Ajker Patrika

পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ৬ দোকান

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
Thumbnail image
আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী শহরের কলাতলা হাউজিং মাঠের সামনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ঘটনায় আনুমানিক অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানায়, অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান সম্পূর্ণ এবং একটি দোকান আংশিক পুড়ে যায়। পাশের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে না যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে আব্দুর রহিমের মুদি-মনোহারীর দোকান, তারা বানুর ভাতের হোটেল, মোতালেব হোসেনের গ্যাস সিলিন্ডার ও হার্ডওয়্যারের দোকান, জয়নাল আবেদীনের চায়ের দোকান, মো. শাহীন আলমের লেপ-তোশকের দোকান ও খুদিরামের সেলুন।

স্থানীয়রা জানায়, গভীর রাতে আগুন লাগার পর তারা নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের সহায়সম্বল হারিয়ে দিশেহারা। দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ভাতের হোটেলের তারা বানু (৫৫) বলেন, ‘আমার সংসারের সবই ছিল এই দোকানে। আগুনে সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাত দুটার দিকে খবর পাই আমার দোকানে আগুন লেগেছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই এবং তারা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’

মুদি-মনিহারির দোকানের মালিক আব্দুল রহিম বলেন, ‘আগুনে দোকানঘরটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। এতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। মুদি-মনোহারী ও কনফেকশনারি সব মিলিয়ে তো। তাই আমার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’

সদর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা দেওয়ান মো. রাজিব জানান, খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত