বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে বিদ্যুৎ অফিসকে না জানিয়ে কাটা গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ওই লাইনের পাশে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যরা। তবে গাছ কর্তনকারী ব্যবসায়ীদের এমন কাজে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ অফিস।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানায়। পরে ওই লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা মোকামিয়া ইউনিয়নের মালবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বেতাগী থানায় গতকাল রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় একজন।
বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেউ লাইনের পাশে থাকা গাছ কাটলে বিদ্যুৎ অফিসকে আগেই জানানোর নিয়ম। যদি বিদ্যুৎ অফিসকে জানানো হয় তাহলে যতক্ষণ গাছ কাটে ততক্ষণ লাইন বন্ধ রাখা যায়। লাইনের পাশের গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ না রাখলে বড় ধরনে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।
থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিন যাবৎ মো. আব্দুল হাকিম নামে এক গাছ ব্যবসায়ী মোকামিয়ার মালবাড়ি এলাকায় শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটার কাজ করাচ্ছেন। ঘটনার দিন বিদ্যুৎতের মেইন লাইন সংলগ্ন গাছ কাটার সময় গাছের ডাল তারের ওপরে পড়ে তার ছিঁড়ে গিয়ে আগুন জ্বলতে থাকে। বিষয়টি তখন ওই বাড়ির বাসিন্দাদের নজরে এলে তারা তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে জানায়। তখন বিদ্যুৎ অফিস সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
মাল বাড়ির বাসিন্দা আবদুস সত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাকিমের শ্রমিকেরা গাছ কেটে বিদ্যুতের তারের ওপর ফালাইছে। এতে প্রায় ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। তবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। অনেক সময় আগুন ধরে যায়, তবে কভার তারের কারণে হয়তো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুই দরজার দিকে আলহাম (ছিলাম)। বাড়িতে এসে শুনি কারেন্টের তার ছিঁড়ছে। সে সময় ছালামেরে (আরিফ মাল) পাঠাইছি এবং বলছি দেখ দেখি, আমাদের অবস্থাটা কি হইবে। ছালাম গেছে, আমিও পিছ পিছ গেছি। এর মধ্যেই মিঠু (মসিউর রহমান মিঠু মাল) নদীর পাড়ে ছিল, তখন বিদ্যুতের লোক যাচ্ছিল, তাদের (বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন) নিয়ে এসে বলে আমাদের তার ছিঁড়ছে। তারা এসে বলে মোরা (আমরা) তার জোড়াবো না। তখন হাকিমেরে ফোন দিলে, হাকিম ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়, তখন বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তার মেরামত করে দেয়।’
উপস্থিত কয়েকজন বলেন, গাছের ক্ষতি যেন কম হয় সেই কথা ওদের বলায় জিদ করে গাছ ভাঙছে। হাকিমের শ্রমিকেরা অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটায় বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বাড়ির কোনো ছোট ছেলে মেয়ে ওই তার ধরলে তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু হতো। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করাতে লেবাররা মারতে তেড়ে আসে।
এ বিষয়ে বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) দূর্যোধন বালা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে গাছ কাটার সময়ে আমাদের জানালে আমরা তখন বিদ্যুৎ লাইনটি বন্ধ করে দেই। কিন্তু যদি আমাদের না জানিয়ে কেউ বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে গাছ কাটে তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।’
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।
বেতাগী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার বেতাগীতে বিদ্যুৎ অফিসকে না জানিয়ে কাটা গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ওই লাইনের পাশে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যরা। তবে গাছ কর্তনকারী ব্যবসায়ীদের এমন কাজে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ অফিস।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানায়। পরে ওই লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা মোকামিয়া ইউনিয়নের মালবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বেতাগী থানায় গতকাল রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় একজন।
বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেউ লাইনের পাশে থাকা গাছ কাটলে বিদ্যুৎ অফিসকে আগেই জানানোর নিয়ম। যদি বিদ্যুৎ অফিসকে জানানো হয় তাহলে যতক্ষণ গাছ কাটে ততক্ষণ লাইন বন্ধ রাখা যায়। লাইনের পাশের গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ না রাখলে বড় ধরনে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।
থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিন যাবৎ মো. আব্দুল হাকিম নামে এক গাছ ব্যবসায়ী মোকামিয়ার মালবাড়ি এলাকায় শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটার কাজ করাচ্ছেন। ঘটনার দিন বিদ্যুৎতের মেইন লাইন সংলগ্ন গাছ কাটার সময় গাছের ডাল তারের ওপরে পড়ে তার ছিঁড়ে গিয়ে আগুন জ্বলতে থাকে। বিষয়টি তখন ওই বাড়ির বাসিন্দাদের নজরে এলে তারা তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে জানায়। তখন বিদ্যুৎ অফিস সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
মাল বাড়ির বাসিন্দা আবদুস সত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাকিমের শ্রমিকেরা গাছ কেটে বিদ্যুতের তারের ওপর ফালাইছে। এতে প্রায় ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। তবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। অনেক সময় আগুন ধরে যায়, তবে কভার তারের কারণে হয়তো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুই দরজার দিকে আলহাম (ছিলাম)। বাড়িতে এসে শুনি কারেন্টের তার ছিঁড়ছে। সে সময় ছালামেরে (আরিফ মাল) পাঠাইছি এবং বলছি দেখ দেখি, আমাদের অবস্থাটা কি হইবে। ছালাম গেছে, আমিও পিছ পিছ গেছি। এর মধ্যেই মিঠু (মসিউর রহমান মিঠু মাল) নদীর পাড়ে ছিল, তখন বিদ্যুতের লোক যাচ্ছিল, তাদের (বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন) নিয়ে এসে বলে আমাদের তার ছিঁড়ছে। তারা এসে বলে মোরা (আমরা) তার জোড়াবো না। তখন হাকিমেরে ফোন দিলে, হাকিম ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়, তখন বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তার মেরামত করে দেয়।’
উপস্থিত কয়েকজন বলেন, গাছের ক্ষতি যেন কম হয় সেই কথা ওদের বলায় জিদ করে গাছ ভাঙছে। হাকিমের শ্রমিকেরা অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটায় বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বাড়ির কোনো ছোট ছেলে মেয়ে ওই তার ধরলে তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু হতো। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করাতে লেবাররা মারতে তেড়ে আসে।
এ বিষয়ে বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) দূর্যোধন বালা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে গাছ কাটার সময়ে আমাদের জানালে আমরা তখন বিদ্যুৎ লাইনটি বন্ধ করে দেই। কিন্তু যদি আমাদের না জানিয়ে কেউ বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে গাছ কাটে তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।’
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।
বেতাগী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মৌলভীবাজারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানা সীমাবদ্ধতায় শিক্ষাব্যবস্থা বেহাল রূপ ধারণ করেছে। শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবের সংকটের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নামকাওয়াস্তে। খাতাপত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখালেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
১ ঘণ্টা আগেতিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সেচনালা সংস্কারের অজুহাত ও সরকার নির্ধারিত সেচমূল্য না জানার অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সেচ সমিতি এই বাড়তি টাকা আদায় করছে। এ ছাড়া পানি না পাওয়া ও অসময়ে অতিরিক্ত পানি পাওয়ার অভিযোগ...
১ ঘণ্টা আগেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। মঙ্গলবার রাতে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) অভিযান পরিচালনার সময় বেশ কয়েকটি রিকশা ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে গুঁড়িয়ে দেওয়া তিন রিকশার চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৪ ঘণ্টা আগে