পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের নাজিরপুরে তরুণী লামিয়া আক্তারকে রাতে বাপের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী মো. তরিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার সকালে তরিকুল ইসলামকে পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তরিকুলের বাড়ি নাজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ চিথলিয়া গ্রামে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মো. বায়েজীদ আকন বলেন, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ১৬ মার্চ ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন জাফরাবাদ এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে লামিয়ার স্বামী মো. তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তরিকুলের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৩০ মে বিয়ের দাবিতে তরিকুলের বাড়িতে এসে ওঠেন লামিয়া। স্থানীয় লোকজনের চাপে ওই দিন সন্ধ্যায় তরিকুল বিয়ে করেন লামিয়াকে। বিয়েতে তরিকুলের মা-বাবার সম্মতি ছিল না। তাঁদের বিবাহ মেনে না নেওয়ায় বিয়ের পর লামিয়া তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তরিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল লামিয়ার। বিয়ের সাত মাস পরও লামিয়াকে শশুরবাড়িতে তুলে নিতে না চাইলে লামিয়ার ও তরিকুলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। লামিয়া চিথলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ১২ মার্চ লামিয়ার ঘরের সামনের সিঁড়িতে একটি বেনামি চিঠি পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে মাটি খুঁড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রাত অনুমান ১১টার দিকে লামিয়াকে গোপনে দেখা করতে বলেন তরিকুল। লামিয়ার মা ও নানি ঘুমালে বাড়ি থেকে বের হয়ে তরিকুলের সঙ্গে দেখা করেন লামিয়া। তখন তাঁদের মধ্যে কথা বলার একপর্যায়ে রাগান্বিত তরিকুল লামিয়াকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে লাশ বাড়ির পাশে বালুর মাঠে নিয়ে যান এবং সেখানে বালু চাপা দিয়ে রাখেন। ঘটনার চার মাস পর ১১ মার্চ আসামি নাজিরপুর বাজারের একটি দোকান থেকে দুটি গ্লাভস কেনেন। তারপর রাত অনুমান ১১টার দিকে পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু খোঁড়ার পর লাশের হাত দেখতে পেয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। এ সময় লাশের হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন হাতটা গর্তে রেখে পুনরায় লাশ বালু চাপা দিয়ে আসেন। পরদিন ১২ মার্চ রাতে আসামি তরিকুল একটি চিরকুট লিখে লামিয়ার ঘরের চালে ঢিল মারে। তখন ঘর থেকে লামিয়ার খালা ও নানি বাইরে বের হয়ে চিরকুট দেখতে পান। এরপরই ঘটনা প্রকাশ পায়।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পরে তরিকুলের বাবা ও এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূল আসামি মো. তরিকুল ইসলামকে ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।
পিরোজপুরের নাজিরপুরে তরুণী লামিয়া আক্তারকে রাতে বাপের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী মো. তরিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার সকালে তরিকুল ইসলামকে পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তরিকুলের বাড়ি নাজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ চিথলিয়া গ্রামে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মো. বায়েজীদ আকন বলেন, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ১৬ মার্চ ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন জাফরাবাদ এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে লামিয়ার স্বামী মো. তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তরিকুলের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৩০ মে বিয়ের দাবিতে তরিকুলের বাড়িতে এসে ওঠেন লামিয়া। স্থানীয় লোকজনের চাপে ওই দিন সন্ধ্যায় তরিকুল বিয়ে করেন লামিয়াকে। বিয়েতে তরিকুলের মা-বাবার সম্মতি ছিল না। তাঁদের বিবাহ মেনে না নেওয়ায় বিয়ের পর লামিয়া তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তরিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল লামিয়ার। বিয়ের সাত মাস পরও লামিয়াকে শশুরবাড়িতে তুলে নিতে না চাইলে লামিয়ার ও তরিকুলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। লামিয়া চিথলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ১২ মার্চ লামিয়ার ঘরের সামনের সিঁড়িতে একটি বেনামি চিঠি পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে মাটি খুঁড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রাত অনুমান ১১টার দিকে লামিয়াকে গোপনে দেখা করতে বলেন তরিকুল। লামিয়ার মা ও নানি ঘুমালে বাড়ি থেকে বের হয়ে তরিকুলের সঙ্গে দেখা করেন লামিয়া। তখন তাঁদের মধ্যে কথা বলার একপর্যায়ে রাগান্বিত তরিকুল লামিয়াকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে লাশ বাড়ির পাশে বালুর মাঠে নিয়ে যান এবং সেখানে বালু চাপা দিয়ে রাখেন। ঘটনার চার মাস পর ১১ মার্চ আসামি নাজিরপুর বাজারের একটি দোকান থেকে দুটি গ্লাভস কেনেন। তারপর রাত অনুমান ১১টার দিকে পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু খোঁড়ার পর লাশের হাত দেখতে পেয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। এ সময় লাশের হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন হাতটা গর্তে রেখে পুনরায় লাশ বালু চাপা দিয়ে আসেন। পরদিন ১২ মার্চ রাতে আসামি তরিকুল একটি চিরকুট লিখে লামিয়ার ঘরের চালে ঢিল মারে। তখন ঘর থেকে লামিয়ার খালা ও নানি বাইরে বের হয়ে চিরকুট দেখতে পান। এরপরই ঘটনা প্রকাশ পায়।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পরে তরিকুলের বাবা ও এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূল আসামি মো. তরিকুল ইসলামকে ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
৩৫ মিনিট আগেনওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাই বাবু (৪৭) এবং তাঁর স্ত্রী মোমেনা বেগম (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করবে ছয় সদস্যের এই কমিটি।
১ ঘণ্টা আগেআফসানার দেবর হাসিবুল হাসান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা আমাদের ভাবি ও তার সন্তান ওহীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওহিকে পাওয়া যায় স্কুলের একটি কক্ষে। আল্লাহর রহমতে ওহি অক্ষত ও ভালো আছে। কিন্তু তার মা আফসানা প্রিয়াকে কোথাও পাওয়া যায়নি।’
১ ঘণ্টা আগে