোনায় (দুই পাহাড়ের মাঝঅংশ), ছড়ার পাড়ে, সবজি সংগ্রহ করে বিক্রি করা খুবই কষ্টের। পাহাড়ের পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাড়-জঙ্গল থেকে সারা দিন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি কুড়িয়ে এনে বিকেলে এ বাজারে বিক্রি করি।’
সবজি বিক্রি করে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়েই পরিবারের খরচে কিছুটা জোগান দেন বলে জানান অনুরূপা।
পুজগাং উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তিময় চাকমা বলেন, পানছড়ি বাজারের ভেজালমুক্ত শাকসবজি কিনতে প্রতিদিন পাহাড়ি-বাঙালি ভিড় করেন।
চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কৃষিকাজ ছাড়া কোনো কাজের উৎস নাই। পাহাড়ি মেয়েরা সব কাজেই পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জুমেচাষ করা ও বনজঙ্গল থেকে সংগৃহীত টাটকা সবজি বিক্রি করে পরিবারে জোগান দেন।’
খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলার বাজারে সারা বছরই মেলে পাহাড়ির ফল ও শাকসবজি। মূলত সংসারের জোগান দিতে বন-জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা শাকসবজি বাজারে আনেন নারীরা। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত প্রাকৃতিক এই সবজি কিনতে সকাল-বিকেল বাজারে আসেন ক্রেতারা।
পানছড়ির চেঙ্গী, বড়কলক, পুজগং, বাবুড়াপাড়া, কুড়াদিয়া, দাংগা বাজারে প্রতিদিন বুনো সবজি কিনতে পাওয়া যায়। এসব বাজারে বিক্রেতাদের বেশির ভাগই নারী। অল্প হলেও সকাল-বিকেলে বিক্রি করতে আনেন তাঁরা। কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি, ফলমূল কিনে এনে বিক্রি করছেন।
বুনো সবজির মধ্যে আছে বাঁশের কুড়ল, তারাগাছ, কচুশাক, কচুর লতি, কচুর ফুল, কাঁচা-পাকা পেঁপে, থানকুনি পাতা, কলার মোচা, জুমের কচু, মারফা (শসাজাতীয়), জুমকুমড়া, বরবটি উল্লেখযোগ্য।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণাকর চাকমা জানান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সনাতন পদ্ধতিতে জুমখেতে ধান, হলুদ, আদা, মারফা, কচু, লাউ-কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে থাকে। এ ছাড়া বুনো কলামোচা, ঢেঁকিশাক, তারাগাছ, বাঁশকড়ুল, থানকুনি পাতা, লতাপাতাসহ বিভিন্ন বনজ সবজি সংগ্রহ করেন। এগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের পছন্দের খাবার। তাই এসব সবজির চাহিদাও বেশি।
পুজগাং বাজারে জুমের সবজি ক্রেতা নীল রঞ্জন চাকমা, মীনাক্ষী চাকমা, সুপিলা চাকমা জানান, এখানে বনের ভেজালমুক্ত শাকসবজি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন প্রয়োজনমতো কিনে নিয়ে যান তাঁরা।
পাহাড়ি সবজি বিক্রেতা অনুরূপা ত্রিপুরা বলেন, ‘পাহাড়ের জঙ্গলে, গোনায় (দুই পাহাড়ের মাঝঅংশ), ছড়ার পাড়ে, সবজি সংগ্রহ করে বিক্রি করা খুবই কষ্টের। পাহাড়ের পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাড়-জঙ্গল থেকে সারা দিন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি কুড়িয়ে এনে বিকেলে এ বাজারে বিক্রি করি।’
সবজি বিক্রি করে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়েই পরিবারের খরচে কিছুটা জোগান দেন বলে জানান অনুরূপা।
পুজগাং উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্তিময় চাকমা বলেন, পানছড়ি বাজারের ভেজালমুক্ত শাকসবজি কিনতে প্রতিদিন পাহাড়ি-বাঙালি ভিড় করেন।
চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কৃষিকাজ ছাড়া কোনো কাজের উৎস নাই। পাহাড়ি মেয়েরা সব কাজেই পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জুমেচাষ করা ও বনজঙ্গল থেকে সংগৃহীত টাটকা সবজি বিক্রি করে পরিবারে জোগান দেন।’
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলা
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে উত্তরের নদ-নদীর পানি বেড়েছে; বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রংপুর বিভাগের অন্তত চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শহরের অর্ধেকের বেশি তরুণ মানসিকভাবে ভালো নেই। বিষণ্নতায় ভুগছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় সারের নতুন দোকান উদ্বোধনকালে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে