Ajker Patrika

যুবলীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে মার খেয়ে আহত ২ পুলিশ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
যুবলীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে মার খেয়ে আহত ২ পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় চাঁদাবাজির মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি স্থানীয় যুবলীগ নেতা শামসুল আলম ওরফে এটিএম শামসুকে (৩২) গ্রেপ্তার করতে গেলে দুজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। 

আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন-বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জামাল মীর ও কনস্টেবল মো. ইমরান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক ও বাহারছড়ার শীলখালী এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালু মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদাবাজি মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে শামলাপুর বাজারে যায় পুলিশের একটি দল। সেখানে শামসুলসহ তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন এএসআই জামাল মীর ও কনস্টেবল মো. ইমরানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। । পরে তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে যান এবং শামসুলকে গ্রেপ্তার করে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যান।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘চাঁদাবাজি মামলায় এজাহারে উল্লিখিত দুই নম্বর আসামি যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের দুই সদস্যকে মারধর করা হয়। এতে পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী মাঝেরপাড়ায় একোয়া শ্রিম্প হ্যাচারির (নারিশ কোম্পানি) কেনা প্রায় ২০ একর জমি রয়েছে। গত ২২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ চলাকালীন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে থাকা নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর চড়াও হন এলাকার ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা। জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে কোম্পানির কর্মকর্তাকে হুমকি দেন তাঁরা। চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁরা কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা এক্সকাভেটর মেশিনসহ কিছু যন্ত্রপাতি ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হয়। 

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানানোয় তাঁরা শ্রমিকদের মারধর ও বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুট করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবির সিন্ডিকেটে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদন

শ্বশুরকে জামাতার ফোন: ‘আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান’

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে গেলেন ইমামতি করতে

ঐতিহাসিক শিমলা চুক্তি বাতিল করল পাকিস্তান, এর প্রভাব কী

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত