ইসলামী ব্যাংকে লুটপাট
ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
ব্যাংকটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে শুধু এস আলম যে অর্থ লুট করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ১৩ বছর সময় লাগবে। কারণ, ৪৫ হাজার কোটি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে যোগ্য জামানত রয়েছে মাত্র ৫৫৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে এস আলম স্বেচ্ছায় ঋণের টাকা ফেরত না দিলে ব্যাংকের পক্ষে আইনগতভাবে এই ঋণ আদায় সহজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মালিকানা বা আধিপত্য শুরুর আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় ঋণ ছিল এস আলম গ্রুপের। এরপর ২০১৭ সালে মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই শাখার সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা গ্রুপটির লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংকটির একটি শাখা এত বড় লুটপাটের সুযোগ হয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের এযাবৎকালের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জ শাখার বিতরণ করা এই ঋণ এখন ব্যাংকটির বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এস আলম গ্রুপকে দেওয়া এই ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
শাখাটির অনিয়ম উল্লেখ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিম মন্তব্য করেছে, ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর কার্যত কোনো ব্যাংকিং হয়নি; যা হয়েছে তা স্বাভাবিক ব্যাংকিং নিয়মাচারের সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্যাংকটির শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন অতি উৎসাহী, অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে এস আলমের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিনিয়োগের নামে ব্যাংকের বিপুল অর্থ আত্মসাতে কুশীলবের ভূমিকায় নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে এস আলম গ্রুপের ১১ হাজার শতক জমি, ১৫ হাজার বর্গফুট ফ্লোর স্পেস, স্থাপনা, মেশিনারিজ, নগদ ও এফডিআর মিলে মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়ক জামানত রয়েছে। এর মধ্যে এমনও সম্পত্তি রয়েছে, যা এখনো নামজারিও হয়নি এস আলমের নামে কিংবা ইসলামী ব্যাংকের অনুকূলে আইজিপিএ (ইরিভোকেবল জেনারেল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) সম্পাদন হয়নি। নামজারি না হওয়া সম্পত্তি ব্যাংকের পক্ষে বিক্রি তো দূরের কথা, বন্ধক রাখারও সুযোগ নেই। ফলে ঋণের টাকার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকটিকে তাদের মুনাফা থেকে প্রভিশন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স, ডেলটা অয়েল রিফাইনারি, মেসার্স সাদিয়া ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, ওজি ট্রাভেলস, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিলস, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস, মেসার্স আদিল করপোরেশন, ইনফিনিয়া সিনথেটিক ফাইবার, জেনেসিস টেক্সটাইল অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড অ্যাপারেলস, চেমন ইস্পাত, এস আলম ক্লোড রোল্ড স্টিল, সাভোলা অয়েল ও ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপসের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, সহোদর ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, আব্দুস সামাদ, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস ও ভাগনে মোস্তান বিল্লাহ আদিলসহ আত্মীয়স্বজন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নামে-বেনামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
খাতুনগঞ্জের সঞ্চিতি ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম গ্রুপকে দেওয়া ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংকটির শুধু খাতুনগঞ্জ শাখাতেই প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতুনগঞ্জ শাখার ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের বিপরীতে ৪৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকটিতে মোট ৭৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। অথচ ব্যাংক সংরক্ষণ করেছে মাত্র ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আমানত রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শাখাটির মাধ্যমে দায় সৃষ্টি হয়েছে ৫৩ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে, শাখাটির প্রকৃত খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর যে লুটপাট হয়েছে, তা বিশ্বের ব্যাংক লুটপাটকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু খাতুনগঞ্জ শাখা কিংবা ইসলামী ব্যাংক নয়, দেশের বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতে ঘুরে দাঁড় করাতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে ইসলামী ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাখাটির সার্বিক বিষয়ে খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক এসভিপি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক জনগণের আস্থার প্রতীক। গ্রাহকের আস্থা ও আমানতের সুরক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৭-৮ বছর ব্যাংকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ছিল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তত্ত্বাবধানে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামি ব্যাংকিং ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত।’
আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
ব্যাংকটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে শুধু এস আলম যে অর্থ লুট করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ১৩ বছর সময় লাগবে। কারণ, ৪৫ হাজার কোটি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে যোগ্য জামানত রয়েছে মাত্র ৫৫৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে এস আলম স্বেচ্ছায় ঋণের টাকা ফেরত না দিলে ব্যাংকের পক্ষে আইনগতভাবে এই ঋণ আদায় সহজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মালিকানা বা আধিপত্য শুরুর আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় ঋণ ছিল এস আলম গ্রুপের। এরপর ২০১৭ সালে মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই শাখার সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা গ্রুপটির লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংকটির একটি শাখা এত বড় লুটপাটের সুযোগ হয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের এযাবৎকালের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জ শাখার বিতরণ করা এই ঋণ এখন ব্যাংকটির বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এস আলম গ্রুপকে দেওয়া এই ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
শাখাটির অনিয়ম উল্লেখ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিম মন্তব্য করেছে, ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর কার্যত কোনো ব্যাংকিং হয়নি; যা হয়েছে তা স্বাভাবিক ব্যাংকিং নিয়মাচারের সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্যাংকটির শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন অতি উৎসাহী, অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে এস আলমের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিনিয়োগের নামে ব্যাংকের বিপুল অর্থ আত্মসাতে কুশীলবের ভূমিকায় নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে এস আলম গ্রুপের ১১ হাজার শতক জমি, ১৫ হাজার বর্গফুট ফ্লোর স্পেস, স্থাপনা, মেশিনারিজ, নগদ ও এফডিআর মিলে মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়ক জামানত রয়েছে। এর মধ্যে এমনও সম্পত্তি রয়েছে, যা এখনো নামজারিও হয়নি এস আলমের নামে কিংবা ইসলামী ব্যাংকের অনুকূলে আইজিপিএ (ইরিভোকেবল জেনারেল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) সম্পাদন হয়নি। নামজারি না হওয়া সম্পত্তি ব্যাংকের পক্ষে বিক্রি তো দূরের কথা, বন্ধক রাখারও সুযোগ নেই। ফলে ঋণের টাকার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকটিকে তাদের মুনাফা থেকে প্রভিশন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স, ডেলটা অয়েল রিফাইনারি, মেসার্স সাদিয়া ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, ওজি ট্রাভেলস, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিলস, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস, মেসার্স আদিল করপোরেশন, ইনফিনিয়া সিনথেটিক ফাইবার, জেনেসিস টেক্সটাইল অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড অ্যাপারেলস, চেমন ইস্পাত, এস আলম ক্লোড রোল্ড স্টিল, সাভোলা অয়েল ও ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপসের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, সহোদর ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, আব্দুস সামাদ, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস ও ভাগনে মোস্তান বিল্লাহ আদিলসহ আত্মীয়স্বজন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নামে-বেনামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
খাতুনগঞ্জের সঞ্চিতি ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম গ্রুপকে দেওয়া ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংকটির শুধু খাতুনগঞ্জ শাখাতেই প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতুনগঞ্জ শাখার ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের বিপরীতে ৪৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকটিতে মোট ৭৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। অথচ ব্যাংক সংরক্ষণ করেছে মাত্র ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আমানত রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শাখাটির মাধ্যমে দায় সৃষ্টি হয়েছে ৫৩ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে, শাখাটির প্রকৃত খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর যে লুটপাট হয়েছে, তা বিশ্বের ব্যাংক লুটপাটকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু খাতুনগঞ্জ শাখা কিংবা ইসলামী ব্যাংক নয়, দেশের বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতে ঘুরে দাঁড় করাতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে ইসলামী ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাখাটির সার্বিক বিষয়ে খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক এসভিপি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক জনগণের আস্থার প্রতীক। গ্রাহকের আস্থা ও আমানতের সুরক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৭-৮ বছর ব্যাংকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ছিল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তত্ত্বাবধানে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামি ব্যাংকিং ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত।’
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগী গ্রামে ‘ঐকতান এগ্রো’ নামের খামারে দেখা যায়, মালিক মো. ওসমান গনী নিজেই গরুগুলোকে কাঁচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে চরাঞ্চল থেকে গরু কিনে এনে দেশীয় উপায়ে মোটাতাজাকরণ করে আসছেন। খামারে বর্তমানে রয়েছে ২৬টি গরু, এর মধ্যে ২২টি মাংসের ও ৪টি দুধের গরু...
৩১ মিনিট আগেআসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পিরোজপুরে প্রস্তুত প্রায় ৪৭ হাজার কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরুটি হলো ২৫ মণ ওজনের ‘বীর বাহাদুর’। সদর উপজেলার কলাখালি গ্রামের সোহেল সরদারের ‘সরদার অ্যাগ্রো ফার্মে’ লালন-পালন করা হয়েছে ব্যতিক্রমী গরুটি। কুচকুচে কালো রঙের গরুটির উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট এবং দৈর্ঘ্য আট...
৩৬ মিনিট আগেএবারের কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশুর মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার ৩৯৯টি গরু, ৩১৬টি মহিষ, ২৩ হাজার ২৭টি ছাগল ও ৩ হাজার ২৯৪টি ভেড়া। উপজেলা পর্যায়ে চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৫০০টি পশু।
৩৬ মিনিট আগেআসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১২ হাজার ৬১৩ টি। তবে খামারিরা প্রস্তুত করেছেন ১৫ হাজার ৭৯৮টি পশু—চাহিদার চেয়ে ৩ হাজার ১৮৫টি বেশি। যার অধিকাংশই দেশি জাতের।
৪০ মিনিট আগে