মো. মাহবুবুল আলম, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় চরে অবস্থিত ইন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের মাঠ উঁচু করে ভরাট না করায় প্রতি বছর বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এই জলাবদ্ধতার মধ্যেই স্কুলের পাঠদান চালিয়ে আসছে। স্কুল ভবনের তিন দিকে পানি থাকায় কোমলমতি শিশুরা রয়েছে ঝুঁকিতে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়টি তিন দিক দিয়েই জলাবদ্ধ থাকে।
রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে চর ইন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয় ২০০৩ সাল থেকে। এই প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয় ২০১৩ সালে। বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি গেছে সেটি ইতিমধ্যে পিচঢালাই করা হয়েছে।
এখানে অধ্যয়নরত আছে ১৫১ জন শিক্ষার্থী, কর্মরত রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেড় যুগ ধরে পুরোনো ভবনটিতেই কোনোমতে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। ৪০ শতাংশ জমির এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একতলা ভবনটি। একটি কক্ষে অফিস ও অপর ৩টি শ্রেণিকক্ষ নিয়েই চলছে স্কুলের কার্যক্রম।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা থেকে বিদ্যালয়ের মাঠটি অনেক নিচু। ভবনের তিন দিকেই রয়েছে জলাবদ্ধ চাষাবাদের জমি। ভবনের পাশেই রয়েছে ছোট টয়লেট। যেটি একটু পানি বাড়লেই ডুবে গিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়টি খুলে দেওয়ায় শিশুরা কক্ষের ভেতরেই বন্দী থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এই ভবনের ছোট্ট বারান্দায় পা পিছলে পানিতে পড়ে গিয়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এ ছাড়া স্কুল মাঠটি শেওলা, ঘাসে ও এক হাঁটু পানিতে ভরে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা, জাতীয় সংগীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন বা খেলাধুলা কোনোটিই এখন করার সুযোগ নেই।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে স্কুলটিতে হাত ধোয়ার বেসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পানি সরবরাহের জন্য মাঠে স্থাপন করা হয়েছিল একটি পানির পাম্প। সেটি এখন পানির নিচে গিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্কুলের এমন করুণ অবস্থা নিয়ে কথা হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজেদা, নাদিয়া, তাহিয়া, শিরিন ও পারভিনদের সঙ্গে। তারা বলেন, যে মাঠে তাদের খেলাধুলা চলতো সেই মাঠ এখন তাদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পা পিছলে পানিতে পড়ার আতঙ্কে তারা বারান্দায় দাঁড়াতেও স্বাচ্ছন্দ্যও বোধ করেন না। তাদের আক্ষেপ যদি মাঠটি শুকনা থাকত তবে তারা এদিক সেদিক ছুটোছুটি করে খেলতে পারত।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জান্নাতি বেগম বলেন, প্রায় ৩ বছর ধরেই আমরা এ দুর্ভোগের শিকার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের পানিতে পড়ার ভয় নিয়েই আমাদের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। আধুনিক ওয়াশ ব্লকের অভাবে আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছি। স্কুলের দু’দিকের দু’টি পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট বন্ধ করে বাড়িঘর তৈরি করায় এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম মোস্তাক আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়টির করুণ অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। মাঠ ভরাটে আমাদের দপ্তরের কোনো বরাদ্দ নেই। তাই সাংসদ, উপজেলা পরিষদ বা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বরাদ্দের চেষ্টা করা হবে। উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করে ভবন ও মাঠ ভরাটে সহায়তা চাওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় চরে অবস্থিত ইন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের মাঠ উঁচু করে ভরাট না করায় প্রতি বছর বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এই জলাবদ্ধতার মধ্যেই স্কুলের পাঠদান চালিয়ে আসছে। স্কুল ভবনের তিন দিকে পানি থাকায় কোমলমতি শিশুরা রয়েছে ঝুঁকিতে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়টি তিন দিক দিয়েই জলাবদ্ধ থাকে।
রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে চর ইন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয় ২০০৩ সাল থেকে। এই প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয় ২০১৩ সালে। বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি গেছে সেটি ইতিমধ্যে পিচঢালাই করা হয়েছে।
এখানে অধ্যয়নরত আছে ১৫১ জন শিক্ষার্থী, কর্মরত রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেড় যুগ ধরে পুরোনো ভবনটিতেই কোনোমতে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। ৪০ শতাংশ জমির এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একতলা ভবনটি। একটি কক্ষে অফিস ও অপর ৩টি শ্রেণিকক্ষ নিয়েই চলছে স্কুলের কার্যক্রম।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা থেকে বিদ্যালয়ের মাঠটি অনেক নিচু। ভবনের তিন দিকেই রয়েছে জলাবদ্ধ চাষাবাদের জমি। ভবনের পাশেই রয়েছে ছোট টয়লেট। যেটি একটু পানি বাড়লেই ডুবে গিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়টি খুলে দেওয়ায় শিশুরা কক্ষের ভেতরেই বন্দী থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এই ভবনের ছোট্ট বারান্দায় পা পিছলে পানিতে পড়ে গিয়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এ ছাড়া স্কুল মাঠটি শেওলা, ঘাসে ও এক হাঁটু পানিতে ভরে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা, জাতীয় সংগীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন বা খেলাধুলা কোনোটিই এখন করার সুযোগ নেই।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে স্কুলটিতে হাত ধোয়ার বেসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পানি সরবরাহের জন্য মাঠে স্থাপন করা হয়েছিল একটি পানির পাম্প। সেটি এখন পানির নিচে গিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্কুলের এমন করুণ অবস্থা নিয়ে কথা হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজেদা, নাদিয়া, তাহিয়া, শিরিন ও পারভিনদের সঙ্গে। তারা বলেন, যে মাঠে তাদের খেলাধুলা চলতো সেই মাঠ এখন তাদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পা পিছলে পানিতে পড়ার আতঙ্কে তারা বারান্দায় দাঁড়াতেও স্বাচ্ছন্দ্যও বোধ করেন না। তাদের আক্ষেপ যদি মাঠটি শুকনা থাকত তবে তারা এদিক সেদিক ছুটোছুটি করে খেলতে পারত।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জান্নাতি বেগম বলেন, প্রায় ৩ বছর ধরেই আমরা এ দুর্ভোগের শিকার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের পানিতে পড়ার ভয় নিয়েই আমাদের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। আধুনিক ওয়াশ ব্লকের অভাবে আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছি। স্কুলের দু’দিকের দু’টি পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট বন্ধ করে বাড়িঘর তৈরি করায় এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম মোস্তাক আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়টির করুণ অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। মাঠ ভরাটে আমাদের দপ্তরের কোনো বরাদ্দ নেই। তাই সাংসদ, উপজেলা পরিষদ বা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বরাদ্দের চেষ্টা করা হবে। উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করে ভবন ও মাঠ ভরাটে সহায়তা চাওয়া হবে।
রাজাপুর গ্রামের সামসুদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ি থেকে দুইদিন আগে পানির মোটর চুরি হয়। সামসুদ্দিনের বাড়ির লোকজন রুপল শেখকে চোর সন্দেহ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শালিসের কথা বলে রুপলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সামসুদ্দিনের ছেলেরা। এরপর ঘরে বন্দি করে পিটিয়ে আহত করে। রুপলের অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার..
১৯ মিনিট আগেচাঁদপুরে তালিকাভুক্ত খামারির সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭০ জন। তাদের খামারে উৎপাদিত হয়েছে ৪২ হাজার ৪৯৭টি গরু এবং ১৯ হাজার ৬০১টি ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য পশু। এর মধ্যে ষাঁড় ২৪ হাজার ২৪৭ টি, বলদ ৭ হাজার ৭৮১ টি, গাভী ১০ হাজার ৪৬৯ টি, মহিষ ২১৭ টি, ছাগল ১৮ হাজার ৪৫৮ টি, ভেড়া ৮৩০টি ও অন্যান্য পশু ৯৬ টি।
২২ মিনিট আগেশিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা পান না। বিভিন্ন সময় দাবি করেও বেতন ভাতা মেলেনি। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন স্বল্প বেতনভুক্ত এসব শিক্ষক...
২৩ মিনিট আগেঅসাধু ব্যবসায়ীরা পাচার করতে ট্রলারে করে চিংড়ির রেণু নিয়ে যাচ্ছিলো। খবর পেয়ে মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ড মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুর্গাপুর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ট্রলারটি আটক করে। ট্রলারে ৩৪টি ড্রামে প্রায় ৫০ লাখ ১০ হাজার গলদা চিংড়ির রেণু পোনা পাওয়া যায়। যার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। পরে চিংড়ির...
১ ঘণ্টা আগে