আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
সংকট দেখিয়ে আমনের বিআর-২৩ জাতের বীজ ১০ কেজির প্যাকেটে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। ১০ কেজি ধানবীজের দাম ৫৫০ টাকা হলেও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলীতে চলতি বছর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। এতে বীজ ধান প্রয়োজন ৫৮০ মেট্রিক টন। ভালো ফলন হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক বিআর-২৩ জাতের ধান চাষাবাদ করেন। এই ধানের বীজ উপজেলার প্রায় অর্ধেক কৃষক মজুত করে রেখেছেন।
২৯০ টন আমন ধানের বীজ বরাদ্দ চেয়ে পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃপক্ষকে চাহিদা পাঠিয়েছে আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস। কিন্তু বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ৮৭ টন বীজ ধান সরবরাহ করেছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আমতলীর জন্য ২২ টন বিআর-২৩ বীজ ধান সরবরাহ করে। ওই ধানবীজ বিক্রি শেষ হয়েছে। এতে বীজের সংকটে পড়েছেন চাষিরা। উপজেলার বীজ ডিলার ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিআর-২৩ ধানের বীজ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ চাষিদের।
আজ শনিবার আমতলী উপজেলার আমতলী, গাজীপুর, কুকুয়া, কচুপাত্রা ও তালুকদার বাজার ঘুরে জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ডিলার বিআর-২৩ জাতের বীজ ধান সরকার নির্ধারিত ৫৫০ টাকার বীজ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন। উপায় না পেয়ে কৃষকেরা বেশি দামে বীজ কিনে চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গাজীপুর গ্রামের হাসান হাওলাদার ও বেল্লাল আকন বলেন, ১০ কেজি বিআর-২৩ ধানবীজ গাজীপুর বাজারের হুমায়ুন ঢালীর কাছ থেকে ৮০০ টাকায় কিনেছি। তবে, হুমায়ুন ঢালী বেশি দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের কৃষক এমদাদ বলেন, ‘আমতলী বাজারের ধানবীজের ডিলার মহিউদ্দিনের কাছ থেকে ৭০০ টাকা দরে ১০ কেজি ধানের বীজ ক্রয় করেছি।’ তবে, ডিলার মহিউদ্দিন বেশি দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বীজ বিক্রি করছি।’
আমতলী সদর ইউনিয়নের ধানবীজের ডিলার ইউনুস মিয়া বলেন, ‘বিএডিসির দেওয়া ছয় টন বীজ বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। কৃষকের আরও বীজের চাহিদা রয়েছে।’ তিনি বেশি দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
আমতলীতে ৮৭ টন বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী বিএডিসি উপসহকারী পরিচালক মো. নান্নু মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বীজ বিক্রি করার সুযোগ নেই। তারপরও যদি বেশি দামে বিক্রি করে তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।’
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঈশা বলেন, ‘প্যাকেটের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় বীজ বিক্রি করার সুযোগ নেই। আমনের বীজতলার শেষ মুহূর্তে কেউ যদি বেশি দামে বীজ বিক্রি করে থাকেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংকট দেখিয়ে আমনের বিআর-২৩ জাতের বীজ ১০ কেজির প্যাকেটে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। ১০ কেজি ধানবীজের দাম ৫৫০ টাকা হলেও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলীতে চলতি বছর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। এতে বীজ ধান প্রয়োজন ৫৮০ মেট্রিক টন। ভালো ফলন হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক বিআর-২৩ জাতের ধান চাষাবাদ করেন। এই ধানের বীজ উপজেলার প্রায় অর্ধেক কৃষক মজুত করে রেখেছেন।
২৯০ টন আমন ধানের বীজ বরাদ্দ চেয়ে পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃপক্ষকে চাহিদা পাঠিয়েছে আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস। কিন্তু বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ৮৭ টন বীজ ধান সরবরাহ করেছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আমতলীর জন্য ২২ টন বিআর-২৩ বীজ ধান সরবরাহ করে। ওই ধানবীজ বিক্রি শেষ হয়েছে। এতে বীজের সংকটে পড়েছেন চাষিরা। উপজেলার বীজ ডিলার ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিআর-২৩ ধানের বীজ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ চাষিদের।
আজ শনিবার আমতলী উপজেলার আমতলী, গাজীপুর, কুকুয়া, কচুপাত্রা ও তালুকদার বাজার ঘুরে জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ডিলার বিআর-২৩ জাতের বীজ ধান সরকার নির্ধারিত ৫৫০ টাকার বীজ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন। উপায় না পেয়ে কৃষকেরা বেশি দামে বীজ কিনে চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গাজীপুর গ্রামের হাসান হাওলাদার ও বেল্লাল আকন বলেন, ১০ কেজি বিআর-২৩ ধানবীজ গাজীপুর বাজারের হুমায়ুন ঢালীর কাছ থেকে ৮০০ টাকায় কিনেছি। তবে, হুমায়ুন ঢালী বেশি দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের কৃষক এমদাদ বলেন, ‘আমতলী বাজারের ধানবীজের ডিলার মহিউদ্দিনের কাছ থেকে ৭০০ টাকা দরে ১০ কেজি ধানের বীজ ক্রয় করেছি।’ তবে, ডিলার মহিউদ্দিন বেশি দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বীজ বিক্রি করছি।’
আমতলী সদর ইউনিয়নের ধানবীজের ডিলার ইউনুস মিয়া বলেন, ‘বিএডিসির দেওয়া ছয় টন বীজ বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। কৃষকের আরও বীজের চাহিদা রয়েছে।’ তিনি বেশি দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
আমতলীতে ৮৭ টন বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী বিএডিসি উপসহকারী পরিচালক মো. নান্নু মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বীজ বিক্রি করার সুযোগ নেই। তারপরও যদি বেশি দামে বিক্রি করে তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।’
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঈশা বলেন, ‘প্যাকেটের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় বীজ বিক্রি করার সুযোগ নেই। আমনের বীজতলার শেষ মুহূর্তে কেউ যদি বেশি দামে বীজ বিক্রি করে থাকেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১১ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে