Ajker Patrika

বিলীনের পথে ধলিয়া লেক

মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৩
Thumbnail image

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের বুকজুড়ে রয়েছে প্রশাসনের মালিকানাধীন ধলিয়া লেক। আর এই লেকে চলছে ময়লা-আবর্জনা ফেলা আর দখলের প্রতিযোগিতা। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই লেকের দুই পাড়ে রয়েছে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা আর ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। লেকের পাড়ে যেসব হোটেল রয়েছে, সেখানকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার একমাত্র স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই লেক। 

স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন ও হারুন মিয়া বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গায়ও হয়তো এত ময়লা-আবর্জনা থাকে না। লেকের পাশে যাদের ঘর-বাড়ি আছে, তাদের টয়লেটের লাইন লেকের মধ্যে দিয়েছে। এই লেক আগে উপজেলার সবার জন্য মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্র ছিল। এখন তা মশা উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। লেকের পানি বর্তমানে কালো রং ধারণ করেছে। এই পানি থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 

অবৈধভাবে দখল করায় ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধলিয়া লেকহাসানুল হক বাছরি নামে একজন বলেন, মাটিরাঙ্গার প্রাণকেন্দ্রের লেকটি জলধারার প্রধান উৎস। এটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এবং প্রভাবশালীরা দিনে দিনে দখল করে নিচ্ছে। প্রশাসন ও পৌরসভা লেকটি সংরক্ষণ করে প্রকল্পের আওতায় এনে একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ মহল খুব দ্রুত এ সমস্যার সঠিক সমাধান করবে এমনই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। 

অবৈধভাবে দখল করায় ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধলিয়া লেকমাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি জসিমউদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, ‘লেকের রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দেখাশোনার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের কাছে থাকলেও আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপজেলার একমাত্র প্রাচীন লেকটিকে নতুন রূপে ফিরে পেতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক বলেন, প্রাচীন এই লেক দখল করে অনেকেই মধ্যখানে চলে গেছে। অন্য এলাকা থেকে ‘কবুলত’ এনে জালিয়াতি করে বস্তি গড়ে তুলেছে। প্রশাসন যদি সরকারিভাবে লেকটি উদ্ধার করে, তাহলে প্রকল্পের আওতায় এনে পর্যটনে পরিণত করা হবে। 

অবৈধভাবে দখল করায় ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধলিয়া লেকমাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃলা দেব বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। লেকটি উদ্ধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। নির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত