Ajker Patrika

কুয়াকাটা সৈকতে ফটোগ্রাফারদের বিড়ম্বনায় পর্যটকেরা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আজ পর্যটকদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আজ পর্যটকদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। এ জন্য সারা দেশের ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের অন্যতম জায়গা এটি। নানা কারণে পর্যটকদের আকর্ষণ থাকলেও এখানকার ফটোগ্রাফারদের বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ আগত পর্যটকেরা।

কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি স্টুডিও বন্ধ করে দেয়। এর প্রতিবাদে গতকাল রোববার কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারেরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। বিচ ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বেশির ভাগ পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলেন, ‘সারা জীবন ধর্মঘট করলেও ফটোগ্রাফারদের দাবি পূরণ করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশের কোনো পর্যটনকেন্দ্রে নেই যে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি আনতে হয়। সব স্থানে সঙ্গে সঙ্গে ছবি দিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি নেপালেও তাই দেখেছি। কিন্তু কুয়াকাটায় স্টুডিও সমিতির নামে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি কমিটি থেকে লভ্যাংশ নেন। এর ভুক্তভোগী হন পর্যটকেরা। এ জন্যই আমাদের কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সব সময় পিছিয়ে।’

খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরিফুল হক শাহীন বলেন, ‘কুয়াকাটার ফটোশিকারীদের কারণে পর্যটকেরা সব সময় হয়রানির শিকার হন। পর্যটক সৈকতে বেড়ানোর জন্য নামলেই ফটোশিকারিরা পিছু ছাড়েন না। তাঁদের উৎপাতে সৈকতে দাঁড়ানো পর্যন্ত যায় না। এমনকি আমরা যারা কলাপাড়া থেকে যাই, তারাও হয়রানি থেকে রক্ষা পাই না। একবার আমি কুয়াকাটার সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়েছি।’

ফটোগ্রাফারদের পক্ষে লিমন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কোনো ক্যামেরা নেই। স্টুডিও থেকে ক্যামেরা নিয়ে পর্যটকদের ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করি।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের উপপরিদর্শক মো. সবুর মিয়া বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে ফটোগ্রাফার কর্তৃক পর্যটক হয়রানির যেমন অভিযোগ আসে, তেমনি এই ফটোগ্রাফারদের দ্বারা পর্যটকদের অনেক উপকারের কথা আসে। কুয়াকাটা সৈকতে তাঁরা যাতে ভালো সার্ভিস দিতে পারেন, সে জন্য কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার মতবিনিময় করেছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির ইতিপূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুয়াকাটায় পর্যটকদের ছবি ট্রান্সফারের স্টুডিওসমূহ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। ফটোগ্রাফারেরা ছবি তোলার পর পর্যটকদের কেবল, ওটিজি, মেমরি ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে সরাসরি ছবি ট্রান্সফার করবেন। এর মাধ্যমে স্টুডিওমালিকদের কমিশন ব্যবসা ও পর্যটক হয়রানি বন্ধ হবে। বিভিন্ন সময়ে কুয়াকাটা সি বিচ ফটোগ্রাফারদের পর্যটক হয়রানির অভিযোগ আসে, যা কুয়াকাটা পর্যটনের জন্য মোটেই কাম্য নয়। তিনি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য পর্যটন স্পটে পর্যটকদের সরাসরি ছবি দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত