ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
ব্যাংকটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে শুধু এস আলম যে অর্থ লুট করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ১৩ বছর সময় লাগবে। কারণ, ৪৫ হাজার কোটি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে যোগ্য জামানত রয়েছে মাত্র ৫৫৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে এস আলম স্বেচ্ছায় ঋণের টাকা ফেরত না দিলে ব্যাংকের পক্ষে আইনগতভাবে এই ঋণ আদায় সহজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মালিকানা বা আধিপত্য শুরুর আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় ঋণ ছিল এস আলম গ্রুপের। এরপর ২০১৭ সালে মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই শাখার সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা গ্রুপটির লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংকটির একটি শাখা এত বড় লুটপাটের সুযোগ হয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের এযাবৎকালের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জ শাখার বিতরণ করা এই ঋণ এখন ব্যাংকটির বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এস আলম গ্রুপকে দেওয়া এই ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
শাখাটির অনিয়ম উল্লেখ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিম মন্তব্য করেছে, ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর কার্যত কোনো ব্যাংকিং হয়নি; যা হয়েছে তা স্বাভাবিক ব্যাংকিং নিয়মাচারের সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্যাংকটির শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন অতি উৎসাহী, অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে এস আলমের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিনিয়োগের নামে ব্যাংকের বিপুল অর্থ আত্মসাতে কুশীলবের ভূমিকায় নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে এস আলম গ্রুপের ১১ হাজার শতক জমি, ১৫ হাজার বর্গফুট ফ্লোর স্পেস, স্থাপনা, মেশিনারিজ, নগদ ও এফডিআর মিলে মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়ক জামানত রয়েছে। এর মধ্যে এমনও সম্পত্তি রয়েছে, যা এখনো নামজারিও হয়নি এস আলমের নামে কিংবা ইসলামী ব্যাংকের অনুকূলে আইজিপিএ (ইরিভোকেবল জেনারেল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) সম্পাদন হয়নি। নামজারি না হওয়া সম্পত্তি ব্যাংকের পক্ষে বিক্রি তো দূরের কথা, বন্ধক রাখারও সুযোগ নেই। ফলে ঋণের টাকার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকটিকে তাদের মুনাফা থেকে প্রভিশন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স, ডেলটা অয়েল রিফাইনারি, মেসার্স সাদিয়া ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, ওজি ট্রাভেলস, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিলস, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস, মেসার্স আদিল করপোরেশন, ইনফিনিয়া সিনথেটিক ফাইবার, জেনেসিস টেক্সটাইল অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড অ্যাপারেলস, চেমন ইস্পাত, এস আলম ক্লোড রোল্ড স্টিল, সাভোলা অয়েল ও ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপসের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, সহোদর ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, আব্দুস সামাদ, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস ও ভাগনে মোস্তান বিল্লাহ আদিলসহ আত্মীয়স্বজন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নামে-বেনামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
খাতুনগঞ্জের সঞ্চিতি ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম গ্রুপকে দেওয়া ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংকটির শুধু খাতুনগঞ্জ শাখাতেই প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতুনগঞ্জ শাখার ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের বিপরীতে ৪৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকটিতে মোট ৭৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। অথচ ব্যাংক সংরক্ষণ করেছে মাত্র ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আমানত রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শাখাটির মাধ্যমে দায় সৃষ্টি হয়েছে ৫৩ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে, শাখাটির প্রকৃত খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর যে লুটপাট হয়েছে, তা বিশ্বের ব্যাংক লুটপাটকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু খাতুনগঞ্জ শাখা কিংবা ইসলামী ব্যাংক নয়, দেশের বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতে ঘুরে দাঁড় করাতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে ইসলামী ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাখাটির সার্বিক বিষয়ে খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক এসভিপি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক জনগণের আস্থার প্রতীক। গ্রাহকের আস্থা ও আমানতের সুরক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৭-৮ বছর ব্যাংকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ছিল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তত্ত্বাবধানে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামি ব্যাংকিং ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত।’

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
ব্যাংকটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে শুধু এস আলম যে অর্থ লুট করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ১৩ বছর সময় লাগবে। কারণ, ৪৫ হাজার কোটি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে যোগ্য জামানত রয়েছে মাত্র ৫৫৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে এস আলম স্বেচ্ছায় ঋণের টাকা ফেরত না দিলে ব্যাংকের পক্ষে আইনগতভাবে এই ঋণ আদায় সহজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মালিকানা বা আধিপত্য শুরুর আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় ঋণ ছিল এস আলম গ্রুপের। এরপর ২০১৭ সালে মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই শাখার সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা গ্রুপটির লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংকটির একটি শাখা এত বড় লুটপাটের সুযোগ হয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের এযাবৎকালের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জ শাখার বিতরণ করা এই ঋণ এখন ব্যাংকটির বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এস আলম গ্রুপকে দেওয়া এই ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
শাখাটির অনিয়ম উল্লেখ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিম মন্তব্য করেছে, ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর কার্যত কোনো ব্যাংকিং হয়নি; যা হয়েছে তা স্বাভাবিক ব্যাংকিং নিয়মাচারের সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্যাংকটির শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন অতি উৎসাহী, অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে এস আলমের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিনিয়োগের নামে ব্যাংকের বিপুল অর্থ আত্মসাতে কুশীলবের ভূমিকায় নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে এস আলম গ্রুপের ১১ হাজার শতক জমি, ১৫ হাজার বর্গফুট ফ্লোর স্পেস, স্থাপনা, মেশিনারিজ, নগদ ও এফডিআর মিলে মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়ক জামানত রয়েছে। এর মধ্যে এমনও সম্পত্তি রয়েছে, যা এখনো নামজারিও হয়নি এস আলমের নামে কিংবা ইসলামী ব্যাংকের অনুকূলে আইজিপিএ (ইরিভোকেবল জেনারেল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) সম্পাদন হয়নি। নামজারি না হওয়া সম্পত্তি ব্যাংকের পক্ষে বিক্রি তো দূরের কথা, বন্ধক রাখারও সুযোগ নেই। ফলে ঋণের টাকার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকটিকে তাদের মুনাফা থেকে প্রভিশন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স, ডেলটা অয়েল রিফাইনারি, মেসার্স সাদিয়া ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, ওজি ট্রাভেলস, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিলস, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস, মেসার্স আদিল করপোরেশন, ইনফিনিয়া সিনথেটিক ফাইবার, জেনেসিস টেক্সটাইল অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড অ্যাপারেলস, চেমন ইস্পাত, এস আলম ক্লোড রোল্ড স্টিল, সাভোলা অয়েল ও ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপসের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, সহোদর ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, আব্দুস সামাদ, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস ও ভাগনে মোস্তান বিল্লাহ আদিলসহ আত্মীয়স্বজন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নামে-বেনামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
খাতুনগঞ্জের সঞ্চিতি ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম গ্রুপকে দেওয়া ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংকটির শুধু খাতুনগঞ্জ শাখাতেই প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতুনগঞ্জ শাখার ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের বিপরীতে ৪৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকটিতে মোট ৭৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। অথচ ব্যাংক সংরক্ষণ করেছে মাত্র ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আমানত রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শাখাটির মাধ্যমে দায় সৃষ্টি হয়েছে ৫৩ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে, শাখাটির প্রকৃত খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর যে লুটপাট হয়েছে, তা বিশ্বের ব্যাংক লুটপাটকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু খাতুনগঞ্জ শাখা কিংবা ইসলামী ব্যাংক নয়, দেশের বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতে ঘুরে দাঁড় করাতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে ইসলামী ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাখাটির সার্বিক বিষয়ে খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক এসভিপি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক জনগণের আস্থার প্রতীক। গ্রাহকের আস্থা ও আমানতের সুরক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৭-৮ বছর ব্যাংকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ছিল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তত্ত্বাবধানে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামি ব্যাংকিং ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত।’
ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
ব্যাংকটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে শুধু এস আলম যে অর্থ লুট করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ১৩ বছর সময় লাগবে। কারণ, ৪৫ হাজার কোটি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে যোগ্য জামানত রয়েছে মাত্র ৫৫৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে এস আলম স্বেচ্ছায় ঋণের টাকা ফেরত না দিলে ব্যাংকের পক্ষে আইনগতভাবে এই ঋণ আদায় সহজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মালিকানা বা আধিপত্য শুরুর আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় ঋণ ছিল এস আলম গ্রুপের। এরপর ২০১৭ সালে মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই শাখার সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা গ্রুপটির লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংকটির একটি শাখা এত বড় লুটপাটের সুযোগ হয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের এযাবৎকালের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জ শাখার বিতরণ করা এই ঋণ এখন ব্যাংকটির বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এস আলম গ্রুপকে দেওয়া এই ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
শাখাটির অনিয়ম উল্লেখ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিম মন্তব্য করেছে, ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর কার্যত কোনো ব্যাংকিং হয়নি; যা হয়েছে তা স্বাভাবিক ব্যাংকিং নিয়মাচারের সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্যাংকটির শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন অতি উৎসাহী, অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে এস আলমের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিনিয়োগের নামে ব্যাংকের বিপুল অর্থ আত্মসাতে কুশীলবের ভূমিকায় নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে এস আলম গ্রুপের ১১ হাজার শতক জমি, ১৫ হাজার বর্গফুট ফ্লোর স্পেস, স্থাপনা, মেশিনারিজ, নগদ ও এফডিআর মিলে মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়ক জামানত রয়েছে। এর মধ্যে এমনও সম্পত্তি রয়েছে, যা এখনো নামজারিও হয়নি এস আলমের নামে কিংবা ইসলামী ব্যাংকের অনুকূলে আইজিপিএ (ইরিভোকেবল জেনারেল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) সম্পাদন হয়নি। নামজারি না হওয়া সম্পত্তি ব্যাংকের পক্ষে বিক্রি তো দূরের কথা, বন্ধক রাখারও সুযোগ নেই। ফলে ঋণের টাকার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকটিকে তাদের মুনাফা থেকে প্রভিশন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স, ডেলটা অয়েল রিফাইনারি, মেসার্স সাদিয়া ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, ওজি ট্রাভেলস, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিলস, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস, মেসার্স আদিল করপোরেশন, ইনফিনিয়া সিনথেটিক ফাইবার, জেনেসিস টেক্সটাইল অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড অ্যাপারেলস, চেমন ইস্পাত, এস আলম ক্লোড রোল্ড স্টিল, সাভোলা অয়েল ও ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপসের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, সহোদর ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, আব্দুস সামাদ, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস ও ভাগনে মোস্তান বিল্লাহ আদিলসহ আত্মীয়স্বজন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নামে-বেনামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
খাতুনগঞ্জের সঞ্চিতি ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম গ্রুপকে দেওয়া ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংকটির শুধু খাতুনগঞ্জ শাখাতেই প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতুনগঞ্জ শাখার ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের বিপরীতে ৪৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকটিতে মোট ৭৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। অথচ ব্যাংক সংরক্ষণ করেছে মাত্র ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আমানত রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শাখাটির মাধ্যমে দায় সৃষ্টি হয়েছে ৫৩ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে, শাখাটির প্রকৃত খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর যে লুটপাট হয়েছে, তা বিশ্বের ব্যাংক লুটপাটকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু খাতুনগঞ্জ শাখা কিংবা ইসলামী ব্যাংক নয়, দেশের বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতে ঘুরে দাঁড় করাতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে ইসলামী ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাখাটির সার্বিক বিষয়ে খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক এসভিপি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক জনগণের আস্থার প্রতীক। গ্রাহকের আস্থা ও আমানতের সুরক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৭-৮ বছর ব্যাংকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ছিল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তত্ত্বাবধানে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামি ব্যাংকিং ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত।’

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
ব্যাংকটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে শুধু এস আলম যে অর্থ লুট করেছে, তা কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে ১৩ বছর সময় লাগবে। কারণ, ৪৫ হাজার কোটি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে যোগ্য জামানত রয়েছে মাত্র ৫৫৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ফলে এস আলম স্বেচ্ছায় ঋণের টাকা ফেরত না দিলে ব্যাংকের পক্ষে আইনগতভাবে এই ঋণ আদায় সহজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মালিকানা বা আধিপত্য শুরুর আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় ঋণ ছিল এস আলম গ্রুপের। এরপর ২০১৭ সালে মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই শাখার সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা গ্রুপটির লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব লুটপাটে অংশ নিয়েছেন। ফলে ব্যাংকটির একটি শাখা এত বড় লুটপাটের সুযোগ হয়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের এযাবৎকালের সব রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জ শাখার বিতরণ করা এই ঋণ এখন ব্যাংকটির বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এস আলম গ্রুপকে দেওয়া এই ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
শাখাটির অনিয়ম উল্লেখ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিম মন্তব্য করেছে, ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর কার্যত কোনো ব্যাংকিং হয়নি; যা হয়েছে তা স্বাভাবিক ব্যাংকিং নিয়মাচারের সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্যাংকটির শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন অতি উৎসাহী, অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে এস আলমের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিনিয়োগের নামে ব্যাংকের বিপুল অর্থ আত্মসাতে কুশীলবের ভূমিকায় নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটির কাছে এস আলম গ্রুপের ১১ হাজার শতক জমি, ১৫ হাজার বর্গফুট ফ্লোর স্পেস, স্থাপনা, মেশিনারিজ, নগদ ও এফডিআর মিলে মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়ক জামানত রয়েছে। এর মধ্যে এমনও সম্পত্তি রয়েছে, যা এখনো নামজারিও হয়নি এস আলমের নামে কিংবা ইসলামী ব্যাংকের অনুকূলে আইজিপিএ (ইরিভোকেবল জেনারেল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) সম্পাদন হয়নি। নামজারি না হওয়া সম্পত্তি ব্যাংকের পক্ষে বিক্রি তো দূরের কথা, বন্ধক রাখারও সুযোগ নেই। ফলে ঋণের টাকার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকটিকে তাদের মুনাফা থেকে প্রভিশন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, মেসার্স সোনালী ট্রেডার্স, ডেলটা অয়েল রিফাইনারি, মেসার্স সাদিয়া ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, ওজি ট্রাভেলস, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিলস, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস, মেসার্স আদিল করপোরেশন, ইনফিনিয়া সিনথেটিক ফাইবার, জেনেসিস টেক্সটাইল অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড অ্যাপারেলস, চেমন ইস্পাত, এস আলম ক্লোড রোল্ড স্টিল, সাভোলা অয়েল ও ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপসের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, সহোদর ওসমান গণি, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, আব্দুস সামাদ, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস ও ভাগনে মোস্তান বিল্লাহ আদিলসহ আত্মীয়স্বজন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নামে-বেনামে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
খাতুনগঞ্জের সঞ্চিতি ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এস আলম গ্রুপকে দেওয়া ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংকটির শুধু খাতুনগঞ্জ শাখাতেই প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাতুনগঞ্জ শাখার ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণের বিপরীতে ৪৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৪১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকটিতে মোট ৭৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার প্রভিশন রাখতে হবে। অথচ ব্যাংক সংরক্ষণ করেছে মাত্র ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৯ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আমানত রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শাখাটির মাধ্যমে দায় সৃষ্টি হয়েছে ৫৩ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে ৩২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে, শাখাটির প্রকৃত খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ৬৫ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় বিগত কয়েক বছর যে লুটপাট হয়েছে, তা বিশ্বের ব্যাংক লুটপাটকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু খাতুনগঞ্জ শাখা কিংবা ইসলামী ব্যাংক নয়, দেশের বিপর্যস্ত ব্যাংকিং খাতে ঘুরে দাঁড় করাতে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে ইসলামী ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শাখাটির সার্বিক বিষয়ে খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক এসভিপি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক জনগণের আস্থার প্রতীক। গ্রাহকের আস্থা ও আমানতের সুরক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৭-৮ বছর ব্যাংকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ছিল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তত্ত্বাবধানে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামি ব্যাংকিং ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন:
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০) চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি গৃহকর্তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পর নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই তরুণী।

পুলিশের অভিযানে তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করা হয়েছে। জামাল ওই এলাকার জাকির সিকদারের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আয়েশা আক্তার ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্তার স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন। পরে আয়েশাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক ছিলেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০) চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি গৃহকর্তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পর নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই তরুণী।

পুলিশের অভিযানে তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করা হয়েছে। জামাল ওই এলাকার জাকির সিকদারের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আয়েশা আক্তার ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্তার স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন। পরে আয়েশাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক ছিলেন।

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
২৩ মে ২০২৫
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে? একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে ‘অত্যাচার–নির্যাতনের’ কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর মুখোমুখী। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ‘যে খাবার তিনি খেতেন, তাতে বিষ মেশানো হয়েছিল’। তিনি আরও বলেন, সুস্থ মানুষ জেলে গিয়েছিলেন, অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আল্লাহ জানেন কবে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই–চার দিন বা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়। ‘একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী থাকা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস।
এ্যানি মহিলা দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের নারীরা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। দেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তাই আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন অনেক সহজ হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বাধীনতার নেতৃত্ব, যুদ্ধের মাঠে লড়াই—এসব কারণে জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে বেগম জিয়াও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে? একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে ‘অত্যাচার–নির্যাতনের’ কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর মুখোমুখী। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ‘যে খাবার তিনি খেতেন, তাতে বিষ মেশানো হয়েছিল’। তিনি আরও বলেন, সুস্থ মানুষ জেলে গিয়েছিলেন, অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আল্লাহ জানেন কবে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই–চার দিন বা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়। ‘একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী থাকা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস।
এ্যানি মহিলা দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের নারীরা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। দেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তাই আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন অনেক সহজ হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বাধীনতার নেতৃত্ব, যুদ্ধের মাঠে লড়াই—এসব কারণে জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে বেগম জিয়াও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
২৩ মে ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেআগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
২৩ মে ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংকিং খাতে চলা লুটপাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটি হলো ইসলামী ব্যাংক। কারণ, এই ব্যাংক থেকে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম একাই বের করে নিয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের অর্ধেকেরই বেশি অর্থাৎ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে।
২৩ মে ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২২ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে